এর পর কোন প্রাণীটি বিলুপ্ত হতে চলেছে?

in news •  7 years ago 

সারা বিশ্বে বেঁচে থাকা একমাত্র পুরুষ শ্বেত গণ্ডারটির মৃত্যুর পর এই প্রজাতিব প্রাণীটি 'আনুষ্ঠানিকভাবে' বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

এখন এই প্রাণীটিকে ফিরে পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো বিজ্ঞান। অর্থাৎ গবেষণাগারে আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে এই প্রাণীটিকে জন্মানো যেতে পারে।

বন্যপ্রাণী রক্ষায় কাজ করে এরকম একটি দাতব্য সংস্থা ডাব্লিউ ডাব্লিউ এফ- এর প্রধান কলিন বাটফিল্ড বলছেন, "পরিস্থিতি আসলেই ভয়াবহ।"
খুব বেশি বিপদের মধ্যে আছে এরকম প্রাণীকুলের একটি ভাকুইয়তা, এটি ডলফিন বা ছোট আকারের একটি তিমি, যা ১৯৫৮ সালে প্রথম দেখা গিয়েছিলো। একই রকম বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় আছে আরো একটি গণ্ডার যার নাম জাভান।

এছাড়াও আরো যেসব প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পথে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে সুমাত্রান গণ্ডার, কৃষ্ণ গণ্ডার, আমুর চিতাবাঘ, ফরেস্ট হাতি এবং বোর্নিও দ্বীপের ওরাংওটান। তার কোন কোনটির সংখ্যা হয়তো একশোরও কম বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রকৃতি সংরক্ষণে কাজ করে এরকম আন্তর্জাতিক সংস্থা আই ইউ সি এন এসব প্রাণীর একটি তালিকা তৈরি করেছে। তার নাম দেওয়া হয়েছে রেড লিস্ট। এই তালিকায় উদ্ভিদ, স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি, জলে ও স্থলে বাস করতে পারে এরকম উভচর প্রাণী, সামুদ্রিক প্রাণী ইত্যাদি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলোকে আবার কোনটা কতো বেশি ঝুঁকির মুখে সেই তুলনা করে তাদেরকে একেকটা ভাগে ফেলা হয়েছে।

সংস্থাটি মনে করে, বর্তমানে ৫,৫৮৩টি প্রাণী 'গুরুতর বিপদের' মুখে।

এদের মধ্যে কমপক্ষে ২৬টি প্রাণীকে ২০১৭ সালে বিপন্ন ঘোষণা করা হয়েছিলো। কিন্তু তার আগের বছরে এই প্রাণীগুলোর ভবিষ্যত এতোটা শোচনীয় ছিলো না।

২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে আই ইউ সি এনের হিসেবে তখনও পর্যন্ত বেঁচেছিলো ৩০টির মতো ভাকুইয়তা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামী এক দশকের মধ্যেই এই প্রাণীটি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।

সংস্থাটি বলছে, এসব প্রাণীর সংখ্যা কো সেটা একেবারে নির্ভুলভাবে বলা কঠিন। তারপরেও যাতে প্রকৃত সংখ্যার খুব কাছাকাছি যাওয়া যায় সেজন্যে এই গণনায় নানা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

good information

Hi! I am a robot. I just upvoted you! I found similar content that readers might be interested in:
http://www.bbc.com/bengali/news-43488797