---

বন্ধুত্বের গল্প

একটি ছোট গ্রামে রাহুল এবং সোহান নামের দুই বন্ধু বাস করত। তারা একে অপরের সঙ্গে ছোটবেলা থেকে বড় হয়েছে এবং তাদের বন্ধুত্ব ছিল অটুট। গ্রামের সব শিশুরা যখন খেলাধুলা করত, তখন রাহুল এবং সোহান সবসময় একসঙ্গে থাকত।

গ্রামের পরিবেশ

গ্রামটি ছিল সবুজে ঘেরা, চারপাশে ছিল খোলা মাঠ আর নদীর স্রোত। সকালে সূর্যের আলো যখন নদীর জলে পড়ে, তখন তা যেন এক স্বর্গীয় দৃশ্য তৈরি করে। রাহুল এবং সোহান প্রতিদিন সকালে নদীর পাড়ে গিয়ে মাছ ধরতে যেত। তারা একসঙ্গে গল্প করত, হাসত এবং সময় কাটাত।

একটি সমস্যা

একদিন, গ্রামের কাছে একটি বড় ঝড় এল। ঝড়ের ফলে গ্রামের অনেক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলো। রাহুলের পরিবারও এই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। রাহুল খুব দুঃখিত ছিল, কারণ তার বাবা-মা নতুন করে সব কিছু শুরু করতে চাইছিলেন।

বন্ধুর সহায়তা

সোহান রাহুলের পাশে দাঁড়াল। সে রাহুলকে বলল, "চিন্তা করোনা, আমরা একসঙ্গে কাজ করব।" সোহান রাহুলের পরিবারের জন্য খাবার এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে শুরু করল। গ্রামের অন্যান্য মানুষও তাদের সাহায্যে এগিয়ে এল।

নতুন শুরু

সোহানের সহায়তায় রাহুলের পরিবার ধীরে ধীরে তাদের জীবন পুনর্গঠন করতে শুরু করল। রাহুলের বাবা নতুন করে একটি দোকান খুললেন এবং রাহুল সেখানে সাহায্য করতে লাগল। সোহানও মাঝে মাঝে সেখানে এসে সাহায্য করত।

বন্ধুত্বের মূল্য

এই ঘটনার পর রাহুল এবং সোহানের বন্ধুত্ব আরও গভীর হলো। তারা বুঝতে পারল, সত্যিকারের বন্ধুত্ব মানে একে অপরের পাশে দাঁড়ানো, সুখে-দুঃখে একসঙ্গে থাকা।

উপসংহার

গ্রামের মানুষ তাদের বন্ধুত্বের উদাহরণ হিসেবে রাহুল এবং সোহানকে দেখাতে শুরু করল। তারা বুঝতে পারল, বন্ধুত্বের শক্তি সব বাধা অতিক্রম করতে পারে। এবং সেই থেকে, রাহুল এবং সোহান তাদের বন্ধুত্বের মাধ্যমে গ্রামের সকলের জন্য একটি উদাহরণ হয়ে উঠল।

বন্ধুত্বের এই গল্প আমাদের শেখায়, একে অপরের পাশে দাঁড়ানোই আসল বন্ধুত্ব।

---

---

Pixabay.com