অবাক লাগে যখন রাস্তায় বের হলে ছোট বাচ্চারা এসে বলল, ভাইয়া ২টা টাকা দেন। আবার অনেক সময় রাগও হয়। সেই রাগাটার কারন হল ভিক্ষা এখন আমাদের দেশের বড় ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছ। এটি আমদের দেশের একটি কাল হয়ে দাড়িয়েছে। অনেক অসাধু লোকেরা খুব কম বয়সি বাচ্চা কিংবা বৃদ্ধ লোকদের দিয়ে পথে ঘাটে ভিক্ষার থালা হাতে দিয়ে বসিয়ে দিচ্ছেন।
আজকে দুপুরের একটি ঘটনা, বোনকে পরিক্ষার কেন্দ্র থেকে নিয়ে বাসায় আসতেছিলাম। বাসায় ঢুকার আগ মূহুর্তে একটি বাচ্চা আসল এসে বলতেছে ভাইয়া ২ টা টাকা দেন দয়া করে। আর দুই টাকা হলে আমার কাছে ১ ০টাকা হবে। আমি তখন বললাম আমার কাছে ৫০০ টাকার নোট ভাংতি নাই রে ভাই। তখন সে অবাক করা একটা কথা বলল, যে আমার কাছে ৫০০ টাকার ভাংতি আছে। আমি তার কথা ঠিক খেয়াল করলাম না। যখন আবার বলল, তখন আমি ঠিকই শুনতে পাই আমি বললাম যে,
তুইতো এখুনি বললি যে আর দুই টাকা হলে তোর কাছে ১০ টাকা হবে তুই ভাল কিছু খেতে পারবি। আবার তোর কাছে ৫০০টাকার ভাংতি আছে কিভাবে। এটা বলার পর ছেলেটি আর কিছুই বলল না।
চলুন এবার আসি মূল কথায় আমাদের ভাবনা চিন্তা কিবলে?
৫টা প্রশ্ন রইল আমার জাতির কাছে?
১। ছেলেটা আসলেই খেতে পারতনা যদি ভিক্ষা না করত।
২। যদি নাই খেতে পারত তাহলে তার কাছে ৫০০ টাকার ভাংতি কিভাবে থাকে? ছেলেটা কাছে আরো কত টাকাই না ছিল?
৩। আমাদের সমজে যারা ভিক্ষা করতেছে তারা কি আসলেই ভিক্ষা পাবার যোগ্য?
৪। ছেলেটা কেন ভিক্ষা করতেছে? তারতো আজ স্কুলে থাকার কথা? কেই বা ছেলেটাকে দিয়া ভিক্ষা করাচ্ছে?
৫। আমাদের সমাজ আজ কোথায় দারিয়ে।
আজকের মত এখানেই কাহিনী শেষ করলাম। যদি কোন দিন ছেলেটির সাথে দেখায় হয় তার রহ্যস বেদ করতে পারলে আপনাদের সাথে সেয়ার করব। আমি প্রশাসনের দৃশটি আকর্ষন করব যে আপনারা দয়া করে এ দিক গুলোর প্রতি নজর দেন।
আমার পোস্টি ভাল লাগলে ভোট দিবেন এবং শেয়ার করবেন। আর আমার ৫টি প্রশ্নের উত্তর কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আর আরো আমার পোস্ট পেতে হলে আমার পোফাইলে ফলো করুন।
ধন্যবাদ।