শুধু অন্ধ গাহে না তোমারই গুনগান :
১৩০০ কোটি বছর আগেকার আলোর সন্ধান পেলো না
সার টেলিস্কোপ 'জেমস ওয়েব স্পেস'। নাসার (NASA) হিসাবে -আংগুলের মাথায় একটা বালু কণা রেখে হাতটাকে আকাশের দিকে প্রসারিত করুন, তাহলে বালুর কণাটি আকাশের যে টুকু স্থান ঢেকে রাখবে ১০ হাজার গ্যালাক্সি মিলে মহাকাশে সেই টুকু স্থান দখল করে আছে।
Wikipedia says, Galaxy is a gravitationally bound system of stars, dust,gas, dark materials. A big Galaxy contains 100 Trillion stars.
১ ট্রিলিয়ন স্টারস ( নক্ষত্র) = ১ লক্ষ কোটি স্টারস, যেমন সূর্য একটা ছোট স্টার , পৃথিবীর চাইতে ১৩ লক্ষ গুণ বড়।
১০০ ট্রিলিয়ন ষ্টারস প্রতি গ্যালাক্সিতে x এরকম 10,000 গ্যালাক্সি = মহাকাশের তুলনায় ১টা বালু কণার জায়গা দখল করে। তা হলে বাকী মহাকাশে কি আছে? কে তা সৃষ্টি করেছেন? কে তা সুশৃংখলভাবে মেইনটেইন করেন?
এই দৃঢ়- সুশৃংখল ঘূর্ণমান বিলিয়ন- ট্রিলিয়ন সুবিশাল নক্ষত্ররাজির যিনি স্রষ্টা তিনি কতই না শক্তিশালী! মহা -শক্তিশালী, মহাজ্ঞানী তিনিই দিয়েছেন তাঁরই সৃষ্টি মানুষের চলার পথের দিশা আল কুরআন ।
নির্বোধ মানুষ সেটাকে বাদ দিয়ে ভিন্ন কিছু খুঁজে, অথচ তিনি জানেন কিসে মানুষের কল্যাণ। আল্লাহর নিয়ম আছে বলেই মহাকাশ সুশৃংখল। পৃথিবীতে আল্লাহর নিয়ম নেই, তাই আজ হানাহানি, বিশৃংখল।
" তিনিই কি জানবেন না যিনি সৃষ্টি করেছেন" ( সূরা:মুলক-১৪)।
" আমি শপথ করছি তারকা সমূহের অবস্থানের স্থানের। এটা এক অতি বড় শপথ যদি তোমরা বুঝতে পারো।"
( সুরা: ওয়াকেয়া:৭৫)
মহাকাশের তুলনায় ১০ হাজার গ্যালাক্সি যদি হয় বালু- বিন্দুর সমান তাহলে পৃথিবীর স্বতন্ত্র কোন অস্তিত্ব কি আর থাকে? পৃথিবীর সমস্ত সাগরের পানিরই বা কি আস্তিত্ব থাকে? তা দিয়ে আল্লাহর জ্ঞান- মহিমা কিভাবেই বা লেখা সম্ভব?
'হে মুহাম্মদ, বল, সমুদ্রগুলি যদি আমার রবের কথা সমূহ ( তাঁর কাজ, পূর্ণতা, শক্তি, জ্ঞানকৌশল) লিখার জন্য কালি হয়ে যায়,তা হলে তা ফুরিয়ে যাবে, কিন্তু আমার রবের কথা লেখা শেষ হবে না, বরং এই সমুদ্র পরিমাণ কালি যদি আমরা আরো এনে দিই সাহাযার্থে, তবে তাও যথেষ্ট হবে না।
( সূরা কাহাফ -১০৯) "
এই বিশ্বজুড়ে তাঁরই অস্তিত্ব, তাঁরই ক্ষমতা, তাঁরই শক্তি আর তাঁরই নূরের বহি:প্রকাশ। খোলা মনে, খোলা চোখেই যা দেখা যায়। মানুষ নিজেই এক মহাবিশ্বয়কর সৃষ্টি।
শুধু অন্ধ গাহেনা তোমারই গুনগান।