দিনে কবার স্নান করেন মশাই? একটা সমীক্ষায় এমন একটা সহজ প্রশ্ন করা হয়েছিল সবাইকে। তাতে কেউ জানিয়েছিল দুবার, কেউ একবার। কেউ কেউ তিনবারও স্নান করে থাকেন। আসলে গরম থেকে বাঁচতে অথবা ক্লান্তি দূর করতে স্নানকে উপেক্ষা করার ইচ্ছা কারওরই থাকে না। কিন্ত এই মানুষটা চরম গরম আবহাওয়ার মধ্যে থেকেও টানা ৬০ বছর স্নান করেননি। তবু তিনি দিব্যি আছেন।
ইরানের বাসিন্দা এই লোকটির নাম – আমু হাজি। বয়স প্রায় ৮০ বছর কিন্তু লোকটি ৬০ বছর ধরে স্নান করেনি কিন্তু ডেলি ৫ লিটার করে জলপান করে শরীর ঠিক রাখতে ।এমন জীবন বেছে নিয়েছে মানুষটা? আর কী কী আজব বিষয়ে নিজেকে এমনভাবে বেঁধে রেখেছে আমু? এমন নান প্রশ্ন মাথায় ঘুরছে। তাই আর অপেক্ষা করতে পারছি না। যদি আপনারও একই হাল হয়, তাহলে এক্ষুনি চোখ রাখুন বাকি প্রবন্ধে। জেনে নিন এক আজব, নোংড়া মানুষের উদ্ভট জীবন সম্পর্কে।
স্নান না করার কারণ –
কোনও কারণে তার মনে হয়েছিল স্নান করলে নাকি সে অসুস্থ হয়ে যাবে। তাই ২০ বছরের পর থেকে গায়ে জল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল আমু হাজি। শুধু তাই নয়, তার খাওয়ার ধরণও সাধারণ মানুষদের মতো নয়। আমু খিদে পেলে ভাত-রুটি খায় না, তার প্রথম পছন্দ পোঁচে যাওয়া সজারু। আর এমনটা সে ১-২ বছর নয়, টানা ৬০ বছর ধরে খেয়ে আসছে। এবার বলুন তো এমন মানুষের কথা আগে শুনেছেন কখনও?
ধূমপানে অরুচি নেই –
একা একা থাকতে থাকতে একাকিত্বের সঙ্গে লড়াইটা আমু জিতে গেছে ঠিকই। কিন্তু মাঝে মাঝে সাপের বিষের মতো একা থাকার কষ্টটা কেমন যেন রক্তে মিশতে থাকে ৮০ বছরের বৃদ্ধের। তখন মাথা ঠিক থাকে না। মনে হয় একটু ধূমপান করলে মন্দ হত না।!সে সময় আমু ধূপপান করে। বাতাসকে ভারি করে চারিদিকে ছড়িয়ে দেয় ধোঁয়ার জাল। কিন্তু ভুলেও সে তামাক ব্য়বহার করে না। তার পছন্দ প্রাণীদের শুকিয়ে যাওয়া পটি। এমন জিনিস দিয়ে নেশা করলে নাকি দারুন আমেজ তৈরি হয়, এমনটাই দাবি এই আজব মানুষটির।
এছাড়াও, কখনও কেউ আমুর সঙ্গে দেখা করতে গেলে এমনভাবেই তাকে পাকড়ে ধরেন মানুষটা। আসলে গল্প করার ইচ্ছাটা এখনও মেটেনি তার। তাই তো কাউকে পেলেই শুরু করে দেয় নিজের জীবন কাহিনি। এমন ভাবেই একদিন এক ডাক্তারকে নিজের উদ্ভট জীবন প্রসঙ্গে নানা কথা বলছিলেন আমু। সব শোনার পর ওই ডাক্তারের মনে হয়েছিল নোংড়াভাবে থাকতে থাকতে, নোংড়া খাবার এবং জল খেতে খেতে আমুর শরীরটা নিশ্চয় ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। কিন্তু আজব ব্যাপার, বাস্তবে এমনটা হয়নি। ওই চিকিৎসক আমুর শরীর পরীক্ষা করে দেখেন এত অত্যাচারের পরেও তার শরীরে কোনও রোগ বাসা বাঁধেনি। শুধু তাই নয়, সবদিক থেকে মানুষটা বেজায় সুস্থও আছেন। কিভাবে যে এমনটা সম্ভব হল, সে উত্তর যদিও আজ পর্যন্ত কেউ পায়নি।
দাড়ি কাটে আগুন দিয়ে –
একেবারে এমন কাজটাই করে থাকেন এই বৃদ্ধ। যখন তার দাঁড়ি অনেকটাই বড় হয়ে যায়, তখন অতিরিক্ত অংশটা কেটে না ফেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিতেই সে ভালবাসে। কেন করেন এমনটা? এই প্রশ্নের উত্তর একবার আমু জানিয়েছিল, স্নান না করলেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে সবসময়ই তার মন চায়। তাই তো সে এমনটা করে থাকে।
This post has received a 0.55 % upvote from @buildawhale thanks to: @bappask. Send at least 0.50 SBD to @buildawhale with a post link in the memo field for a portion of the next vote.
To support our daily curation initiative, please vote on my owner, @themarkymark, as a Steem Witness
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর স্টোরি সবসময় সাথে আছি
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thanks
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit