সম্পর্কের গল্প: রাহুল এবং সোহান
একটি ছোট শহরে, যেখানে সবকিছু ছিল শান্ত এবং সাদামাটা, সেখানেই বাস করত দুই বন্ধু—রাহুল এবং সোহান। তারা একসাথে ছোটবেলা থেকে বেড়ে উঠেছিল। তাদের বন্ধুত্বের গল্প ছিল সত্যিই অনন্য।
ছোটবেলার স্মৃতি
রাহুল ছিল খুবই উচ্ছল এবং হাসিখুশি। সে সবসময় নতুন নতুন পরিকল্পনা করত। অন্যদিকে, সোহান ছিল একটু গম্ভীর, কিন্তু সে ছিল খুবই বুদ্ধিমান। তারা একে অপরকে সম্পূরক করত। রাহুলের উদ্যম এবং সোহানের চিন্তাভাবনা—এই দুইয়ের মিশ্রণে তাদের বন্ধুত্ব ছিল অটুট।
ছোটবেলায় তারা একসাথে খেলা করত, গাছের ডালে চড়ত, এবং নদীর পাড়ে বসে গল্প করত। তারা একসাথে স্কুলে যেত, এবং পড়াশোনায় একে অপরকে সাহায্য করত। তাদের বন্ধুত্ব ছিল সত্যিই মধুর।
একটি বিপর্যয়
কিন্তু একদিন, একটি বিপর্যয় ঘটে। সোহানের বাবা একটি বড় চাকরির জন্য শহর ছেড়ে চলে যান। সোহানকে তার পরিবারকে অনুসরণ করতে হয়। রাহুলের জন্য এটি ছিল একটি বড় ধাক্কা। তারা একে অপরকে মিস করতে শুরু করে। ফোনে কথা বলা, চিঠি লেখা—এগুলোও তাদের সম্পর্ককে পুরোপুরি পূরণ করতে পারছিল না।
পুনর্মিলন
বছর কেটে যায়। সোহান শহরে ফিরে আসে। রাহুলের সাথে দেখা করতে সে খুবই উত্সুক ছিল। যখন তারা আবার দেখা করে, তখন তাদের মধ্যে পুরনো স্মৃতিগুলো ফিরে আসে। তারা একসাথে অনেক সময় কাটায়, নতুন স্মৃতি তৈরি করে। সোহান রাহুলকে তার নতুন অভিজ্ঞতা শেয়ার করে এবং রাহুলও তার জীবনের নতুন গল্প শোনায়।
বন্ধুত্বের শক্তি
সোহানের ফিরে আসার পর, তারা বুঝতে পারে যে, সত্যিকারের বন্ধুত্ব কখনো মরে না। দূরত্ব এবং সময় তাদের বন্ধুত্বকে দুর্বল করতে পারেনি। তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে, তারা আর কখনো একে অপরকে ছেড়ে যাবে না। বন্ধুত্বের শক্তি তাদের জীবনে একটি বিশেষ স্থান তৈরি করে।
উপসংহার
রাহুল এবং সোহান আজও একে অপরের সাথে আছে। তারা একে অপরকে সমর্থন করে, সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে, এবং জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করে। তাদের বন্ধুত্বের গল্প আমাদের শেখায় যে, সম্পর্কের মূল হচ্ছে বিশ্বাস, সমর্থন এবং ভালোবাসা।
এভাবেই রাহুল এবং সোহানের বন্ধুত্ব চিরকাল অটুট থাকবে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit