ঈমাম আবু হানিফা (রহঃ) এর তাকওয়া ও পরহেজগারী যা আমাদের কাছে এই জামানায় সপ্ন

in life •  6 years ago 

ঈমাম আবু হানিফা (রহঃ) ছিলেন ফিকাহ (ইসলামি মাসলা ও মাসায়েল) শাস্রের উদ্ভাবক। চার ইমামের মধ্যে তিনিই একমাত্র তাবেঈন যিনি একাধিক সাহাবীদের দেখেছেন। তিনিই প্রথম ইসলামী আইনশাস্র কিতাবাকেরে লিপিবদ্ধ করান।

IMG_20180809_054654.jpg

Masjid - e- Nabi

Image Source:@mizan570

ঈমাম আজম আবু হানিফা (রহঃ) শৈশবকাল থেকেই অত্যন্ত মেধাবী, প্রখর বুদ্ধিমত্তা ও অসাধারণ স্মৃতিশক্তির স্মৃতিশক্তির অধিকারী ছিলেন। শৈশবকালে তিনি পবিত্র কুরআনে করিম হিফজ করেন। কুরআন তিলাওয়াতের প্রতি তার খুব আসক্তি ছিল। তার সাধারণ অভ্যাস ছিল প্রতিদিন দুই খতম করা অর্থাৎ মাসে ৬০ খতম পড়তেন। রাতে তাহাজ্জুদে ও দিনে নফল নামাজে।

আল্লাহ প্রদত্ত তীক্ষ্ণ প্রতিভা ও প্রখর স্মৃতিশক্তির সাথে আকর্ষণীয় সুন্দর চেহারার অধিকারী ছিলেন, তাকে দেখা মাত্রই লোকদের দৃষ্টি তার প্রতি নিবদ্ধ থাকত।

1531013688583.jpg

.
Image Source:@mizan570

একবার লুটের কিছু ছাগল কুফাবাসীদের ছাগলের সাথে মিলে গিয়েছিলো। লুটের ছাগল ও কুফাবাসীদের নিজিস্ব ছাগলের মধ্যে পার্থক্যও করা যাচ্ছিলনা যে সেগুলো পাল হতে পৃথক করে মালিকের নিকট হচ্তান্তর করা যাবে। এখন এ আশংকা হচ্ছিলো যে কসাই বাজার হতে যে ছাগল এনে জবাই করবে হয়তোবা তন্মধ্যে লুটের ছাগলও থাকবে এবং বাজারের মধ্যে সেটার গোশতও বিক্রি করা হবে । এভাবে লুটের ছাগলের গোশত লোকদেরকে খাইয়ে দিবে। এমন গোস্ত থেকে কিভাবে বেঁচে থাকা যায়? ঈমাম আবু হানিফা (রহঃ) সে বিষয়ে চিন্তা করতে লাগলেন। তিনি মানুষকে জিজ্ঞাসা করলেন যে একটি ছাগল কতদিন জীবিত থাকতে পারে? তারা বললো সাত বছর। ঈমাম আবু হানিফা (রহঃ) দীৰ্ঘ সাত বছর পর্যন্ত কুফাবাসীদের বাজার থেকে ছাগলের গোস্ত ক্রয় করেন নাই।

IMG_20180812_083027.jpg

Battle field of Ohud

Image Source:@mizan570

ভাই ঈমাম আবু হানিফার (রহঃ)জায়গায় আমরা হলে কি করতাম? কি বলতাম? যুক্তি দিতাম আমিতো ফ্রি খাইতেছিনা, টাকা দিয়া কিনে খাইতেছি সমস্যা কোথায়? তিনি ছিলেন উচ্চ মাত্রার পরহেজগার মানুষ। আল্লাহ আমাদেরকেও ছিটা ফোটা দান করুন।

Please Follow, Upvote & Resteem for @mizan570

text.gif

steem.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) অবশ্যই কোরআনের (নামাজে) তেলাওয়াতের আদব জানতেন। পায়খানা, ইস্তেঞ্জা, গোসল, খাবার, ফরজ নামাজ, ঘুম (ঘুম সর্বনিম্ম ৩ ঘণ্টা), অজু, স্ত্রীকে সময় দেওয়া ইত্যাদি বাদ দিলে সর্বচ্চ ১৬ ঘণ্টা সময় তিনি পেতেন, এই ১৬ ঘণ্টায় ১৬ পারার বেশি কোরআন পরা সম্ভব নয়, পড়লে কোরআনের আদব ঠিক থাকেনা। প্রতিদিন ৬০ পারা তো দুরের কথা ৩০ পারার হিসাবই তো মিলে না। তার তাকওয়া সম্পর্কে আমার কোন সন্দেহ নাই। কিন্ত আপনার কি তাকে বিতর্কিত করে ফেলছেন না ?

বুজুর্গরা সময়কে রাবারের মতো টেনে লম্বা করতেন। আমাদের ব্যাক্তিগত যোগ্যতা দেখলে হবে না। শুধু বস্তুর উপর একিন করলে হবে না, আল্লাহর কুদরতের উপর বিশ্বাস থাকতে হবে। আপনি ব্যাক্তিগত হিসাব মিলাইতেছেন। আমাদের নবী এক রাতে সাত আসমান ভ্রমণ করলেন কিভাবে? যেখানে মাসের পর মাস আলোর গতিতে চললেও যাওয়া যাবে না, আপনি এখন বলতে পারেন উনি নবী ছিলেন তাই সম্বভ। লোক পরিবর্তন হতে পারে কিন্তু আসমানওয়ালার কোনো পরিবর্তন নাই। সুরুতে যিনি ছিলেন তিনিই আছেন, ওখানে হাসিনা খালেদা নাই যে আমার দলের লোক না হলে কাজ হবে না। আল্লাহর সাথে বান্ধার সন্মর্ক হল বন্দেগীর, আপনি চেষ্টা করলেও পারবেন। কিন্তু মনের মদ্যে ওই হিম্মত ও আল্লাহর উপর বিশ্বাস থাকতে হবে। ঈমাম আবু হানিফ (রহঃ) কে মানুষ জিজ্ঞেস করেছিল আপনি এই অসম্বব কাজকে কিভাবে সম্ভব করলেন? উনি জবাব দিয়েছিলেন আল্লাহ আমার বাহিরের মজবুতি দেখে, ভিতরেও মজবুতি দিয়েছ। ঈমাম আবু হানিফ (রঃ) মারা গেছেন ১৫০ হিজরীতে আর এখন ১৪৪০ চলে, বেশি দিন হবে না ইন্ডিয়াতে এক বুজর্গ ছিলেন, আসর থেকে মাগরিব এর মাঝে এক খতম করতেন । অনেকে বিশ্বাস করতে চাইতো না আপনার মত তখন তিনি বলতেন আসরের নামাজের পর যমুনার তীরে আমার সাথে বস এবং দেখ। ভাই আলেমদের কাছে যান আপনি যা জানেন তা পর্যাপ্ত না। এইজন্য আমার এতো কথা বলা লাগলো এই সময় আমি আর একটা পোস্ট দিতে পারতাম।
আবারো বলতেছি উপরে যিনি আছেন উনার স্বজন নেই উনি স্বজনপ্রীতি করেননা। বান্ধা উনার ঈবাদত করার জন্য যা চাইবে উনি দিবেন, সময়কে তো উনি কন্ট্রোল করেন। ঘড়ির হিসাবে যাওয়াই অনুচিত, উনি সময়কে লম্বা ও ছোট দুটিই করতে পারেন যে কারো জন্য। আপনি আপনার নিজের জন্য চেষ্টা করেন না কেন?

শেষে বলবো হজরত ওসমান (রাঃ) দুই রাকাতে পুরা কুরআন খতম করতেন তাবেঈনদের ভিতর উনি(অাবু হানিফা) ছাড়া আরো অনেকে করছেন ।

ভাই লিখে আপনি যে কষ্ট করেছেন আমার upvote এর মাধ্যমে কিছুটা ক্ষতি হয়ত আপনার পুষিয়েছে। তারপর ও আল্লাহ আপনাকে উওম প্রতিদান দান করবেন।

Posted using Partiko Android

Congratulations!

This post has been upvoted from Steemit Bangladesh, @steemitbd. It's the first steemit community project run by Bangladeshi steemians to empower youths from Bangladesh through STEEM blockchain. If you are from Bangladesh and looking for community support, Join Steemit Bangladesh Discord Server.

If you would like to delegate to the Steemit Bangladesh, you can do so by clicking on the following links:

50 SP, 100 SP, 250 SP, 500 SP, 1000 SP.

YOU ARE INVITED TO JOIN THE SERVER!

@mizan570 purchased a 27.78% vote from @promobot on this post.

*If you disagree with the reward or content of this post you can purchase a reversal of this vote by using our curation interface http://promovotes.com

Congratulations @mizan570! You have completed the following achievement on the Steem blockchain and have been rewarded with new badge(s) :

You received more than 3000 upvotes. Your next target is to reach 4000 upvotes.

Click here to view your Board
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word STOP

You can upvote this notification to help all Steemit users. Learn why here!

This post has received a 5.61 % upvote from @boomerang.

  ·  6 years ago Reveal Comment