#বাজি
#৬ষ্ঠ_পর্বঃ-
••••••••তানিয়া ভাবছে আরে এই ফাইলটা বেশ চেনা চেনা লাগছে। আরে এটাতো আমারই তবে এটাতো প্রায় দু মাস পুড়োনো। আর এটা আয়াতের কাছে কি করে এলো? আর এটা এত যত্ন করে লুকিয়ে কে রাখা হয়েছে? হুমমম যেভাবেই হোক আমায় জানতে হবে।
তবে হ্যা আয়াতকে বললে চলবে না। ও কিছু না কিছু বাহানা বানিয়ে দিবে। ফাইলটা নিজের কাছে লুকিয়ে রেখে দি।
তানিয়া তানিয়া! তানিয়া শ্বাশুরি তানিয়াকে ডাকছে।
তানিয়া: হ্যা বড় মা বলো?
শ্বাশুরিঃ দেখতো কে এসেছে?
তানিয়া: বাবা তুমি? কেমন আছো?
তানিয়ার বাবাঃ ভালো তা তুই কেমন আছিস?
তানিয়া: খুব ভালো বাবা! তোমার শরীরটা এখন কেমন লাগছে?
তানিয়ার বাবাঃ আল্লাহর রহমতে ভালো।
শ্বাশুরিঃ তানিয়া যাও রুমে গিয়ে তোমার বাবার সাথে কথা বলো।
তানিয়া ওর বাবাকে নিয়ে রুমে গেলো।
তানিয়া: বাবা তোমার সাথে আমার কিছু কথা ছিলো। এত দিন তুমি অসুস্থ ছিলে বলে বলিনি। আমি চাইনি তুমি আবার কষ্ট পেয়ে তোমার শরীর খারাপ করুক।
তানিয়ার বাবাঃ হ্যা বল মা? কি?
তানিয়া: বাবা তুমি সেদিন মানে আমার বিয়ের দিন আমায় মিথ্যে কেন বলছিলে? তুমি বলেছিলে যে সিয়াম আসেনি আর তোমার আর আমার সম্মান বাঁচাতে ফুপিই বললো আয়াতের সাথে বিয়ে দিতে। কিন্তু তুমিতো আগে থেকেই জানতে যে আমার বিয়ে আয়াতের সাথে হচ্ছে! কিন্তু কেনো বাবা? মিথ্য কেন বললে?
তানিয়ার বাবাঃ হ্যা মিথ্যা বলেছি কিন্তু ভুল কিছু করিনি। আসলে বিয়ের আগের দিন রাতেই সিয়াম আমায় ফোন করে বলে ও এ বিয়ে করতে পারবে না। কারন হিসাবে কিছুই বলেনি। তারপর ফোন বন্ধ করে রেখেছে। তখন আমার মাথা কাজ করতে ছিলো না। তাই তোর কাকার কাছে গিয়ে সব খুলে বলি। কিন্তু কোন সমাধান পেলাম না। আমারা যখন কথা বলছিলাম তখন আমাদের কাছে তোর ফুপা মানে আয়াতের আব্বুও ছিলো। কিছুক্ষন পর তিনি আর তোর ফুপু এসে আমাকে বলে
আয়াতের মাঃ হামিদ তুই যদি মনে না করিস তাহলে আমি তানিয়াকে আয়াতের বৌ হিসাবে আমার ঘরের লক্ষি করতে চাই।
তানিয়ার: বাবাঃ কিন্তু আপা আপনি কেন এমনটা করবেন?
আয়াতের মাঃ দেখ ভাই সত্যি বলতে আমি সবসময়ই চাইতাম তানিয়া আর আয়াতের বিয়ে হোক কিন্তু কখনো বলার সাহস হয়নি। আর যখন বলতে চেয়েছিলাম তখন জানলাম তানিয়া সিয়ামকে পছন্দ করে। আর তোরা ওদের বিয়ে ঠিক করে ফেলেছিস। তাই চুপ করে ছিলাম। কিন্তু এখন বড় বোন হয়ে তোর কাছে তোর মেয়েকে চাইছি। দিবি আমায় ভাই।
তানিয়ার বাবাঃ আপা আপনি এটা কি বলছেন? আপনি আমার বড় বোন। কিন্তু আমি ভাবছি আয়াত কি তানিয়াকে মেনে নিবে?
আয়াতের মাঃ সত্যি বলতে আয়াত তিন বছর আগে তানিয়াকে যখন প্রথম দেখেছিলো তখন থেকেই ভালোবেসে ফেলেছিলো। কিন্তু তানিয়া তখন কেবল ইন্টার পরীক্ষা দিবে। খুব ছোট ছিলো বিধায় আমরা বা আয়াত কেউই কিছু বলিনি।
তানিয়ার বাবাঃ তারপর তোর কাকারাও দ্বিমত করেনি। কিন্তু আমি জানতাম তুই খুব একঘেয়ামি টাইপের মেয়ে। তোকে তখন বললে তুই শুনতি না। তাই তোকে কিছু জানাই নি। যার কারনে কাজীকে আগেই বলে দিয়েছি যাতে কবুল বলানোর সময় কোন নাম না বলা হয়। আর তোর ওপর আমার এটুক বিশ্বাস ছিলো যে বিয়ের পর তুই এমন কিছু করবি না যাতে তোর বাবার মান যায়। আমায় ক্ষমা করে দে মা।
(তানিয়া ভাবছে তার মানে বাবা বাজির বিষয়টা জানে না? থাক জানার কোন দরকার নাই কিছু কথা অজানা থাকাই ভালো)
তানিয়া: প্লিজ বাবা এভাবে বলো না। আমি জানি তুমি যা করেছো আমার ভালোর জন্য করেছো। কিন্তু বাবা তুমি যদি তখন আমায় বুঝিয়ে বলতে তাহলেই আমি মেনে নিতাম কিন্তু তুমি কি করলে ? বিয়ের আগে বাবা হয়ে মেয়েকে বললে তোর পায়ে পড়ি আমায় ক্ষমা করে দে? তখন তোমার উপর আমার ভিষন রাগ উঠেছিলো। বাবা হয়ে কেউ মেয়েকে এ কথা বলে? তুমি তো কোন অন্যায় করোনি তাহলে তুমি কেন ক্ষমা চাইবে? তুমিতো আমাকে বদনাম হওয়া থেকে বাঁচিয়েছো। আর কখনো এমন করবে না। বাবা মা সন্তানদের হুকুম করে অনুরোধ না। বুঝলে?
তানিয়ার বাবাঃ দুঃখিতো মা জননী। আর এমন হবে না। এই নাদান ছেলে কি মাফ করে দেয়া যায় না?
তানিয়া: হুম।
তানিয়ার বাবাঃ একটা কথা বলতো মা? তুই আয়াতের সাথে খুশি তো?
তানিয়া: অনেক খুশি বাবা। আয়াত কখনো বুঝতে দেয় না যে ও আমার হ্যাজবেন্ড সবসময় বন্ধুর মত পাশে থাকে। সত্যি বাবা তুমি সেদিন আয়াতকে আমার জীবনের সাথে জুড়ে দিয়ে কোন ভুল করোনি। আমি খুব সুখে আছি বাবা।
তানিয়ার বাবাঃ একজন পিতার কাছে এর থেকে বেশি সুখের আর কি হতে পারে? ওহ তোকে আর আয়াতকে নিতে এসেছি। যাবি?
তানিয়া: আয়াতের আসতে তো রাত হয়ে যাবে। তাহলে ?
তানিয়ার বাবাঃ ঠিক আছে তুই এখন চল আয়াতকে ফোন করে বলবো ক্লিনিক থেকে সোজা আমাদের বাসায় যেতে।
তানিয়া: ঠিক আছে। তবে তুমি দুপুরের খাবার খাবে তারপর যাবে।
তানিয়ার বাবাঃ ঠিক আছে।
তানিয়া গিয়ে আয়াতের বোন আন্নির সাথে রান্নায় মন দিলো। আন্নি আজ হাসপাতালে যায়নি। আন্নিও একজন ডাক্তার গাইনোক্লোজিস্ট।
আন্নিঃ কি কেমন চলছে?
তানিয়া: কি কেমন আপু?
আন্নিঃ আমার ভাই কেমন ভালোবাসা দিচ্ছে?
তানিয়া: আপনার ভাই একটা লুজার!
আন্নি পানি খাইতে নিছিলো কিন্তু তানিয়ার কথায় পানি গলায় আটকে বিসম খেলো।
আন্নিঃ কেন রে আয়াত এমনে কি করলো যে ওকে তুই লুজার বললি?
তানিয়া: কিছু করলে তো কোন কথাই থাকতো না।
আন্নিঃ মানে?
তানিয়া: মানে ঘোড়ার ডিম। আচ্ছা আপু বলো ভালোবাসার বিষয় প্রথমে কে আগে বলে? ছেলেরা না মেয়েরা?
আন্নিঃ সেটা যার যার ব্যাক্তি গত বিষয়। তবে হ্যা সেটা বেশির সময় ছেলেরাই আগে বলে।
তানিয়া: হুমম সেটাই। তোমার ভাই বিয়ের দিন কোন কিছু না ভেবে হুট করে বলে দিলো আই লাভ ইউ। আমাদের বিয়েটা ঠিক কি ভাবে হয়েছে তাতো তুমি জানোই। তখন ঐ কথা বললে যেমন রিয়্যাক্ট দেওয়ার কথা আমিও তেমন রিয়্যাক্টই করেছি। কিন্তু যখন সব ঠিক হয়ে গেলো তখন তোমার ভাই আমার থেকে দূরে দূরে থাকতে শুরু করলো। তারপর আমি তাকে বিভিন্ন ভাবে বুঝাতে চেষ্টা করেছি যে আমি ওকে মন থেকে মেনে নিয়েছি। কিন্তু হনুমানটা তা বুঝলোই না। তারপরও নিজের লজ্জা এক সাইডে রেখে গত সপ্তাহে নিজের মনের কথা বলে দিলাম। সেও নতুন করে আমায় ভালোবাসি কথাটা বললো।
আন্নিঃ তারপর তারপর? তারমানে তো সপ্তাহ জুড়ে রোমান্টি মুভি চলছে? তাই না?
তানিয়া: কচু চলছে? এখনো আমাদের মাঝখানে কোলবালিশটাই ঘুমায়। আমিতো লজ্জায় তার কাছে যেতে পারি না। কিন্তু সে তো ছেলে তার কিসের লজ্জা? একটু জড়িয়ে পর্যন্ত ধরে না। গাঁধা, ইডিয়েট, উল্লুক, সাদা বাদর, লাল নেংটি ইদুর, আলু পঁচা, মূলা পঁচা~।
আন্নিঃ আরে থাম থাম আমার সামনে আমার ভাইকে এসব বলিস না। কিন্তু কথা হলো তোরা তারমানে এখনো দুজন বিছানার দু সাইডে---------
তানিয়া: তো এতক্ষন ধরে তোমাকে কি বললাম?
আন্নিঃ তো তুইও তো দেয়ালটা ভেঙে দিতে পারিস?
তানিয়া: আমার বয়েই গেছ দেয়াল ভাঙতে। পারবো না আমি। হুহহ তোমার বাদর ভাইকে বলো আমি বাড়ি যাচ্ছি। রাতে ক্লিনিক থেকে যেনো আমাদের বাড়ি যায়। নয়তো এখানে এসে আমাদের রুমে গিয়ে কোলবালিশের সাথে ঘুমিয়ে পড়ে। কলা চোর কালা হনুমান কোথাকার।
তানিয়ার কথা শুনে আন্নি খুব হাসছে আর ভাবছে নাহ দুটোর মাঝের দেয়ালটা ভাঙতে আমাকেই কিছু করতে হবে।
দুপুরের খাবারের পর তানিয়া ওর বাবার সাথে তানিয়াদের বাড়ি চলে গেলো। আয়াতকে ফোন করে বলে দিছে। তানিয়া নিজের বাড়ি গিয়ে মোটেও ভালো লাগছে না। অথচ জীবনের একুশটা বছর তানিয়া এ বাড়িতে কাটিয়েছে। কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে বাড়ির প্রতিটা কোনায়। কিন্তু একজন মানুষের অনুপস্তিতিতে পুরো জীবনের রঙিন স্মৃতিগুলো ফিকে বেরঙিন হয়ে গেলো।
মেয়েদের জীবনটা আসলে এমনই ছোট বেলার হাজারো মধুর স্মৃতি রেখে পা রাখতে হয় সংসার নামক জীবনে। অথচ আবাক করা বিষয় হলো সংসার নাম জীবনে গিয়ে মাত্র কয়েক দিনে ভুলে যায় বছরের পর বছর কাটানো স্মৃতি গুলোকে। তখন বাবা মায়ের থেকেও সব চেয়ে আপন মনে হয় স্বামী নামক মানুষটাকে। সে মানুষটা যদি তোমার বন্ধু হতে পারে তবে তুমি পৃথিবীর সব চেয়ে সুখি মানুষের কাতারে পরবে। আর যদি সে তোমায় না বোঝে তবে তোমায় বোঝার মত মানুষ পৃথিবীতে দ্বিতীয় কেউ হবে না। তানিয়া বাড়ির চারপাশটা ঘুরছে আর ভাবছে আয়াতের সাথে প্রথম দেখার কাহীনি।
তিন বছর আগে
তানিয়া ওর ছোট ভাই তনয় এর সাথে বল ছোড়াছুড়ি খেলছিলো। তানিয়া যখন বল ছুড়ে মারে সেটা গিয়ে বাড়ির ভিতর ডুকতে থাকা একটা লোকের গায়ে পড়ে। তনয় আর তানিয়া সেটা দেখে ছুটে পালায়। বলটা গিয়ে আয়াতের কপালে লাগে। আয়াত বলটা কুড়িয়ে ভিতরে যায়।
((( আয়াতের বাবা মা তার আগের দিনই তানিয়াদের বাসায় এসেছিলো। তানিয়া কখনো আয়াতকে দেখেনি দেখবে কিভাবে আয়াতের বয়স যখন ছয় বছর তখন আয়াতরা সবাই আমেরিকা চলে যায়। আর তানিয়া তখন ওর মায়ের গর্ভে । আমেরিকা থেকে দু তিন বছর পর পর আয়াতের বাবা মা দেশে আসলেও আয়াত আর আন্নি কখনো আসেনি। ছয় মাস আগে তারা সব সময়ের জন্য দেশে চলে আসে। কিন্তু আয়াতের পরীক্ষা থাকায় আসতে পারেনি। এক সপ্তাহ আগে আয়াত দেশে এসেছে আর আজ তানিয়াদের বাসায় এসেই বলের হামলার শিকার হলো)))
আয়াত ভিতরে গিয়ে সবার সাথে কথা বলে। তানিয়া তখনো আয়াতের সামনে আসেনি। আয়াত সবার সাথে কথা বলে ছাদে গেলো। তানিয়া ছাদের কোনায় লুকিয়ে লুকিয়ে আয়াতকে দেখতে ছিলো।
আয়াতঃ ওখানে লুকিয়ে না থেকে সামনে আসো। নয়তো মামার কাছে নালিশ দিবো। (গম্ভির গলায়)
তানিয়া আড়াল থেকে বের হয়ে আয়াতের সামনে দাড়ালো। আয়াত তানিয়াকে দেখে "থ" গেলো। ভাবছে এটা কি মেয়ে? নাকি কোন স্বপ্ন পুরীরর স্বপ্ন রানী। আয়াত নিজের গাম্ভিরর্য বজায় রেখে বললো
আয়াতঃ নাম কি?
তানিয়া: ঠোট ফুলিয়ে #তানিয়া ।
আয়াতঃ তুমি সেই পিচ্চি মেয়ে না। যাকে আমার মা এত ভালোবাসে আর ফোন করলেই যার কথা মা বলতে বলতে শেষ করে না।
তানিয়া: আমি মোটেও পিচ্চি না। জানেন আমার বয়স কতো?
আয়াতঃ কত ম্যাডাম?
