মেসি

in mesi •  7 years ago 

২০১৫-১৬ মৌসুমের পর টানা দ্বিতীয় বার ২০১৬-১৭ মৌসুমে অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সের জন্য বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত পুরস্কার ‘ফিফা বেস্ট অ্যাওয়ার্ড’ জিতে নিয়েছেন পর্তুগালের তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ফিফার সেরা গৌরবের অংশীদার হলেও রোনালদো কি আসলেই ওই সময়টাতে সেরা খেলোয়াড় ছিলেন? পরিসংখ্যান কি বলছে?

গত মৌসুমে রিয়ালকে লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ক্লাব বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। কিন্তু পরিসংখ্যান কি রোনালদোর বিশ্বসেরা হওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি সমর্থন করে?

দেখে নেয়া যাক, রোনালদোর সঙ্গে মেসি ও তার সাবেক সতীর্থ নেইমারের (যিনি ২২২ মিলিয়ন ইউরোতে পিএসজিতে গেছেন) পরিসংখ্যানের চালচিত্র।

তিনজনের মধ্যে সর্বোচ্চ গোল করেছেন মেসি। গত মৌসুমে ক্ষুদে জাদুকরের গোলসংখ্যা ছিল ৫২। সেখানে রোনালদোর গোলসংখ্যা ৪২। আর নেইমার করেছিলেন ২০ গোল।

মিনিট প্রতি গোল করার গড়েও এগিয়ে মেসি। প্রতি ৮২.৪৪ মিনিটে একটি করে গোল করেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। সেখানে রোনালদোর গড় ১৪৭ মিনিট।

তিনজনের মধ্যে গোলের অ্যাসিস্টে অবশ্য এগিয়ে নেইমার। ২১টি গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন ব্রাজিলিয়ান। আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা মেসির অ্যাসিস্ট ছিল ১৬টি গোলে। আর ট্রফি জেতা রোনালদোর অ্যাসিস্টের সংখ্যা ১১টি।

অ্যাসিস্টে গড় মিনিট হিসেবেও রোনালদোর চেয়ে এগিয়ে মেসি। ৩৭৫ মিনিট পর পর একটি করে গোল অ্যাসিস্ট করেছেন সিআর সেভেন। যেখানে এমএল টেন সময় নিয়েছেন ২৬৮.২৫ মিনিট। তবে এ দুজনের চেয়েও কম সময় নিয়েছেন নেইমার। পিএসজি তারকার সময় ১৮৯.১০ মিনিট।

কোনও ক্যাটাগরিতেই পিছিয়ে নেই মেসি। ৭০টি গোলের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে মেসির। যেখানে রোনালদো সম্পৃক্ততার সংখ্যা ৫৩টি গোলে। আর নেইমারের ৪১টি গোল।

এরপরও ফিফা রোনালদোকে সেরার পুরস্কার দিতে পারে? ট্রফি জেতানোর ক্যাম্পেইনে রোনালদো এগিয়ে থাকলেও বাকি পরিসংখ্যান বর্ষসেরা হিসেবে মেসিকেই এগিয়ে রাখছে। সেই ট্রফি জেতাটাই ভোট টেনেছে রোনালদোর দিকে।

তবুও এমন একটা দুর্দান্ত বছরের পর আর্জেন্টাইন ক্ষুদে তারকা পাওয়া ‘ব্যথা’টা হয়ত ভুলে যেতেই পারবেন। তার কাছেও তো আছে পাঁচটি বর্ষসেরার ট্রফি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

good

tnx

done