অহংকারি মামাতো বোন#
পর্ব : ০১
💝 শাকিব হাসান 💝
ঠাসসস্ ঠাসসস্
মাথাটা উঠাতেই চারশো চল্লিশ ভোল্টের শক খেলাম।🔌আমার সামনে একটা কিউট মেয়ে দাড়িয়ে আছে। শুধু কিউট বললে ভুল হবে একেবারে কিউটের ডিব্বা।কিন্তু কিছু বুঝতে পারলাম না, আমাকে মারলো কেনো..?😕 আমিতো একে আগে কখনো দেখিনি। আর এর সাথে কিছু করিওনি।
আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই মেয়েটা বলতে লাগলো,,,,
মেয়ে : তোর সাহস হয় কি করে বিয়াদবি করার..?😈
আমি : যা বাবা আমি আবার কখন বিয়াদবি করলাম..?
মেয়ে : তুই মিমকে ডিম বলেছিস কেনো..?
এতখনে আমি বেপারটা বুঝতে পারলাম,,
আসলে মিম হচ্ছে আমার বড় মামির ভাইয়ের মেয়ে। মানে আমার মামাতো বোন। নানুদের বাসায় আসলে মাঝে মাঝে ওরাও আসতো, সেখান থেকেই ওর সাথে পরিচয়। আমিও ওদের বাসায় গিয়েছি কয়েকবার। এবার এসেছি নানুদের বাসায়। কারন বড় মামার ছোট ছেলের সুন্নাতে খাৎনা। মিমরাও এসেছে। মিমকে রাগানোর জন্য মাঝে মাঝে ডিম বলে ডাকি। সেজন্যই হয়তো রেগে গিয়ে এই মেয়েটার কাছে বিচার দিয়েছে।
মিমও পাশেই দারিয়ে আছে,,,,,
মেয়ে : কি হলো কথা বলছিস না কেনো..?
আমি : (মিমকে বললাম) তুই এই সামান্য বিষয় নিয়ে বাইরের লোকের কাছে বিচার দিয়েছিস..?
মিম : বিশ্বাস করো ভাইয়া, আমি বিচা,,,,,( মিমকে থামিয়ে দিয়ে)
মেয়ে : মিম তুই চুপ কর। আর বাইরের লোক কাকে বলছিস হা..?আমাকে চিনিস তুই..?
আমি : আমার যতদূর মনে পরে এর আগে আপনাকে কোথাও দেখিনি, আর চিনিও না..
মেয়ে : আমি মিমের চাচাতো বোন...
আমি : ওওও তাই বলেন,,,
মেয়ে : আবার যদি মিমের সাথে এমন করিস তাহলে তোর খবর আছে...
মেয়েটা আর এক মুহূর্ত না দাড়িয়ে হন হন করে চলে গেলো।
আমি মিমের দিকে তাকাতেই দেখি মিম এক চিমটি ভয় নিয়ে অসহায়ের মতো আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি : ঐ এদিকে আয়.....
মিম : আমি সত্যি বলছি ভাইয়া আমি কিরো কাছে বিচার দেইনি ( কাছে এসে)
আমি : আগে বল মেয়েটা কে..?
মিম : আমার বড় চাচ্চুর মেয়ে সাদিয়া। ওনারা অ্যামেরিকা থাকতো। অল্প কিছুদিন বাসাতে আসছে আর এখন থেকে এখানেই থাকবে।
আমি : ওও,,,। এবার বল ওনার কাছে বলেছে কে..?
মিম : আমি কিছুই বলিনি। তখন তুমি
আমাকে রাগানোর পর আমি রুমে চলে যাই
রুমে গিয়ে দেখি সাদিয়া আপু বসে আছে।
আমাকে দেখেই সাদিয়া আপু বুঝে গিয়েছিলো। আমাকে জিঙ্গাসাও করেছিলো যে আমার কি হয়েছে..? আমি কিছু বলিনি, তখন পাশথেকে সিয়াম ( মিমের ছোট ভাই) বলেদিয়েছে যে তুমি আমাকে রাগিয়েছো। আর সাদিয়া আপু একটু অন্য ধরনের মেয়ে একটুতেই রেগে যায়। আর পরে কি হলো সেটাতো তুমি জানই।
আমি : বুঝলাম,,,
মিম : বিশ্বাস করো ভাইয়া আমি ভাবতেও পারিনি সাদিয়া আপু তোমাকে থাপ্পর মারবে..।
আমি : হয়েছে এবার রুমে যা,,,
মিম আর ওখানে না থেকে চলে গেলো। আমিও রুমে চলে এলাম অনেক বেলা হয়েছে। রুমে এসে ফ্রেস হয়ে বিছানায় শরীরটা এলিয়ে দিলাম। অনেক ক্লান্ত লাগছে আর গালটাও বেথা করছে। মেয়েটার হাতে জোর আছে বলতে হবে..। আর দেখতেও মাশআল্লা।
ভাবতে ভ্বতে ঘুমিয়ে গেলাম। বিকালে মিমের ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো,,,,,,
মিম : ঐ ভাইয়া ওঠো...
আমি : কি হয়েছে এতো ডাকাডাকি করছিস কেনো..?
মিম : ঘুরতে যাবে না..?
আমি : এই দুপুরে কেও ঘুরতে যায়..?
মিম : এখনো দুপুর আছে..? ঘড়িতে তাকিয়ে দেখো কতো বাজে..?
আমি ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি ৪:৫০ বাজে।
আমি : যাবো না তোরা যা..
মিম : সাদিয়া আপু বলেছিলো তোমাকে না নিতে..
আমি : সাদিয়া যাচ্ছে..?
মিম : হুমমম
আমি : আচ্ছা আমি আসছি..
মিম : তুমিতো যাবেনা বললে..?
আমি : কখন বললাম.. হয়তো ঘুমের মধ্যে বলেছি..
মিম : হুমম বুঝেছি..তাহলে তারাতারি আসো...
মিম চলে যেতেই উঠে ফ্রেস হতে গেলাম।
ও পরিচয়ইতো দেওয়া হয়নি.....
আমি শাকিব হাসান বাবা মায়ের তিন মাত্র সন্তান... মানে আমরা তিন ভাইবোন। বোনই সবার বড় তারপর ভাই আর তারপরই আমি। আমি এবার ইন্টার 2nd year এর ছাত্র। আমাদের নিজেদেরই বেশ বড় একটা কম্পানি আছে। সেটা আব্বু আর ভাইয়া দেখাশোনা করে। আপাতোত এটুকুই থাক....
আমি ফ্রেস হঙে নিচে চলে এলাম। এসে দেখি মোটামুটি সবাই আছে,,, মানে, নিলয়( বড় মামার ছেলে, আমার থেকে কিছুদিনের ছোট), মিম, সাদিয়া, ছোট খালা আরো কয়েকজন,,,,
আমি : তা আপনারা এতো সেঁজেগুজে কোথায় যাবেন..?
ছোট খালা : কোথায় সেজেছি..?
আমি : দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে মুখের উপর বিল্ডিং উঠিয়েছেন।
মিম : ভাইয়া এখন কিন্তু বেশি হয়ে যাচ্ছে...
আমি : আচ্ছা আর বলবো না,। তা মেডাম আপনিও যাবেন..?(সাদিয়াকে বললাম)
সাদিয়া : দেখতে পাচ্ছোনা..?
আমি : দেখতে পাচ্ছি but বিশ্বাস হচ্ছে না..
সাদিয়া : কেনো..?
আমি : আপনার মতো বিদেশি মেয়ে এই ধুলাবালির মধ্যে যাবে কি করে..?
সাদিয়া : সেটা তোমাকে ভাবতে হবে না, আমার টা আমি বুঝবো।
আমি : হুম তা ঠিক,,,,,
ছুট খালা : ঐ তোরা যাবি, নাকি এখানে দাড়িয়ে গল্প করবি..?
আমি : হুম চলেন...
আমরা বাসা থেকে বেরিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে লাগলাম। আমি আর নিলয় একসাথে গল্প করছি এমন সময়.........
মিম : ভাইয়া ফুসকা খাবো....
আমি : ফুসকা কোথায়..?
মিম : ঐযে দেখো ফুসকার দোকান ( দোকান দেখিয়ে)
আমি : সবাই ফুসকা খাবে...?
প্রায় সবাই রাজি থাকলেও সাদিয়া রাজি নয়,,
সাদিয়া : আমি এসব বাইরের খাবার খাইনা..
মিম : অনেক মজা লাগে খেতে, আপু চলোনা..?
সাদিয়া : না আমি খেবো না তোরা খেলে খা...
ছোট খালা : তাহলে থাক, আমরা খাবো না.
আমি : আরে একজনের জন্য আপনারা কেনো খাওয়া বাদ দিবেন..? চলেন সবাই ঐ চল....
সবাই ফুসকার দোকানে চলে এলাম। আমরা
সবাই মিলে মোট ৭ জন হলাম,,,
আমি : মামা ৭ প্লেট ফুসকা দেনতো...( ফুসকা ওয়ালাকে উদ্দেশ্য করে)
- একটু দারান মামা দিতাছি...
আমরা গিয়ে চেয়ারে বসলাম। একটু পরেই ফুসকা চলে এলো। সবাই যারযার প্লেট নিয়ে খেতে লাগলো। কিন্তু সাদিয়া খাচ্ছে না,,,
মিম : আপু একটা খেয়েই দেখো না, অনেক মজা হয়েছে...
ছোট খালা : একটা খেয়ে দেখো....
সাদিয়া : বলছিনা আমি বাইরের এসব খাইনা...
আমি : সবাই যখন বলছে একটা খেয়েই দেখেন না..?
সাদিয়া : আমি বলেছি খাবো না মানে খাবো না ব্যস...
সবাই এতো করে বলছে কারো কথাই কানে ধরছে না। কি মেয়েরে বাবা, একবার যেটা না বলে সেটা না ই
আমার মাথায়ও একটা টাটকা idea এলো। দাড়াও খাবে নাতো দেখাচ্ছি....
আমি একটা ফুসকা নিয়ে জোর করে খাইয়ে দিলাম। এবার খান
আমরা সবাই যারযার মতো খেতে লাগলাম। সাদিয়ার মনে হয় একটা খেয়েই ভালো লেগেছে বার বার আঁর চোখে ফুসকার দিকে তাকাচ্ছে। আমি বেপারটা বুঝতে পেরে আমার প্লেটের ফুসকা খেয়ে ওখান থেকে চলে এলাম। আমি ওখানে থাকলে হয়তো ইগোর কারনে খেতো না। আমি পাশে আরালে একটা দোকানে চলে এলাম।
একটু পর পকেটে থাকা ফোন টা বেজে উঠল। ফোনটা বের করে দেখি ছোট খালা ফোন দিয়েছে......
আমি : হুমম বলেন,
ছোট খালা : কোথায় তুই..?
আমি : এইতো পাশেই আছি। কেনো কি হয়েছে..?
ছোট খালা : কিছু হয়নি। তারাতারি আমাদের এখানে চলে আয়।
আমি : আসছি...
ছোট খালা: হুমম
তারপর দোকান থেকে উঠে ওদের কাছে চলে আসলাম।
মিম : কোথায় গিয়েছিলে ভাইয়া..?
আমি : এইতো পাশে একটা দোকানে।
ছোট খালা : সবার খাওয়া শেষ এখন টাকাটা দে,
তারপর আমি পকেট থেকে ওয়ালেট টা বের করে সাত প্লেট ফুসকার দাম দিলাম।
ফুসকা ওয়ালা : আরো এক প্লেটের টাকা....
আমি : কেনো..? আমরা তো সাত প্লেট ফুসকা খেয়েছি। তাহলে আট প্লেটের দাম দিবো কেনো..?
ফুসকা ওয়ালা : ফুসকা মোট আট প্লেট খেয়েছে।
আমি : আরেক প্লেট কে খেলো..?
মিম : সাদিয়া আপু দুই প্লেট খেয়েছে।
আমি সাদিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি মাথা নিচু করে মুচকি মুচকি হাসছে। আমিও আর কিছু না বলে টাকাটা দিয়ে সবাই ওখান থেকে চলে আসলাম।
তারপর আরো একটু ঘুরাঘুরি করে সন্ধার আগেই বাসায় চলে আসলাম( মামাদের বাসায়)
বাসায় এসে সোজা আম্মুর কাছে চলে গেলাম। আজ সারাদিন আম্মুকে দেখা হয়নি।
গিয়ে দেখি আম্মু মামিদের সাথে রান্না করছে।
আমি : আম্মু কেমন আছো..?
আম্মু : আলহামদুলিল্লা। তা বাঁচাধন আজ সারাদিন তোমার চরন খানি দেখা গেলনা কোথায় ছিলে সারাদিন..?
আমি : আরে আম্মু তুমিতো জানোই আমি কাজ দেখলে একটুও বসে থাকতে পারি না। আর অনুষ্ঠান ওয়ালা বাড়ি কতো কাজ তুমিতো জানই।
আমার কথা শুনে সবাই যেন মাটি থেকে আকা....থুক্কু আকাশ থেকে মাটিতে পরলো।
আম্মু : আমিতো জানি যে আমার ছেলে কাজ দেখলে একটুও ভয় পায়না, কাজ দেখলে বসেও থাকতে পারে না, সব কাজ একা হাতেই করে তাইনা..?
আমি : হুমম আম্মু একদম হক কথাটাই বলেছো। আমি কাজ দেখলে ভয় পাই না।
আম্মু : শুধু আমার এই খুন্তিটা দেখলেই একটু ভয় পায়।(আমার দিকে খুন্তি হাতে এগিয়ে এসে)
আমি : আম্মু তুমি এদিকে আসছো কেনো...?
আম্মু : আমার পুত্রধন কে আদর করতে।আজ কত কাজ করেছে।
আমি : তাই বলে খুন্তি নিয়ে আসতে হবে..?
আম্মু : খুন্তির আদর সবচেয়ে বড় আদর। দাড়া তোর চাঁটামগিরি ছোটাচ্ছি।
এই বলে আমাকে দৌড়ানি দিল।আমিও সেখানে একমুহুর্ত না থেকে পিছন দিকে এক ভোঁ দৌর। এক দৌড়ে রুমে চলে আসলাম।
ফ্যানের নিচে শরীরটা একটু ঠান্ডা করে ফ্রেস হয়ে নিচে আসলাম। এসে মামিকে জিজ্ঞাস করলাম...
আমি : মামি নিলয় কোথায়..?
মামি : এখানেইতো ছিল, দেখ ওর রুমে আছে নাকি।
তারপর আমি ওর রুমে এসে দেখি রুমেও নাই।
দেখি মিম ছাদ থেকে নিচে নামছে...
আমি : মিম নিলয় কোথায় রে..?
মিম : ছাদে আছে।
আমি : কে কে আছে ছাদে..?
মিম : নিলয় ভাইয়া আর সাদিয়া আপু।
আমি : ও আচ্ছা তুই যা...
তারপর আমিও ছাদে চলে আসলাম।
এসে দেখি নিলয় আর সাদিয়া ছাদের এক পাশে দাড়িয়ে আছে....
আমি : কিরে নিলয় আমি তোকে সারা বাড়ি খুজে বেরাচ্ছি আর তুই এখানে..?
নিলয় : হুমম এখন আর কোথাই বা যাব..?
আমি : তা দুইজন কি গল্প করা হচ্ছে..?
সাদিয়া : সেটাকি তোমাকে বলতে হবে..?
আমি : এই আপনি সব সময় এতো রেগে থাকেন কেনো..?
সাদিয়া : তোমাকে কে বলেছে যে আমি সবসময় রেগে থাকি..?