তানিয়া: এবার আমি HSC পরীক্ষা দিবো। পরীক্ষার পর পুরো পুরি আঠারো বছর হবে। হুমম।
তানিয়ার কথা শুনে আয়াত হেসে দিলো। তানিয়ার ছেলে মানুষিগুলো আয়াতের প্রচন্ড ভালো লাগতো। তার কিছুদিন পর আয়াত আবার আমেরিকা চলে যায়। তার প্রায় দু বছর সাত মাস পর পর আয়াত বরাবরের মত দেশে চলে আসে। তখন আয়াতের সাথে ওর বন্ধু সিয়ামও আসে। তার পরের ঘটনাতো আপনারা জানেনই।
রাত প্রায় আট টা।
তানিয়া আয়াতের জন্য অপেক্ষা করছে কিন্তু আয়াত আসছে না। তানিয়া ভাবছে এর মধ্যেই ভুলে গেলো নাকি? নানা রকম চিন্তা ,অভিমান আর ভালোবাসা মিলে তানিয়ার মনে এক রাশ রাগের জন্ম দিয়েছি। প্রায় নয়টার দিকে আয়াত আসলো। আয়াতকে দেখে তানিয়া খুশি হলেও অভিমান করে একটা কথাও বললো না। খাওয়া দাওয়া শেষ তানিয়া আর আয়াত রুমে গেলো। তানিয়া গিয়ে রাগ করে বেলকুনিতে দাড়িয়ে রইলো। আয়াত গিয়ে তানিয়াকে পিছন দিয়ে জড়িয়ে ধরে। তানিয়া শরীরের পুরো বিদ্যুত দৌড়াতে লাগলো।
আয়াতঃ রাগ করছো?
তানিয়া: রাগ করতে আমার বয়েই গেছে। সকাল থেকে একটা ফোন পর্যন্ত করো নাই।
আয়াতঃ সেটা পরে বলছি। তা ম্যাডাম #বাজি জিতে গেলাম। এবার আমার গিফ্ট?
তানিয়া: কিসের #বাজি?
আয়াতঃ লে হালুয়া? তিন মাসে তোমার মনে আমার প্রতি ভালোবাসা তৈরী করবো। কিন্তু সেটাতো মাত্র এক মাসে করে দেখালাম। এখন আমার গিফ্ট?
তানিয়া: তুমি যা চাও?
আয়াতঃ আমার জীবনের প্রতিটা মূহুর্তে প্রতিটা পদক্ষেপে তোমাকে চাই। দিবে।
তানিয়া: হুমমম সে জন্যই বুঝি সারা দিনে এক বারও খোজ নাও নি?
আয়াতঃ কে বললো নেয়নি? আপনি যে সারা বিকাল আমার চিন্তায় ছাদের কোনায় বসে ছিলেন তা কিন্তু আমি জানি।
তানিয়া: তুমি কিভাবে জানলে?
আয়াতঃ এ পর্যন্ত সাত বার তনয়কে ফোন দিয়েছি।
তানিয়া: আমাকে কেন দাওনি।
আয়াতঃ এমনি? দেখলাম আমায় মিস করো কিনা।
তানিয়া: আই রিয়েলি লাভ ইউ এ লট আয়াত।
আয়াতঃ আই লাভ ইউ মোর দ্যান ইউ।
তানিয়া: রিয়েলি!
আয়াতঃ ইয়েস। আচ্ছা শুনলাম তুমি নাকি আমায় লুজার বলছো?
তানিয়া: মমমমম মানে কে বললো? (তুতলিয়ে)
আয়াতঃ যার কাছে বলেছো সে তার হ্যাজবেন্ড এর কাছে বলেছে আর তার হ্যাজবেন্ড মানে দুলাভাই ফোন করে আমায় এত এত বকা দিছে। তা ম্যাডাম একটু সাহসি হই কি বলেন? এটা বলে তানিয়ার কোমরে হাত দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।
তানিয়া: এই না না! আমিতো তেমন কিছু বলিনি? দুলাভাই মিথ্যা কথা বলছে।
আয়াতঃ সে সত্যি মিথ্য যাই বলুক। আজ আমি ভদ্র আয়াত থেকে একটু অভদ্র আয়াত হবোই।
আজ পূর্নতা পেলো ওদের ভালোবাসার। নাম পেলো ওদের অনুভুতি গুলো। প্রেম পেলো ওদের মূহুর্ত গুলো। ভালোবাসার অসীম সাগরে ডুব দিলো দুজনে।
দুদিন পর ওরা বাড়ি গেলো। আয়াত আলমাড়িতে ফাইলটা না পেয়ে প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেলো। কারন ফাইলটা তানিয়ার হাতে পরলে সর্বনাশ হয়ে যাবে।
চলবে-----------
ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।