গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......
...
কেন শুধু মেয়েরাই পর্দা করবে? কেন না বলছি? মনের পর্দাই আসল পর্দা। এরকম আরো অনেক কিছু। অজ্ঞতার প্রতিষেধক জ্ঞানীদের জিজ্ঞাসা করা হয়। এবং, নতুন কিছু শেখার প্রথম ধাপ হল অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন না করা
গ্রহণ করাযেমন: আমরা যখন প্রথম ক্লাস সিক্সে বীজগণিত করতে শুরু করি, তখন আমি খুব বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করতাম এই সব করে কী লাভ? কিন্তু উচ্চশিক্ষায় বীজগণিতের ব্যবহার কী? ধীরে ধীরে বুঝতে পারলাম। ধর্মের ক্ষেত্রেও তাই!
একবার এক বন্ধুর সাথে ফোনে কথা বলছিলাম। সে তার প্রতিদিনের দুঃখ-কষ্ট ভাগাভাগি করত। আমি তাকে বোঝাচ্ছিলাম, 'ধৈর্য ধর! পৃথিবীটা একটা পরীক্ষা। দুনিয়াতে যা করতে পারেননি, তা বেহেশতে করবেন, ইনশাআল্লাহ!' তিনি একটু অবজ্ঞার দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বললেন, “আহ জান্নাত! যাব কি না কে জানে! আমি যদি পৃথিবীতে এটা করতে পারতাম!'
For Photos I use:
Camera |
Iphone 12 Mini |
Lens |
Wide 26 mm-Equivalent |
Photographer |
@fxsajol |
Location |
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh |
Processing photos |
Outdoor |
হ্যাঁ, এখানেই আমাদের বিশ্বাসের অভাব। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 'যে ব্যক্তি ফরজ সালাতের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, জান্নাত ও তার মধ্যে একমাত্র দূরত্ব হলো মৃত্যু।' আমরা শুধু বলি, আমরা বিশ্বাস করি, তাহলে জান্নাতের আশা করতে পারি না কেন? আচ্ছা, আমরা পাপী। তাই আমরা জান্নাতের আশা করতে পারি না; কিন্তু জান্নাত না হলে আমাদের গন্তব্য হবে জাহান্নাম। এমনকি নরকের ভয় আমাদের পাপ থেকে বিরত রাখে না। "আপনি যদি 10 জনকে একটি বার্তা পাঠান, আপনি আগামীকাল সুসংবাদ পাবেন।" বিশ্বাস করে আমরা ১০ জনকে মেসেজ দিতে পারি! কিন্তু ১০ বার সূরা ইখলাস পড়লে জান্নাতে ঘর পাব। আমরা এটা বিশ্বাস করি না। আমি হাজারটা প্রশ্ন করি। কি শুধু ১০ বার পড়তে হবে, আর কিছু নয়!
জ্ঞান অর্জন করতে হলে বিশ্বাস করতে হবে। ঈমান অর্জনের জন্যও জ্ঞানের প্রয়োজন। তাই নিজের আত্মাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আল্লাহর নির্দেশে বিশ্বাস রেখে ধাপে ধাপে দ্বীনের জ্ঞান বাড়াতে হবে। সেই জ্ঞানের প্রতি বিশ্বাস রেখে তা অনুশীলনে পরিণত করতে হবে। কর্ম ছাড়া জ্ঞান অর্থহীন, এবং জ্ঞান ছাড়া কর্ম ও চিন্তা শূন্য।
দারভিদা
চোখ খুলে দেখি একটা অন্ধকার ঘরে। অনেক দূর থেকে আজানের শব্দ। কোন সময় বুঝলাম না। ফজরের আজান ব্যতীত অন্য সব আজান একই। তাই আমি নিশ্চিত যে এটা অন্তত ফজরের আজান নয়। আমি কেন অন্ধকারে শুয়ে ছিলাম মনে করতে পারছিলাম না। শরীরটাও একেবারে নিস্তেজ মনে হয়। এটাই নামাজের আহ্বান। এখন সে নামাজ পড়বে। সে আজ নামায পড়লে দরবিদা আমাদের গলায় নেবে।
শব্দ কোথা থেকে এলো? হয়তো দরজার ওপাশ থেকে। কি আজব, দরবিদা কে? এটার নাম কি? মানুষের নাম? আর নামাজ পড়ার সময় গলায় পরতে হবে কেন? মনে পড়ে গত রাতেও মায়ের বকাঝকা করে এশার নামাজ পড়েছিলাম। যেখানে কেউ ঘাড় নেয়নি! আজ কেন নেবেন! আর এই যুগে কেউ 'ঘাড়' শব্দটি ব্যবহার করে? কি অদ্ভুত ধ্বনিত শব্দ। এসব চিন্তা করে অন্ধকারে কিছু বালির স্তূপ পেলাম এবং তা দিয়ে তায়াম্মুম করলাম। শরীরের প্রতিটি জয়েন্টে ব্যথা অনুভব করছিলাম। এদিকে দরজা খুলে একদল প্রহরী ঘরে ঢুকল। অন্ধকার ঘরটা উজ্জ্বল হয়ে উঠল। একজন প্রহরী বলল, “দেখুন! বললাম না, আজানের শব্দে তার হুঁশ ফিরবে! আপনি দেখুন! এতক্ষণে ওযু শেষ! আমরা একটু দেরি করলে তার নামাজ শেষ হয়ে যেত। দরবিদাকে আমরা কী জবাব দিতাম!' আরেকজন প্রহরী খুব উত্তেজিত হয়ে বলল, 'কখনো না! আমরা তাকে কখনই প্রার্থনা করতে দেব না! সবাইকে ধরে রাখো! তাকে গাছের সাথে বেঁধে দাও!'
তারা সবাই আমার যন্ত্রণাদায়ক শরীর টেনে বের করে আনল। আকাশ দেখেই বুঝলাম আসরের সময়। উত্তপ্ত মরুভূমিতে আমাকে একটি কাঁটাগাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল। কাঁটার খোঁচায় পুরো পিঠে রক্ত ঝরছে। তৃষ্ণায় গলা শক্ত হয়ে আসছে। হয়তো অনেকদিন ধরে তারা আমাকে এভাবে নির্যাতন করেছে
Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 8.973716814818633 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit