কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ

in kuakata •  3 years ago 

কুয়াকাটা2.jpg
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের অবস্থান পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার লতাচাপলি ইউনিয়নে। প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত (Kuakata Sea Beach) থেকে একই সাথে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখা যায়। এই বৈশিষ্ট কুয়াকাটাকে সকল সমুদ্র সৈকত থেকে অনন্য করেছে। সূর্যোদয় সবচেয়ে ভাল দেখা যায় সৈকতের পূর্ব প্রান্তের গঙ্গামতির বাঁক থেকে। আর সূর্যাস্ত দেখার ভাল জায়গা হচ্ছে কুয়াকাটার পশ্চিম সৈকত। সৈকতের এক পাশে বিশাল সমুদ্র আর অন্য পাশে আছে নারিকেল গাছের সারি।

কুয়াকাটা1.jpg

কুয়াকাটা গেলে যে সব স্পটে ভ্রমণ করবেনঃ
১. কুয়াকাটা বৌদ্ধ মন্দির ।
২. ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী নৌকা ।
৩. কুয়াকাটার কুয়া ।
৪. কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান ।
৫. কাউয়ার চর ।
৬. গঙ্গামতীর চর ।
৭. ঝাউ বন ।
৮. লাল কাঁকড়ার চর ।
৯. রূপালী দ্বীপ বৌদ্ধ বিহার ।
১০. মিষ্টি পানির কূপ ।
১১. রাখাইন পল্লী বার্মিজ মার্কেট ।
১২. শুঁটকি পল্লী ।
১৩. ঝিনুক বীচ ।
১৪. লেবুর চর ।
১৫. তিন নদীর মোহনা ।
১৬. সুন্দরবনের পূর্বাংশ (ফাতরার বন) ।
১৭. লাল কাঁকড়ার চর ।

কুয়াকাটা.jpg

কিভাবে যাবেন কুয়াকাটাঃ
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নে কুয়াকাটা অবস্থিত। ঢাকা থেকে সড়কপথে এর দূরত্ব ৩৮০ কিলোমিটার, বরিশাল থেকে ১০৮ কিলোমিটার। কুয়াকাটায় বাস ও লঞ্চ দিয়ে যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে পটুয়াখালী পর্যন্ত সরাসরি লঞ্চ রয়েছে। পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটার গাড়ি রয়েছে, ইচ্ছে করলে আপনি মোটরসাইকেলেও যেতে পারবেন। ফেরার পথে কুয়াকাটা থেকেই ঢাকাগামী বাসে উঠে যেতে পারেন। ঢাকা আসার বাস কিন্তু একটাই, আর সেটা কুয়াকাটা ছেড়ে যায় ঠিক সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। একবার মিস করলে যতই চেঁচামেচি করেন না কেন, পরদিনের সূর্যোদয় না দেখিয়ে আপনাকে আর ফিরতে দেবে না সাগরকন্যা কুয়াকাটা।

কুয়াকাটা3.jpg

কুয়াকাটার হোটেল গুলোর তথ্যঃ
কুয়াকাটায় আছে দুইটি ডাক বাংলো এবং সাগর কন্যা পর্যটন হলিডে হোমস। এলজিইডির রয়েছে দুটি, সড়ক ও জনপথের একটি, জেলা পরিষদের দুটি রাখাইন কালচার একাডেমীর একটি রেস্ট হাউস। এসকল স্থানে থাকতে হলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পূর্ব অনুমতি নিতে হয়। এছাড়া ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে এ পর্যটন নগরীতে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় প্রায় অর্ধশতাধিক আবাসিক হোটেল, মোটেল। আধুনিক মান সম্মত হোটেল গুলোর মধ্যে রয়েছে- হোটেল নীলঞ্জনা, হোটেল বি-ভিউ, হোটেল গোল্ডেন প্যারেজ, হোটেল বীচ-ভেলী, হোটেল ফ্যামিলী হোমস, কুয়াকাটা গেষ্ট হাউজ, হোটেল সাগর কন্যা, হোটেল আল হেরা, হোটেল আকন, হোটেল সি-গার্ডেন, হোটেল স্মৃতি সহ আরো বেশ কিছু হোটেল ও মোটেল।

আরো পড়ুন উইকিপিডিয়া: https://bit.ly/35P0yEl

কুয়াকাটা4.jpg

কোথায় খাবেনঃ
ঘরোয়া পরিবেশে মান সম্মত খাবারের জন্য হোটেল সেফার্ড, খাবার ঘর-১, খাবার ঘর-২, এসব খাবারের হোটেল গুলো আপনার আবাসিক হোটেলে খাবার সরবরাহ করে থাকে। এছাড়া পর্যটন এলাকায় ছোট ছোট অনেক খাবারের হোটেল রয়েছে – কলাপাড়া হোটেল, হোটেল মান্নান, হোটেল বরিশাল ইত্যাদি। এসব হোটেলে কম খরচে মান সম্মত খাবার পাওয়া যায় ও সরবরাহ করা হয়।

আমার ওয়েবসাইট : https://bit.ly/3MivuxT

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!