আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় বন্ধুগণ, কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। আজকে আরো একটি নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গেলাম। আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত আমার পাশে থাকবেন।
আমি কিভাবে আমার প্রতিষ্ঠানে মাল সংগ্রহ করি সেই সমস্ত বিষয়গুলো আজকে আপনাদের সামনে ব্লগ আকারে তুলে ধরবো। আমি সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা খেয়ে নিলাম। সকালের নাস্তা শেষ করে সবকিছু গুছিয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হলাম। আলহামদুলিল্লাহ অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলে আসলাম।
আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি ঝিনাইদাহ জেলার মহেশপুর থানার অন্তর্ভুক্ত বজরাপুর গ্রামে অবস্থিত। আরো সহজ করে বলতে গেলে কালিগঞ্জ - জীবননগর মহাসড়কের সাথে বজরাপুর,জামতলায় অবস্থিত। আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসার পর আগের দিনের কিছু ব্যবসাহিক হিসাব ছিল সেগুলো শেষ করলাম। আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনেই একটি চায়ের টং দোকান আছে। সেখানে গিয়ে এক কাপ রং চা খেয়ে নিজেকে একটু ফ্রেশ করে নিলাম। চা আমার খুবই প্রিয়। চা খেতে আমার খুব ভালো লাগে বিশেষ করে রং চা।
নিয়মিত রং চা খেলে হার্ট খুব ভালো থাকে। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে চা খেলে নিজেকে অনেক ফ্রেশ ও সতেজ লাগে। টং দোকানে বসে চা খেতে খেতেই আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কিছু মাল চলে আসলো। আমার এখানে নিজস্ব বড় ব্রিজ স্কেল রয়েছে। আমার প্রতিষ্ঠানের যত মাল আসে সব কিছুই এই বড় ব্রিজ স্কেলে ওজন করা হয়।
এখানে ছবিতে আপনারা যা দেখতে পাচ্ছেন এই মালগুলো পার্শ্ববর্তী কোটচাঁদপুর থানা থেকে এসেছে। এই গাড়ির মধ্যে শুধু টিন রয়েছে। এখানে প্রায় এক হাজার কেজির উপরে টিন রয়েছে। ব্রিজ স্কেলে এই মালগুলো ওজন করে আমার ঘরের লোকজন এই মালগুলো আনলোড করে নিবে। এরপর খালি গাড়ি ওজন দিয়ে মালের হিসাব করা হবে। হিসাব করে টাকা পয়সা দিয়ে তাদেরকে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
এখানে আরেকটি ছবিতে যে মালগুলো দেখতে পাচ্ছেন, এই মালগুলো এসেছে মহেশপুর থেকে। এই ব্যবসাহিকের নাম হচ্ছে আজিম। তিনি খুবই ভালো মনের একজন মানুষ। তিনি অনেক বছর যাবত আমাদের সাথে ব্যবসা করছেন। এখানে প্রায় ১৩০০ কেজি মাল আছে। এই গাড়ির মালগুলো ও সম্পূর্ণ টিন। ব্রিজ স্কেলে লোড গাড়ি এবং খালি গাড়ি ওজন করে মালের হিসাব করে টাকা পয়সা নিয়ে চলে যাবে।
এখানে আপনারা আরো কিছু ছবি দেখতে পাচ্ছেন। এই মালগুলো এসেছে যশোর থেকে। প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূর থেকে এই মালগুলো আমার প্রতিষ্ঠানে এসেছে। এই গাড়ির মধ্যে লোহা এবং টিন দুই ধরনের মাল আছে। এই ব্যবসায়িকের নাম মোহাম্মদ বাশার। তিনি পাঁচ বছর ধরে আমার সাথে নিয়মিত ব্যবসা করছেন। একইভাবে এই মালগুলো বড় ব্রিজ স্কেলে ওজন দিয়ে আমার লেবার আনলোড করে নিবে। মাল আনলোড করে হিসাব করে টাকা পয়সা দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
প্রিয় বন্ধুগণ, এভাবেই আমি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত মাল সংগ্রহ করি। এই মাল সংগ্রহ করার পর লেবার দিয়ে প্রসেসিং করে আমি বাংলাদেশের বিভিন্ন রড মিলে পাঠাই।
প্রিয় বন্ধুগণ, আজকে এ পর্যন্তই। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।আল্লাহ হাফেজ।
I use for photography and work:
মোবাইল | I phone 12 pro max | ফটোগ্রাফার | @najmulislam10 |
---|---|
লোকেশন | ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা | বাহিরে |