আমি : কেউ বলেনি, আমি বলছি যখনি আমার সাথে কথা বলেন তখনি দেখি রেগে আছেন।
সাদিয়া :............ (চুপ)
তখনি নিলয়ের ফোনটা বেজে উঠলো।
নিলয় : কিরে তোদের কোনো খোজ খবরি নেই, গেছিস কোথায় সবাই..?
.................(ফোনের ওপাশ থেকে)
নিলয় : আচ্ছা তোরা ওখানে থাক আমি আসছি।
নিলয় : তোরা এখানে থাক আমি একটু আসছি।
এই বলে নিলয় ছাদ থেকে নেমে এলো। আমি এখন কি করব, এই মেয়ে যে রাগি যেকোনো সময় আমার ঘার মটকে দিতে পারে।
তারপর আমি নিজে নিজেই বললাম না আমরা পুরুষ জাতি আমরা যদি এতো ভয় পাই তাহলোতো পুরুষ জাতির অপমান টা নষ্ট হয়ে যাবে। আমি বুকে দুই হালি সাহস নিয়ে বললাম....
আমি : আপু আপনি কোন ক্লাসে পড়েন...?
সাদিয়া : আমি অনার্স ১ম বর্ষে।
আমি : (যাহ বাবা ভাবলাম একটু লাইন মারবো তা আর হলো না। এতো আমার থেকে সিনিয়র) ওও ভালো।
সাদিয়া : তুমি কোন ক্লাসে পড়..?
আমি : আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ার।
সাদিয়া : তাহলেতো আমার জুনিয়র।
আমি : হুমমম
আমি ভেবেছিলাম বয়সে আমার সমান বা ছোট হবে এখন দেখি আমার সিনিয়র। তাতে কি আমি চেস্টা করে যাবো। ভালোবাসা কোনো বয়স মাপে না। যা হবার হবে....
আমি : আপু একটা কথা বলবো... যদি রাগ না করেন..?
সাদিয়া : হুমম বলো...
আমি : আপনি এতো কিউট কেনো..?
সাদিয়া : মানে...?(ভ্রু কুচকে)
আমি : মানে আপনি এতো সুন্দরি কেনো..? যে কোনো ছেলে আপনাকে দেখেই ক্রাশ খাবে।
সাদিয়া : ফ্লট করছিস আমার সাথে..? মেরে রাস্তায় ফেলে রাখবো।
আমি : আরে এতে রাগার কি আছে..? আমিতো আর মিথ্যা বলিনি।
সাদিয়া : দেখ এসব আমার উপর খাটাতে আসবি না। আর তুই কত ভালো মানুষ তা আমি সবার মুখেই শুনেছি।
আমি : আরে আমি এমন কি বললাম যে আপনি এতো রেগে যাচ্ছেন..?
সাদিয়া : এখনো তো রাগিনি আমি রাগলে তোকে আর এখানে পাওয়া যেত না।
আমি : আমি সত্যি বলছি কিন্তু..
সাদিয়া : আরে রাখ তোর সত্যি। তুই এখন এখান থেকে যা,
আমি : আমি এখান থেকে যাব কেনো, যেতে হলে আপনি যান।
সাদিয়া : আমি যাব মানে..?
আমি : তা নয়তো কে যাবে..?
সাদিয়া : দেখ সেদিন তুই মিমের সাথে বিয়দবি করেছিস। তার রাগ এখনো আছে, আবার যদি উল্টা পাল্টা কিছু বলিস তাহলে তোকে.........
আমি : আমাকে কি মারবেন তা........(আমার ফোন টা বেজে উঠল)
আমি ফোনটা বের করেই দেখি নিলয় ফোন দিয়েছে।
আমি : কিরে তুই..
নিলয় : হুমম তুই কোথায়..?
আমি : আমি ছাদে আছি, কেনো..?
নিলয় : রাস্তার মোরের এদিকে আয়।
আমি : ওকে আমি আসছি।
তারপর আমি সাদিয়াকে বললাম থাকেন আপনি আমি চলে যাচ্ছি।
আমি রাস্তার মোরে নিলয়দের কাছে চলে আসলাম।
এসে দেখি........