আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় বন্ধুগণ, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি।আজকে আমি আপনাদের সামনে আবারো একটি নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম।আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত আমার পাশে থাকবেন।
আজকে আমি আমার শখের প্রিয় মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরাঘুরির চতুর্থ পর্ব নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। এর আগে আমি পর্যায়ক্রমে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরাঘুরির প্রথম, দ্বিতীয়, ও তৃতীয় পর্ব ব্লগ আকারে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি আজকে নিয়ে আসলাম চতুর্থ পর্ব।আর এই চতুর্থ পর্বে থাকছে আমার প্রিয় শখের মোটরসাইকেল ও প্রিয় বন্ধুবান্ধব গুলো নিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর ভ্রমণ।
বাংলাদেশের স্থল বাণিজ্যের প্রায় ৯০% এ বন্দর দিয়ে হয়ে থাকে।স্থল বন্দর দেখা ও ঘুরার প্রবল ইচ্ছা শক্তি থেকেই আমাদের বেনাপোল স্থলবন্দরে ভ্রমণে যাওয়া। আমার বাসা থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বেনাপোল স্থলবন্দর। আমরা সকাল ৯ টার সময় বাসা থেকে বেনাপোল যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বরাবরের মতো এবারও আমরা ছয় বন্ধু এবং আমাদের সাথে তিনটা মোটরসাইকেল। আমরা পথের মধ্যে একটু ব্রেক নিয়েছি এরপর আবার রওনা করলাম উদ্দেশ্য স্থূলবন্দর বেনাপোল। আমরা দুপুরের আগেই বেনাপোল পৌঁছে গেলাম।প্রথমেই সুবিশাল একটি বড় গেট।
যেখানে লেখা আছে বেনাপোলে আপনাকে স্বাগতম😊।আমরা গেটের সামনে দাঁড়িয়ে একটু ছবি তুললাম এবং চারদিকটা ঘুরে দেখে নিলাম। গেটের সামনে ঘুরাঘুরি শেষ করে আমরা সামনের দিকে অগ্রসর হলাম।
এরপর আমরা গেলাম পাসপোর্ট অফিসের সামনে। সেখানে বাংলাদেশ ও ভারতে যাতায়াতের জন্য একটি রাস্তা রয়েছে।এই পাশে বাংলাদেশ এবং ওই পাশে ইন্ডিয়া।বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সেখানে দায়িত্বরত অবস্থায় ছিল।আমরা কিছু ছবি তুললাম এবং আশেপাশের পরিবেশটা একটু ঘুরে দেখলাম।
এরপর আমরা দুপুরের খাবারের জন্য একটি রেস্টুরেন্টে গেলাম এবং সেখানে আমরা সবাই মিলে দুপুরের খাওয়া দাওয়া করলাম। দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা চলে গেলাম আরেকটি গেটের কাছে। ওই গেটটি দিয়ে বাংলাদেশ এবং ভারতের পণ্যবাহী মালামালের ট্রাকগুলো যাতায়াত করে।ওই জায়গায় রয়েছে দুইটি গেট। একটি বাংলাদেশের গেট সেটা বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে আরেকটি ইন্ডিয়ার গেট সেটা ইন্ডিয়ার সীমানার মধ্যে এবং মাঝখানে একটি জিরো পয়েন্ট নামক স্থান রয়েছে।
দুই গেটেই দুই দেশের দায়িত্বরত প্রশাসনিক লোকজন ছিল।একটি ফাঁকা জায়গায় অনেকগুলো ইন্ডিয়ান লরি এবং বাংলাদেশের ট্রাক পার্কিং অবস্থায় রাখা ছিল।আমরা আশেপাশের পরিবেশটা একটু ঘুরে দেখলাম। এবং কিছু ছবি তুললাম।
ওখানে ইন্ডিয়ান লরির কিছু ড্রাইভার ছিল তাদের সাথে আমরা কথাবার্তা বললাম। আমরা বেনাপোল স্থলবন্দরে অনেকক্ষণ সময় কাটালাম। ঘুরাঘুরি শেষ করে এরপর আমরা সবাই মিলে শখের মোটরসাইকেল গুলো নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
আলহামদুলিল্লাহ আমরা সবাই খুব ভালোভাবে বাসায় এসে পৌঁছালাম।