কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষাকেন্দ্রে গোলযোগ করার দায়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতাকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে মিরপুর পাইলট উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। কেন্দ্রের প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতে বাধা দিলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আলম বিশ্বাস পুলিশকে বলেন, ‘জানো আমি কে, আমাকে চেনো?’
মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম এস এম জামাল আহমেদ রুহুলকে এই সাজার রায় দেন।
এস এম জামাল আহমেদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মিরপুর পাইলট উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রধান ফটক দিয়ে মোটরসাইকেলে তিন আরোহী ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাঁদের গতিরোধ করেন। নাম–পরিচয় ও ভেতরে ঢোকার অনুমতি আছে কি না, জানতে চান। এ সময় রুহুল আলম বলেন, ‘জানো আমি কে? আমাকে চেনো?’
এস এম জামাল আহমেদ জানান, একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে রুহুলের বাগ্বিতণ্ডা হয়। ওই আওয়ামী লীগ নেতা পুলিশ সদস্যদের পোশাকেও হাত দেয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ইউএনও ও ওসিকে জানালে তাঁরা সেখানে যান। এর ফাঁকে মোটরসাইকেলে থাকা দুজন পালিয়ে যান।
এস এম জামাল আহমেদ বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে রুহুল আলম নিজের ভুল স্বীকার করেন। মাথা গরম হয়ে যাওয়ায় এমন হয়েছে বলে জানান। পরে রুহুল আলমকে ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইনে পরীক্ষাকেন্দ্রে গোলযোগ সৃষ্টির দায়ে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তাঁকে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।