যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে একটি হাইস্কুলে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, টেক্সাসের সান্তা ফে হাইস্কুলে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। হিউস্টন থেকে ৪০ মাইল দক্ষিণে স্কুলটির অবস্থান। স্কুলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার ক্লাস শুরুর পর পরই গোলাগুলি শুরু হয়। তবে ওই হামলাকারী এই স্কুলের শিক্ষার্থী কিনা, তা জানা যায়নি। পুলিশ এখনো হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেনি।
স্থানীয় কাউন্টির শেরিফ এক টুইট বার্তায় বলেছেন, গুলিতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একজন ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া আরও একজনকে আটকের খবরও নিশ্চিত করা হয়েছে। শেরিফ এড গনজালেজ বলেছেন, এ ঘটনায় এক পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। তবে তাঁর আঘাতের মাত্রা জানা যায়নি।
স্কুলের বিভিন্ন শিক্ষার্থী জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল আটটার দিকে হঠাৎ করেই গুলির শব্দ শোনা যায় এবং স্কুলের সতর্কীকরণ ঘণ্টা বেজে ওঠে। এ সময় হুড়োহুড়ি করে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সশস্ত্র সদস্যদের উপস্থিতিতে স্কুল থেকে শিক্ষার্থীদের বের করা হয়।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, গোলাগুলিতে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ জনের নিহত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সাত দিনে এই নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি স্কুলে গোলাগুলির ঘটনা ঘটল। আর চলতি বছরে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে এমন ঘটনা ঘটেছে ২২টি।
একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে সিএনএন জানিয়েছে, সকালে স্কুলটির একটি শ্রেণিকক্ষে ঢুকে গুলি চালায় একজন সশস্ত্র ব্যক্তি। গুলির শব্দে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। হতাহত ব্যক্তিদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আক্রমণকারীর হাতে শটগানের মতো অস্ত্র ছিল বলেও জানা গেছে।
এ ঘটনায় টুইট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি লিখেছেন, ‘টেক্সাসে স্কুলে গুলি। প্রতিবেদনে পাওয়া খবর ভালো নয়। ঈশ্বর সবাইকে আশীর্বাদ করুন।’ এ ঘটনায় টুইট করেছেন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পও।
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডের মারজোরি স্টোনম্যান ডগলাস হাইস্কুলে গুলি চালিয়ে ১৭ জন শিক্ষার্থী ও স্কুলের কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র ব্যবহারের অধিকার বিষয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়