পিঠের বাঁদিকে, থোরাক্সে (thorax) বাঁশের টুকরোটি ঢুকে গিয়েছিল। যে অপারেশনটি এক্ষেত্রে করা হয়েছে তার নাম 'থোরাকোটমি' (thoracotomy)।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিরল গোত্রের অস্ত্রোপচার সম্ভব হল উত্তরবঙ্গে। নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজে এক রোগীর পিঠে বিশ্রী ভাবে গেঁথে থাকা বাঁশ বের করা হল।
একটি পথদপর্ঘটনার জেরে এক ব্যক্তির পিঠে বাঁশ ঢুকে গিয়েছিল। পিঠের বাঁদিকে থোরাক্সে বাঁশের টুকরোটি ঢুকে গিয়েছিল। যে বিরল গোত্রের অপারেশন এক্ষেত্রে করা হয়েছে তার নাম 'থোরাকোটমি'।
রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় আজ, সোমবারই জটিল এই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ। কিন্তু রাতে রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকায় জরুরিকালীন ভিত্তিতে গভীর রাতেই সাত সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করে শুরু হয় অস্ত্রোপচার। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডক্টর অমরেন্দ্র সরকারের নেতৃত্বে চলে অস্ত্রোপচার। অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের প্রধান ডক্টর অভিষেক গাঙ্গুলি জানান, রোগী রবিবার মেডিকেল কলেজে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হন। সোমবার অস্ত্রোপচারের কথা থাকলেও রবিবার রাতেই জরুরিকালীন ভিত্তিতে অপারেশন শুরু হয়। ভোর তিনটে থেকে শুরু হয় অস্ত্রোপচার। প্রায় চার ঘণ্টার প্রচেষ্টায় শেষ হয় অস্ত্রোপচার।
তবে প্রচুর রক্তপাতের জেরে প্রাথমিক ভাবে রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে পড়ছিল। ব্লাড স্যাচুরেশন কমছিল। তবে সৌভাগ্যক্রমে, রোগীর মেজর ভেসেল ইনজুরি ছিল না, ছোট ছোট কিছু ভেসেল ইনজুরি ছিল। পাঁজর ভেঙেছে। তবে ফুসফুস অক্ষত। রোগীকে 'মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশনে' রাখা হয়েছে। 'ইনটিউবেশন'ও করা হয়েছে।
চিকিৎসক, অ্যানাথেসিস্ট এবং গোটা মেডিক্যাল টিমটির কাছে এই ধরনের একটি অপারেশন খুবই বড় মাপের চ্যালেঞ্জ ছিল। তারা যথেষ্ট সফল ভাবে তার মোকাবিলাও করতে পেরেছে। নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজের পক্ষে বিষয়টি খুব বড় সাফল্যও।