মালাই চা । অনেকবারই খেয়েছি। তবে, কল্যাণী হাই ওয়ের কাছে পানপুরের একটা টি স্টলে যেমনটি মালাই চা পাওয়া যায় তেমনটি আর কোথাও দেখলুম না। ভারী স্বাদ এখানকার দোকানের মালাই চায়ের।
তবে কি না অনেকটাই দূর হয়ে যায় আমাদের বাড়ি থেকে। যাওয়া আসা 70 কিলোমিটার এর মত হবে । তার মানে এক কাপ চায়ের দামের সাথে আরো 700 টাকার গাড়ির তেল খরচা আছে।
যেতে আসতেও বেশ কিছুটা টাইম লাগে। তা সত্ত্বেও প্রায়ই যাওয়া হয় মালাই চা খেতে। ওই এলাকাতেই আবার আমাদের নিলয়ের শ্বশুরবাড়ি । তাই ওই এলাকার পথ ঘাট সবই নিলয়ের নখদর্পণে।
দোকানের নাম "কৃষ্ণ টি স্টল" । এলাকার সবাই কৃষ্ণদার চায়ের দোকান নামে একডাকে চেনে। খুবই বিখ্যাত দোকান । দোকানের ভিতরে আড্ডা দেওয়ার প্রচুর স্পেস রয়েছে। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা আসে সন্ধ্যায় এখানে আড্ডা মারতে ।
এই দোকানে চা-ই পাওয়া যায় 30-40 রকমের । এছাড়াও আছে হরেক রকমের কফি ও স্ন্যাকস । তন্দুরী চা, লেয়ার চা, দার্জিলিং টি, মালাই চা, পেস্তা কেশর চা, বাদাম লস্যি চা, রাবড়ি চা, লেমন চা, গোল্ডেন টি, অরেঞ্জ টি আরো কত কী!
আমরা শুধু ওই মালাই চা-ই খেতে যাই। মাটির ভাঁড়ে দেয় এই মালাই চা । উপরে পুরু করে থাকে খাঁটি দুধের সর । এক এক কাপ মালাই চায়ের দাম 120 থেকে সাইজ অনুযায়ী 300 টাকা অব্দি আছে । তবে রাবড়ি চায়ের দাম আরো বেশি। কেশর থাকলে মালাই চায়ের দামও অনেকটাই বেশি হয়।
এই চায়ের দোকানে চা খেতে এলে পকেটে কিন্তু মালকড়ি ভালোই রাখতে হবে। চার জন মিলে চা আর স্ন্যাকস নিলে হাজার দুয়েক খসে যেতে পারে।
তবে চায়ের দোকানের আশেপাশের পরিবেশ বেশ মনোরম। পুরো গ্রাম তো তাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য প্রচুর । আদিগন্ত খোলা ফসলের মাঠ, রাস্তার দু'ধারের গাছগাছালি, বেশ সুন্দর মনোরম একটা প্রাকৃতিক পরিবেশ।
মাঝে মধ্যেই তাই আমরা সবাই মিলে মালাই চা আর প্রকৃতির সান্নিধ্য উপভোগ করতে চলে আসি পানপুরের কৃষ্ণদার চায়ের দোকানে।