গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......
.
একবার পরবো, যদি আবার ছেড়ে দিই। যদি ধরে রাখতে না পারি! কী হবে তখন। নানান দ্বিধায় মনটা ছিন্নভিন্ন হয়ে যেত।
এই সময়টায় রাস্তায় চলতে ফিরতে কোনো কালো নিকাব পরা, বোরকা পরা মানুষ দেখলে আমি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতাম। আমার ভেতরটা চিৎকার করে কাঁদত। আমিও যে এমনিভাবে পর্দা করতে চাই। আমিও আমার রবের হুকুম অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে চাই; কিন্তু কেন পারছি না। কেন?
For Photos I use:
Camera |
Iphone 12 Mini |
Lens |
Wide 26 mm-Equivalent |
Photographer |
@fxsajol |
Location |
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh |
Processing photos |
Outdoor |
কোনো উত্তর পেতাম না। নানারকম সংশয় কাজ করত। সাহস করে উঠতে পারতাম না। একদিন হঠাৎ নিজেকে জিজ্ঞেস করলাম, “মুন, তুমি কেন আবার নিকাব শুরু করতে চাও? অন্যদের বাহবা পেতে? কাউকে দেখাতে?’
মন কেঁদে উঠে জবাব দিল, 'না, আমার রবের আনুগত্য করতে।’
জিজ্ঞেস করলাম, ‘তাহলে তুমি কিসের ভয় পাচ্ছ?' মন কোনো জবাব দিতে পারল না৷ আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ। আমি আবার নিকাব শুরু করে দিলাম। ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ; নিজের কাছে নিজে শপথ করলাম। শ্বাস থাকতে আমি আর পর্দা ছাড়ছি না। দোয়া করলাম, ‘আল্লাহ, আমাকে মৃত্যু পর্যন্ত পর্দা করে যাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।'
হ্যাঁ, বলা যতটা সহজ করা ততটা না। নিজের নফসের সাথে যুদ্ধ। আশপাশের মানুষদের সাথে দ্বন্দ্ব। সবই ছিল, আছে, থাকবে। সাথে তো আমাদের রবের সাহায্যও আছে। তাঁর সাহায্য ছাড়া কি আদৌ কিছু সম্ভব?
এই সংগ্রাম চলছে। চলবে...
আবার পর্দা শুরু করার পরের পথটাও ঠিক আগের মতোই কাঁটাময় ছিল। সত্যি কথা হলো মাটির উপর ‘হ্যাপিলি এভার আফটার' বলে কোনো টার্ম নেই। প্রথম যখন বিয়ে বাড়িতে নিকাব পরে যাব বলেছিলাম, সেবার পরিবারের প্রতিটা মানুষের চোখরাঙ্গানি দেখেছি, হরে রকমের তিতকুটে কথা শুনেছি; এমনকি আমার আম্মিও আমাকে অনেক অনেক বকা দিয়েছিল। শুধুমাত্র বাপ্পা বলেছিল, ‘ঠিক আছে, ও যখন এভাবেই যেতে চাচ্ছে তখন এভাবেই যাক।’
একবার টেকনাফ ঘুরতে গিয়েছি; সেখানে আমার আত্মীয়দের বন্ধুরাও ছিল। আমি নিকাব পরেই খাবার খাচ্ছি দেখে সবার সামনেই বীভৎসভাবে অপমানিত হতে হয়েছিল।
আবার গাইরে-মাহরাম আত্মীয়দের সামনে যখন বড় খিমার পরে নিজের দূরত্ব বজায় রেখে চলি, তখনও গিলতে হয় বিস্বাদ কথার স্তূপ।
তবে, এখন আর মন খারাপ হয় না। এখন মানুষগুলোর সাইকোলজি আমি বুঝি। নিজের দৃঢ়তাও ঠিক ধরে রাখতে পারি আলহামদুলিল্লাহ। পেছনে ফিরে তাকালে আমার মনে হয়, আমার রব যেন আমাকে নিজে ভেঙে আবার গড়ে নিতে চেয়েছেন ঠিক তাঁর মনের মতো করে। কতটা হতে পারছি তা তো শেষ বিচারের দিনই বোঝা যাবে। রাব্বুল আলামিন আমাকে তুমি পুরোপুরি তোমার মনের মতোই গড়ে নাও।
নিজের জীবন থেকে কিছু কথা আমি বলতে চাই। প্রথমত, আপুরা, দ্বীনকে নিজে জানার ও বুঝার চেষ্টা করুন। আমাদের ফিতরাতই হলো সত্যকে আঁকড়ে ধরার; কিন্তু আমরা যদি না-ই জানি, কেন আমাদের পর্দা করতে হবে। না করলে কী হবে, তাহলে আমাদের পক্ষে তা মন থেকে মেনে নেওয়া কখনোই সম্ভব হবে না। তখন আমাদের অবস্থা আমার সেই ফ্রেন্ডের মতোই হবে, যে কিনা একদিন পর্দা করত তো অন্যদিন করত না।
দ্বিতীয়ত, পর্দা করা শুরু করার পর কখনোই হীনম্মন্যতায় ভুগবেন না; যে যা-ই বলুক। মানুষের কোন কথা গায়ে মাখবেন আর কোনটা বাতাসে ভাসিয়ে দিবেন সেটা শিখতে হবে। মাটির নিচে গিয়ে ‘ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি' করার আগে মাটির উপরেই নিজের আখিরাত নিয়ে ভাবতে হবে। আজকে একটা বিয়েতে আপনি নিকাব পরে যাবেন বলে অনেকের বকা খাচ্ছেন। কালই সবাই সব ভুলে যাবে। আমার নিজের বেলাতেই তো এমন হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। যখন সবাই বুঝতে পেরেছে; যে যা-ই বলুক আমি কারও কথার পাত্তা না দিয়ে রবের আনুগত্য করেই যাব, তখন সবাই বলা বন্ধ করে দিয়েছে। কারও বিয়ে হোক বা যা-ই হোক, এখন সবাই জানে আমি পর্দা ছাড়া কিছুই করব না। তাই নিজেরা পর্দাহীন থাকলেও আমার জন্য আলাদা ব্যবস্থা করে সবাই, আলহামদুলিল্লাহ। আপু, বিশ্বাস করুন, এ পথের শুরুটা একটু কঠিন; কিন্তু ধীরে ধীরে সব সহজ হয়ে যায়।
For Photos I use:
Camera |
Iphone 12 Mini |
Lens |
Wide 26 mm-Equivalent |
Photographer |
@fxsajol |
Location |
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh |
Processing photos |
Outdoor |
তৃতীয়ত, নিজের নফসকে সর্বক্ষণ শাসনের মধ্যে রাখতে হবে। আর নফসের উপর এমনি এমনি শাসন চলে না। নফসকে ছড়ির উপর রাখতে প্রয়োজন জ্ঞান। আপনি একটি বই পড়ে কখনোই এটা ভাবতে পারবেন না যে, যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করলাম। মানুষের মন খুব ভুলে যাওয়া প্রবণ। ভালো জিনিস আমরা খুব দ্রুতই ভুলে যাই। তাই সব সময় নিজেকে রিমাইন্ডার দেওয়ার মধ্যে থাকতে হবে। জ্ঞানার্জনের মধ্যেই থাকতে হবে।
সর্বপরি আল্লাহর কাছে তাওফিক চেয়ে ফরিয়াদ জানাতে হবে। তিনি ছাড়া কে আর
আমাদের বুঝেন, বলুন
Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 9.234731775486168 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Hi @fxsajol,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit