পূর্ব প্রকাশের পর:
নতুন অভিজ্ঞতা.......
একি আমি সত্যি দেখছিতো! চলচিত্র জগৎের বিখ্যাত খলনায়ক বেদের মেয়ে জোৎনা খ্যাত “নাসির খান”। তিনি আমার সামনে সাদা লুঙ্গী আর স্যন্ডগ্যাঞ্জি পরে দাড়িয়ে ..................
তার চিৎকার শুনে রান্নাঘর থেকে হারুন ভাই (বাবুর্চি) বের হয়ে এলেন, সাথে সাথে মহাজনের স্ত্রী এবং তার মা ও। হারুন ভাই নাসিরখানকে আমার সম্পর্কে বললেন, গতরাতে মহাজন আমাকে এখানে নিয়ে এসেছেন তার এখানকার হোটেলের জন্য। বলতেই হারুন ভাইকে দিলেন এক ধমক, গতি খারাপ দেখে তার মা নরম কন্ঠে ডাকলেন “নাসির” শোন বাবা, তার মায়ের কষ্ঠস্বর শোনার সাথে সাথে দেখলাম নাসির খান আর নাসির খান নেই, অর্থাৎ এতক্ষন যাকে দেখছিলাম সেই লোকটাই নিমিষের মধ্যে পরিবর্তন হয়ে গেল। শান্ত কণ্ঠে এবং বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে উত্তর দিলেন “জি ...মা” কিছু বলবেন! তার এই পরিবর্তণ আমি লিখে বা কথার ভাষায় বুঝাতে পারব না যে, একটা লোক তার মায়ের প্রতি কটতা শ্রদ্ধা এবং সম্মান দেখাতে পারে নাসির খানকে না দেখলে হয় কোনদিনই বুঝতাম না। তার মা নাসির খানকে আমার সম্পর্কে বললেন এবং বোঝালেন আমি অনাথ, দুনিয়াতে আমার কেহ নেই তাই আমার সাথে যেন খারাপ ব্যবহার না করেন। আমার সুবিধা অসুবিধা যেন দেখেন। তার প্রতিটি কথার প্রতিউত্তরে নাসির খান শুধুই জি... জি... ছাড়া আর কোন উত্তর দিলেন না, অথবা পাল্টা কোনো প্রশ্নও করলেন না। সকল কথা অত্যান্ত মনোযোগ দিয়ে শোনার শেষে আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন তোমার নাম কি সহ আরও অনেক প্রশ্ন। সত্য মিথ্যা মিলিয়ে সব প্রশ্নেরই উত্তর দিলাম। জিজ্ঞাসা করলেন ড্রয়িংরুমে ঢুকছিলামি কেন? বল্লাম কয়েকদিন ঠিকভাবে ঘুমাতে পারিনি, তাই মহাজন আজ আমাকে ঘুমাতে বলেছেন এবং কাল থেকে ডিউটি করতে বলেছেন। ওওওওওওও... বলে আমাকে বল্লেন, কিন্তু ভাইয়া ওটা তো ড্রয়িংরুম, বাসায় কোন মেহমান আসতেই পারে, তা তুমি ওখানে ঘুমাল তারা বসবেন কোথায়? ভাবছিলাম আর ঘুম হবে না। কিন্তু পরক্ষণেই আবার বললেন সমস্যা নেই তুমি আমাদের রুমে গিয়ে ঘুমাও, আমি তোমার ভাবিকে বলে দিচ্ছি ব্যবস্থা করে দিতে বলেই তিনি তার রুমে ঢুকে গেলেন।
হাই তুলতে তুলতে বয়স ২৮/৩০ এর মিডিয়াম হাইডের একজন সুন্দরী মহিলা বের হয়ে এলেন নাসির খানের রুম থেকে। আমাকে দেখে জিজ্ঞাসা করলেন তুমি নতুন এসেছ? মাথা ঝুকিয়ে উত্তর দিলাম, বল্ল আস আমার সাথে। তার সাথে তাদের রুমে গেলাম, তিনি জিজ্ঞাসা করলে বিছানা টিছানা লাগবে কিনা, উত্তর দিলাম “না” পরে একটা বিছানার চাদর এবং একটি বালিশ দিয়ে রুমের এক কর্ণারে গিয়ে ঘুমাতে বললেন। দেখলাম নাসির খান ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে বল্ল ঘুমাও। তিনি বের হওয়ার জন্য তৈরী হচ্ছেন, তার স্ত্রীও তার নাস্তার আয়োজন করতে ব্যস্ত। নিজেকে খুব ছোট এবং অসহায় মনে হতে লাগল এবং বুক ভেংগে কান্না আসতে লাগল। যেই লোকটিকে সিনেমার পর্দায় দেখেছি সব সময় খারাপ কাজ করতে, আজ সেই লোকটি বাস্তব জীবনে তার মাকে কতটা ভক্তি শ্রদ্ধা করেন আর আমি আমার মা বাবা থাকতেও তাদেরকে মৃত বানিয়ে ফেলেছি। ইচ্ছে হচ্ছিল চিৎকার করে কাদি,
“আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া করিতে পারিনি চিৎকার, বুকের ব্যথা বুকে চাপায় নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার”।
সকলের অজান্তেই চোখ বেয়ে পানি ঝরতে লাগল। এরই মধ্যে হারুন ভাই রুমের বাহির থেকে ডাক দিল, সোহেল নাস্তা করে তারপরে ঘুমাও। তারাতারি আস, নাস্তা সেরে এসে ঘুমাতে চাইলাম কিন্তু ঘুম আর হল না।
সারাদিন বাসায়ই ছিলাম, বাসায় থাকার সুবাদে এরই মধ্যে বাসার সবার সাথে মোটামুটি ভাব জমে গেছে। সবাই আমাকে খুবই স্নেহ করত। পরের দিন সকাল থেকে ডিউটি শুরু হয়ে গেল, সকালে হোটেল খোলার গুরু দায়িত্বটাও আমার উপরেই পড়ল। সকাল ৭ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত কাজের অনেক চাপ থাকে। কোথাও এতটুকু দাড়ানোর সময়ও পাইনি, অনেক কষ্ট হচ্ছিল। কাজ ছিল সবাইকে পানি দেয়া, টেবিল মোছা, সালাত কেটে দেয়া ইত্যাদি ইত্যাদ...। তবে শত কষ্টের মাঝেও আনন্দ হচ্ছিল, কারণ সবাই খাওয়া শেষে কিছু না কিছু হাতের মুঠোয় দিয়ে যাচ্ছিল। প্রথমে নিতে কেমন যেন সংকোচ হচ্ছিল, তাই বার বার মহাজনের দিকে তাকাচ্ছিলাম। দেখলাম আমার অবস্থা দেখে মহাজন এবং ম্যনেজার হাসছিল। পরে মহাজন চোখের ইশারায় আমাকে বুঝিয়ে দিল যে, ওগুলো আমারই প্রাপ্য এবং আমি যেন সেগুলো নেই। সকাল দশটার দিকে হোটেল প্রায় শুন্য হয়ে গেল। মহাজন আমাকে ডেকে নাস্তা করে হোটেলটা আবার একটু মফ দিয়ে পরিস্কার করতে বললেন।
বেশ ভালই সময় কাটছিল, দুপুর ১২ টা থেকে আবার লোকজন আসতে শুরু করল, এভাবে চলল প্রায় বেলা তিনটা পর্যন্ত। ঠিক তিনটার সময় অন্য লোক আসল ডিউটিতে, মহাজন আমাকে কাজ ছেড়ে খাওয়া দাওয়া করে বাসায় যেতে বলে তিনি বাসায় চলে গেলেন। আমিও কাজ ছেড়ে খাওয়া দাওয়া করে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে হারুন ভাইকে কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলছিলাম, সাথে যোগ দিলেন নাসির খানের স্ত্রী। তার দেখা দেখি মহাজনের স্ত্রীও এসে যোগ দিলেন আমাদের সাথে। সবাই খুব মিশুক এবং রশিক। পকেট থেকে বকশিশ পাওয়া টাকা বের করলাম, এরই মধ্যে মহাজনও রুম থেকে বের হল। আমার বকশিশের টাকা দেখে আমি হোটেলে বসে বকশিশ নেয়ার সময় কি কি করেছিলাম সেগুলো বলতেছিলেন আর হাসছিলেন, বাসার ভেতরে যেন হাসির রোল চলছে, নিজেও তাদের সাথে হাসতে শুরু করলাম। প্রথম বকশিশের টাকা ভালই পেয়েছি, আমার সঠিক মনে নেই তবে প্রায় তিনশত টাকার কাছাকাছি পেয়েছিলাম। প্রথম ইনকাম তাই ভাবিরা কিছু খাওয়ার বায়না ধরল। এই সামান্য টাকায় কি খাওয়াব বুঝতে পারছিলাম না, মহাজন ওয়াইজঘাটের হোটেলের উদ্দেশ্যে বের হয়ে গেলেন, তিন নামার পরেই আমি নিচে নেমে দেখি গেটের পাশে হরেক রকম আচার ওয়ালা আচার বিক্রী করতেছে। দুই ভাবির জন্য চালতার আচার কিনে এনে তাদের হাতে দিলাম। কিযে খুশি তারা হয়েছিল সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। পারলে হয়ত আমোকে কোলে নিয়ে নাচত এমন অবস্থা। তাদের অবস্থা দেখে বারান্দায় বসে থাকা তাদের শ্বাশুরি অর্থাৎ মহাজনের মা আমাকে ডাকলেন, কাছে যেতেই কান টেনে ধরে বললেন হারামজাদা আমি তোমাকে নাসিরের মাইর থেকে বাচিয়েছি তুমি আমার জন্য কিছু আনোনি আর ওদের জন্য আচার এনেছ! দাড়াও আমি আজ নাসিরকে বলতেছি তুমি ফুটপাত থেকে ওদের আচার খাইয়েছ। বুঝলাম মজা করতেছে, আমিও মজা নিলাম, “আপনি কি তাদের মত সুন্দরী যে আপনার জন্য আনব” শুনে দুই ভাবি আরও জোরে হাসতে লাগল। তাকে বললাম খালা পান খাবেন? শুনেই ফিক করে হেসে দিলেন। কানে কানে বললেন খয়ের ছাড়া ভিজাপাতি দিয়ে একটা পান নিয়ে আয়, কেউ যেন দেখতে না পায়।........
চলবে...........
Halo Dear Friends,
We can do anything for ourselves if we want. We do not have to pay any attention to this. So I have made the following decisions. The ones who complete the following steps will also give him the same reprisal.
Follow 👉 @sohelsarowar
👉 Resteem any post from my Blog
👉 Upvote any post from my Blog
I request be honest and kind, once you completed all steps then dont forget to leave your post URL in the comment box i will do sometime instant otherwise confirm in 4-24 hours. respect everyone. Thank You!
Note: Please do not post multiple Post URL in the same blog. 1 person Allow 1 URL then after 24 hours i will new post then you can give me the new one.
Thank you...
অনেক ভালো হয়েছে আপনার আর্টিকেল টা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই, দোয়া করবেন যেন আরও ভালভাবে লিখতে পারি।👍
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
You have recieved a free upvote from @saiduzzaman . For Nice Article . Carry On Brother
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সাপোর্ট দেয়ার জন্য 🌺অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
😍😍😍😍
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
We Love You @sohelsarowar, and Everything You Do.
Thank you for dedicating your time and attention to the STEEM Network.
We took some time to gather some statistics about your posts, we hope you will find them interesting.
Average Votes Per Post: 18.5
Average Replies Per Post: 2.95
Average Post Word count: 609.2
Follow us for future benefits. Why not delegate some STEEM Power 1SP, 5SP, 10SP, 100SP, or Donate to Help Support
Warm Regards,
@WeLoveYou.
We can also resteem and upvote more of your posts
Learn More, Read Our Introduction
If your reputation is lower than 30 resteeming with @WeLoveYou only costs 0.001 SBD
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Congratulations!
This post has been upvoted from Steemit Bangladesh, @steemitbd. It's the first steemit community project run by Bangladeshi steemians to empower youths from Bangladesh through STEEM blockchain. If you are from Bangladesh and looking for community support, Join Steemit Bangladesh Discord Server.
If you would like to delegate to the Steemit Bangladesh, you can do so by clicking on the following links:
50 SP, 100 SP, 250 SP, 500 SP, 1000 SP.
YOU ARE INVITED TO JOIN THE SERVER!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Congratulations! This post has been upvoted from the communal account, @minnowsupport, by sohelsarowar from the Minnow Support Project. It's a witness project run by aggroed, ausbitbank, teamsteem, someguy123, neoxian, followbtcnews, and netuoso. The goal is to help Steemit grow by supporting Minnows. Please find us at the Peace, Abundance, and Liberty Network (PALnet) Discord Channel. It's a completely public and open space to all members of the Steemit community who voluntarily choose to be there.
If you would like to delegate to the Minnow Support Project you can do so by clicking on the following links: 50SP, 100SP, 250SP, 500SP, 1000SP, 5000SP.
Be sure to leave at least 50SP undelegated on your account.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
As a follower of @followforupvotes this post has been randomly selected and upvoted! Enjoy your upvote and have a great day!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit