‘রিয়েল ইস্টেট এন্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ’(রিহ্যাব) এর সংকট ও সম্ভাবনাঃ

in life •  6 years ago 

উন্নত আবাসন ব্যবস্থা একটি জাতির অগ্রগতির অন্যতম মাপকাটি। নগরায়ন ও জীবন যাএয়ার মান বৃদ্দির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাস্থানের মত মৌলিক চাহিদার পুরনের দিক থেকে এ ক্ষাতের গুরুত অপরিসীম। মানুষের ৫টি মৌলিক চাহিদা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা। প্রতি নিয়ত বাড়ছে মানুষ, তার সাথে বাড়ছে বাসস্থালের চাহিদাও, আর সেই সাথে তাল মিলিয়ে গড়ে ওঠেছে আবাসন ব্যবসা। প্রতি বছর আমাদের দেশে ৪ থেকে ৫ লক্ষ্ আবাসনের প্রয়োজন। এ চাহিদা পুরোনের ভিত্তিতে আবাসন নির্মানের জন্য আমাদের দেশে গড়ে ওঠেছে বেশ কিছু বেসরকারি আবাসন প্রতিস্থান। আর এর সঙ্গে ২৭৯টি খ্যাতে ওতোপতো ভাবে জরিত আরো ১২৭০০ প্রতিস্থান। অথচ আমাদের দেশের অর্থনিতিতে আলো সড়ানো আবাসন ক্ষাত এগোচ্ছে নানা সংকটে। এর প্রদান কারন জমির উচ্চ মূল্য, নিয়মিত ফ্লাট বিক্রি না হওয়া, নকছা উনোমুদন ও গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে বিড়ম্বনা, ক্রেতা পর্যায়ে ঋন সুবিদার অভাবসহ নানা সমস্যায় আবাসন সংকটে পড়েছে। ফলে আবাসন খ্যাতে বিনিয়োগ করা প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা এখন ঝূকির মূখে। ২০১১ সালের পূর্বে ফ্ল্যাটের চাহিদা ছিল বেশি, যোগান ছিল কম অথচ এখন এর চিত্র সম্পূর্ন ভিন্ন। যোগান আছে চাহিদা নাই। এ অবস্থায় এই খ্যাতে গতি ফেরাতে ‘রিয়েল ইস্টেট এন্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ’(রিহ্যাব) সরকারের সহায়তা চাচ্ছে। উচ্চ সূদে ব্যাংকিং নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়িরা। সহজ সর্তে, সল্প সূদে ঋন না পাওয়ায় ক্রেতাদের আগ্রহ কম। ফ্ল্যাট ও জমির রেজিস্ট্রেশন ব্যয় বেশি হওয়ায় বাড়ছে হতাছা। আবাসনের সহযোগি বা লিংকেজ ২০৭৯টি শিল্পিও অস্থিরতায় ছড়িয়ে পড়েছে। নানা প্রতিকূলতা সত্তেও দেশের আবাসন ক্ষাতে গত ৩দশকে একটা বিপল্প ঘটেছে। বিশেষ করে ঢাকা,চট্রোগ্রাম ও সিলেটে এ বদলটা চোখে পরার মত। আবাসন ক্ষাতের সংগে জিডিপির সম্পর্কও রয়েছে, এ বাস্তবতায় আবাসনের চাহিদাও বাড়ছে বলে মনে করেন অর্থনিতিবিদ, ব্যবসায়ি ও বিশ্লেষকরা। দেশে ভুক্তা অধিকার নিয়ে আন্দলনরত কন্সুমার এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ এর তথ্য মতে ঢাকা নগরির ৭০% মানুষ তাদের আয়ের ৬৫% ব্যয় করে বাড়ি বাড়া দিয়ে। বছর দশেক আগে বাড়ি ভাড়া বৃদ্দির হার ছিল ১৫ থেকে ২০ ভাগের মধ্যে, বর্তমানে তা দারিয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ ভাগে। জমির সল্পতা, আইনের জটিলতা, দূর্বল পরিকল্পনা, প্রাতিস্থানিক ব্যবস্থা গ্রহন এবং সর্বোপরি নিতিগত ব্যবস্থার অভাবে এখানেই অপরিকল্পিত নগড়ায়নও বাড়ছে, সংকোচিত হচ্ছে নগর বাসির সুবিদা। এ ক্ষাতের বিকাশ হলে অর্থনীতি বাড়বে। আবাসন ব্যবসায়িদের সংগঠন ‘রিয়েল ইস্টেট এন্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ’ এর তথ্য মতে দেশে এখন আবাসন প্রতিস্থানের ১২১৯০টি ফ্ল্যাট অবিক্রিত অবস্থায় রয়েছে। এসব ফ্ল্যাটের আনুমানিক বাজার মূল্য ৮৮৮০ কোটি টাকা। এসব প্রকল্পে বিনিয়োগের পরিমান ২১৬০০ কোটি টাকারও বেশি। ব্যাংকিং ক্ষাতে দেশের সল্প আয়ের মানুষদের সিঙ্গেল ডিজিট হারে ঋন দেওয়া হলে আবাসন ক্ষাত গোরে দারাবে। মাসিক কিস্তি, মধ্যবিত্ত ও নির্ধারিত আয়ের মানুষের জন্য সহনীয় পর্যায়ে আনতে হবে। আবাসন প্রকল্পে, গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানি প্রদানের প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত্ তর করতে হবে। এসব বিষয়ে সরকারি নীতিগত পদক্ষেপ জরুরী বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। কর্ম সংস্থানের দিক থেকেও গুরতপুর্ন ভূমিকা পালন করছে দেশের আবাসন ক্ষাত। প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষ আবাসন ক্ষাতে নিয়োজিত আছেন। শুধু নির্মান শ্রমিক নন দক্ষ জন শক্তিও তৈরি দিক থেকেও এ ক্ষাতের গুরত্ত অপরিসীম। সরকারি রাজস্ব আয়ের দিক থেকেও আবাসন ক্ষাত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। এ ক্ষাত থেকে সরকার প্রতি বছর সরাসরি ১.৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পাচ্ছে। নির্মান সামগ্রীর আমদানির কর থেকে আরো ১.৫ হাজার কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে। মুলত বেসরকারি উদ্যোক্তারাই বাংলাদেশে আবাসন ব্যবস্থার উন্নয়নে বড় অবদান রাখছে। আবাসন প্রতিস্থান গুলো গত ২০ বছরে ১৬৫০০০ ফ্ল্যাট হস্তান্তর করেছে বলে জানিয়েছে ‘রিয়েল ইস্টেট এন্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ’(রিহ্যাব)। জাতীয় অর্থনীতিতে আবাসন ক্ষাতের অবদান বহুমূখী। প্রয়োজনীয় পৃষ্টপোষকতা ও একটি মহাপরিকল্পনা করতে পারলে আবাসন ক্ষাত হবে দেশের অন্নতম লাভজনক খ্যাত।
real.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!