অ্যাভেঞ্জার্স : ইনফিনিটি ওয়ার অভিনন্দনে ভাসছে অ্যাভেঞ্জার্স! বক্স অফিসের নতুন চ্যাম্পিয়ন মার্ভেল কমিকসের এই সুপার হিরোরা। আমেরিকা, কানাডাসহ তামাম দুনিয়ায় ঝড় তুলে সর্বকালের সব রেকর্ড তছনছ করে দিয়েছে অ্যাভেঞ্জার্স : ইনফিনিটি ওয়ার।
মুক্তির প্রথম তিন দিনে ও বিশ্বব্যাপী সর্বকালের সবচেয়ে বেশি আয়ের দুটি রেকর্ড এখন এই ছবির দখলে। অ্যাভেঞ্জার্স সদস্যরা আসবে আর বক্স অফিসে হুলস্থুল বাঁধবে না তা কী করে হয়! আগাম টিকিট বিক্রির রেকর্ডই এ ছবি নিয়ে সবার প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। মুক্তির পর তো আমেরিকাসহ বিশ্বজুড়ে সর্বকালের সব রেকর্ড ল-ভ- করে এগিয়ে চলছে ‘অ্যাভেঞ্জার্স : ইনফিনিটি ওয়ার’।
আমেরিকার ৪ হাজার ৪৭৪টি প্রেক্ষাগৃহে গত ২৭ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। এগুলো থেকে শুক্র, শনি ও রবিবার এসেছে ২৫ কোটি ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২ হাজার ১১৭ কোটি ৭৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা! উত্তর আমেরিকায় ২০১৫ সালে ‘স্টার ওয়ারস : দ্য ফোর্স অ্যাওয়েকেন্স’ ছবির গড়া ২৪ কোটি ৭৯ লাখ ডলারের রেকর্ড তাই নেমে গেছে দুই নম্বরে। দুটি ছবিরই পরিবেশনা সংস্থা ওয়াল্ট ডিজনি মোশন স্টুডিওস পিকচার্স।
বিশ্বব্যাপী সর্বকালের সবচেয়ে বেশি আয়ের রেকর্ডও ভেঙেছে সুপার হিরোরা।
বক্স অফিস মোজো ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, চীন ছাড়াই বিশ্বব্যাপী ৬৩ কোটি ডলার আয় করে ফেলেছে ‘অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার’। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৫ হাজার ৩৩৬ কোটি ৭৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এটাই যে কোনও ছবির বেলায় প্রথম তিন দিনে সর্বকালের সর্বোচ্চ আয়। গত বছর ‘দ্য ফেট অব দ্য ফিউরিয়াস’ ৫৪ কোটি ২০ লাখ ডলার ঘরে তুলে আগের রেকর্ড গড়েছিল।
ডিজনির মার্কিন পরিবেশনার প্রধান ডেভ হলিস বলেছেন, চলচ্চিত্র বাণিজ্য ও মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের জন্য অসাধারণ একটা সপ্তাহ কাটছে। ‘অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার’কে বলা হচ্ছে গত এক দশকে গড়া মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স ও এর চরিত্রগুলোর চূড়ান্ত পরিণতি। সবশ্রেণির দর্শকেরই প্রিয় তারা। সব সুপার হিরো একসঙ্গে থাকায় অবশ্যই দেখতে হবে এমন একটি ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছে এটি।
৩০ থেকে ৪০ কোটি ডলার বাজেটের ছবিটিতে অভিনয় করেছেন রবার্ট ডাউনি জুনিয়র (আয়রন ম্যান), ক্রিস হেমসওর্থ (থর), ক্রিস ইভান্স (ক্যাপ্টেন আমেরিকা), স্কারলেট জোহানসন (ব্ল্যাক উইডো), চ্যাডউইক বোসম্যান (ব্ল্যাক প্যান্থার), ক্রিস প্রাট (স্টার লর্ড), বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ (ডক্টর স্ট্রেঞ্জ), মার্ক রাফেলো (হাল্ক), টম হল্যান্ড (স্পাইডার-ম্যান), টম হিডেলস্টন (লকি), সেবাস্তিয়ান স্তান (হোয়াইট উলফ), স্যামুয়েল এল জাকসন (নিক ফিউরি), জোয়ি স্যালডানা (গামোরা), এলিজাবেথ ওলসেন (স্কারলেট উইচ), পল বেটানি (ভিশন), ডেভ বাতিস্তা (ড্রেক্স দ্য ডেস্ট্রয়ার), অ্যান্থনি ম্যাকি (ফ্যালকন), ডন শিডল (ওয়ার মেশিন), গিনেথ প্যালট্রো, বেনিসিও দেল তোরো, কারেন গিলান, পম ক্লেমেন্তিয়েফ, বেনেডিক্ট ওঙ, পিটার ডিঙ্কলেজ, ইড্রিস অ্যালবা। এছাড়া কম্পিউটারে সাজানো থানোসের ভূমিকায় জশ ব্রোলিন, রকেট চরিত্রে ব্র্যাডলি কুপার ও গ্রুটের ভূমিকায় কণ্ঠ দিয়েছেন ভিন ডিজেল।
মার্ভেলের ছবিগুলোর মধ্যে মুক্তির প্রথম তিন দিনে সর্বোচ্চ ২০ কোটি ৭৪ লাখ ডলার আয় করে ‘অ্যাভেঞ্জার্স’। উত্তর আমেরিকায় এটি সব মিলিয়ে ৬২ কোটি ৩০ লাখ ডলারের ব্যবসা করেছে। এর সিক্যুয়েল ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এজ অব আলট্রন’ মুক্তির প্রথম তিন দিনে ঘরে তোলে ১৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। ছবিটির মোট আয় হয়েছিল ৪৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
ঢাকার পান্থপথে বসুন্ধরা সিটিতেও ‘অ্যাভেঞ্জারস’ সিরিজের নতুন ছবি দেখার ধুম পড়েছে! অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করার জন্য গত ২৬ এপ্রিল ভোর সাড়ে ৬টা সারি বেঁধে দাঁড়িয়েছিলেন অনেক দর্শক। বসুন্ধরা সিটিতে স্টার সিনেপ্লেক্স লেভেল এইটে। সেই আটতলার টিকিট কাউন্টার থেকে দর্শকদের লাইন এসে গিয়েছিল রাস্তা পর্যন্ত।
স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক (মিডিয়া ও মার্কেটিং) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বললেন, দর্শকদের এমন উপচেপড়া ভিড়ের চিত্র ঈদ কিংবা অন্য উৎসব ব্যতিত বিরল। দর্শকের এই সাড়ায় আমরা পুরোপুরি অভিভূত।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sob hero der dekhar jonnoi sobar aggroho
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
This comment has received a 0.28 % upvote from @booster thanks to: @vivax.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit