গত বছরের কথা । ২০২২ সালের নভেম্বর মাস । প্রথম সপ্তাহে কলকাতার নিউটাউনের একটি মেলায় গিয়েছিলাম সপরিবারে । মেলাটি লেকটাউনে আ
বিশাল মাঠ । এক পাশে বড় একটি সাংস্কৃতিক মঞ্চ বাঁধা হয়েছে । সেখানে নানা রকমের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েই চলেছে । চলবে এক মাস ধরে । এই মেলাটির ব্যাপ্তিও এক মাস ধরে । আমরা শুরুতেই স্টেজের নিকটে দাঁড়িয়ে বেশ কিছুক্ষণ কয়েকটি সঙ্গীত আর নৃত্য পরিবেশনা উপভোগ করলাম । এরপরে শুরু হলো নাটক । কিছুক্ষন নাটক দেখার পরে টিনটিন বিরক্ত বোধ করতে লাগলো । বাধ্য হয়ে এবার আমরা মেলার সারিবদ্ধ দোকানপাটের দিকে এগিয়ে গেলুম ।
প্রচুর দোকানপাট এসেছে দেখলাম । মনোহারী দোকান, পোশাক-আশাকের দোকান, বইয়ের দোকান, শাড়ির দোকান, জুয়েলারি দোকান, ফার্নিচারের দোকান, ঘর সাজানোর বাহারী জিনিসপত্রের দোকান, বাসন-কোসনের দোকান, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দোকান, বেডিংপত্রের দোকান, ইলেক্ট্রনিক্স মোটামুটি প্রায় সব কিছুরই দোকান আছে সারিবদ্ধ দিয়ে বিশাল মেলা প্রাঙ্গনে । ডেইলি কোটি টাকার উপরে কেনা বেচা চলছে ।
পুরো মেলা ঘুরে দেখতে গেলে হাতে ৫-৬ ঘন্টা টাইম থাকা লাগবে । সেটা ছিল না । মাত্র ঘন্টা দুই কাটাতে পারবো মেলায় । তাই আমরা দ্রুত ঘুরতে শুরু করলাম । মেলায় প্রচুর খাবারের দোকানও এসেছিলো । আমি বাইরের খাবার খাই না । তা সত্ত্বেও ওদের পাল্লায় পড়ে খেলুম ভেজ মোমো । বিশ্রী লাগলো । খাওয়া দাওয়ার পরে টিনটিনকে কিছুক্ষন "মেরী গো রাউন্ডে" চড়িয়ে আবার ঘোরা শুরু করলাম । মেলার প্রচুর বাচ্চাদের রাইড এসেছিলো । এ ছাড়াও ছিল বড় বড় নাগরদোলা ।
এরপরে বেশ কিছুক্ষণ কাটালাম জামা কাপড়ের দোকান ঘুরে ঘুরে । এক জায়গায় তনুজা ইমিটেশনের কিছু গয়না কিনলো । তারপরে আমরা গেলুম একটা বড় চিপসের দোকানে । হরেক মাছের চিপস কিনলাম। সেই সাথে বেশ কিছু ভেজ চিপসও নিলাম । এ গুলো কাঁচা চিপস । বাড়ি গিয়ে ভেজে খেতে হবে । সেখান থেকে গেলাম একটা শাড়ির দোকানে । একটা শাড়ি ভারী পছন্দ হলো আমার । কিন্তু, দাম শুনে চোখ কপালে উঠলো । অত টাকা কেউ সঙ্গে রাখে না । দোকানদার আমাদের আশ্বস্ত করলো - কার্ডে পেমেন্ট করা যাবে । যাই হোক শাড়ি কেনা হলো । নিচে সেই শাড়ির ছবি শেয়ার করেছি । দামটা আর বললাম না । কেউই বিশ্বাস করবেন না তাই ।
মাদের কমিউনিটির অ্যাডমিন স্বাগতার বাড়ির কাছেই । সে-ই আমন্ত্রণ জানিয়েছিল আমাদের মেলাতে । শীতের শুরু জাস্ট । বাতাসে শীত শীতে ভাব আছে বেশ । সন্ধ্যার কিছু পূর্বে আমি, তনুজা, টিনটিন, আমার ভাই আর স্বাগতা এই ক'জন মিলে হাজির হলাম লেকটাউন মেলা প্রাঙ্গনে ।
এরপরে আমরা ঘুরে ঘুরে টিনটিনবাবুর জন্য বেশ কিছু খেলনা, বই এসব কিনলাম । মেলার এক জায়গায় দেখি সুন্দর সুন্দর পোড়া মাটির ক্রোকারিজ বিক্রী হচ্ছে । সেখান থেকে একটা টী সেট কিনে ফেললুম । ছ'টি পেয়ালা, একটি টী-পট আরেকটি ট্রে । এই সেটের দাম মাত্র
এরপরেও চললো কেনাকাটা আর ঘোরাঘুরি । পুরো তিন ঘন্টা ধরে ঘুরলাম আমরা । এরপরে রাত সাড়ে আটটার কিছু পরে মেলা থেকে বেরিয়ে গেলুম । দারুন একটা শীতের সন্ধ্যা এনজয় করলাম আমরা সবাই মিলে ।
শীতের সন্ধ্যা এনজয় করলাম আমরা সবাই মিলে ।
ইমিটেশন জুয়েলারির দোকানে
তারিখ : ০৮ নভেম্বর ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৫ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : লেকটাউন, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
বিশাল নাগরদোলা এসেছিলো মেলায়, আর অনেক বাচ্চাদের রাইড। টিনটিন একটি রাইডে চড়েছিল।
তারিখ : ০৮ নভেম্বর ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ১৫ মিনিট
স্থান : লেকটাউন, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
হরেক রকমের, হরেক স্বাদের চিপসের দোকানে আমরা
তারিখ : ০৮ নভেম্বর ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ২৫ মিনিট
স্থান : লেকটাউন, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
মেলায় বেশ কিছু বইয়ের দোকানও এসেছিলো । আমার জন্য আর টিনটিনবাবুর জন্য বেশ কিছু বই কিনে ফেললাম ।
তারিখ : ০৮ নভেম্বর ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : লেকটাউন, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
হরেক আকার ও আকৃতির ও বিভিন্ন ডিজাইনের ফ্লাওয়ার ভাসের দোকান এসেছিলো । কিছু ফ্লাওয়ার ভাস ছিল পেতলের, কিছু চিনামাটির ।
তারিখ : ০৮ নভেম্বর ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : লেকটাউন, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ঘর সাজানোর ভাস্কর্য । এগুলো অসম্ভব সুন্দর দেখতে । আকৃতিতে বিশাল । একটি দেওয়ালের প্রায় অর্ধেকটা জুড়ে থাকবে । দামও বিশাল । কোনওটা ৪০,০০০ এর নিচে নেই । বড় গুলোর প্রাইস ১ লাখের উপরে ।
তারিখ : ০৮ নভেম্বর ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : লেকটাউন, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ঘর সাজানোর নানান শখের জিনিসের দোকান, প্লাস্টিকের হরেক রকমের খেলনার দোকান ।
তারিখ : ০৮ নভেম্বর ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ১০ মিনিট
স্থান : লেকটাউন, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
পোড়া মাটির ক্রোকারিজ এর দোকান
তারিখ : ০৮ নভেম্বর ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ২৫ মিনিট
স্থান : লেকটাউন, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এই সেই বিখ্যাত শাড়ি । কিনতে গিয়ে ফতুর আমি। ...
#2023