ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বৃদ্ধা বেগমজানের বসতভিটা আর ফসলি জমির প্রায় পুরোটাই হয়েছে বেদখল। জমি ফিরে পেতে মামলা করেছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তা ঝুলে আছে। উল্টো মামলা তুলে নিতে তাকে দেয়া হয় জীবননাশের হুমকি। জীবন সংগ্রামের শেষ প্রান্তে পৌঁছে যাওয়া বেগমজান চান মৃত্যুর আগে তার সব জমি প্রধানমন্ত্রীর নামে লিখে দিয়ে যেতে।
বয়স হয়েছে, লাঠিতে ভর দিয়ে হাঁটতে হয় বৃদ্ধা বেগমজানকে। স্বামী বার্ধক্যজনিত রোগে এখন বিছানায় পড়ে আছেন। বেশ কয়েক বছর ধরে প্রভাবশালীদের দখলে থাকা বসতভিটা আর ধানি জমি ফেরত পেতে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি। বেগমজান জানান, এরই মধ্যে আদালতের রায়ে বসতভিটার আংশিক জমি বুঝে পেয়েছেন তিনি। তবে দখলদারদের কাছে রয়ে গেছে অনেকটাই। এখন তাকে উচ্ছেদ করতে ওঠেপড়ে লেগেছে দখলদাররা।
এ ব্যাপারে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, অসহায় এক নারী বেগমজান, বেশ কয়েকবার তার দারস্থ হয়েছেন। তবে ব্যক্তিগত জমি নিয়ে বিরোধের ঘটনায় কিছুই করার নেই তার। তবে তার অসহায়ত্ব দেখে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেগমজানকে একটি ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে।
বেগমজানের ঘরের পাশেই অভিযুক্ত স্থানীয় কৃষক কেরামতউল্লাহর পরিবারের বাসস্থান। বেগমজানের অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি তাদের।
কেরামতউল্লাহ বলেন, আদালতের রায়ের পর বেগমজানকে তার জমি দেয়া হয়েছে। আর কোনো জমি সে পাবে না।
তবে বেগমজানের দাবি, ৬২ কাঠা জমি রয়েছে তার। যার প্রায় সবটাই প্রতিবেশী কেরামতউল্লাহ ও স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন ভোগদখল করে খাচ্ছে।
এখন বয়স হয়েছে আর শক্তিও নেই। তাই মরার আগে তার সব জমি প্রধানমন্ত্রীর নামে লিখে দিতে চান তিনি।
thanks for your bangla post
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit