এই পাস্তা টা রান্না করেছিলাম তখন প্রায় রাত রাত বারোটা বাজে। কিছুদিন আগেই প্রিন্স বাজারে গিয়ে পাস্তা এনেছিলাম। এরপর থেকে আমার খাওয়ার খুব ইচ্ছা হচ্ছিল। তো আলসেমির জন্য আসলে রান্না করে খাওয়া হচ্ছিল না। আমরা প্রতিদিনই খেতে খেতে প্রায় রাত দশটা বেজে যায়। সেদিন আবার আমরা বিকালে কোন নাস্তা খাইনি তার জন্য আমরা সেদিন তারাতাড়ি ডিনার করে নিয়েছিলাম। ডিনার শেষে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে চলে গেলাম নিত আমরা প্রতিদিনই দেরিতে ঘুমাই যতই ঘুমাতে যায় না কেন ঘুম আসছিল না। হঠাৎ ফেসবুকে রিলস স্ক্রল করতে করতে পাস্তা রেসিপি সামনে আসলে।
এটা তো আমার খুবই খেতে মন চাচ্ছিল আরেকটা একটু ক্ষুদাও ছিল যেহেতু আগের ডিনার করেছিলাম। তারপর উঠে চলে গেলাম রান্না ঘরে। ফ্রিজ থেকে কিছু মাংস ক্যাপসিকাম বের করে নিলাম সাথে শসা ও ছিল। তোমার রাতে খাব তাই বেশি না অল্প একটু সিদ্ধ করেছিলাম। পেঁয়াজ মরিচ সবকিছু কেটে নিয়ে মেইন রান্নায় চলে গেলাম। পেঁয়াজ মরিচ ভেজে তার মধ্যে কিছু মাংস দিয়ে নিলাম ভাজা হয়ে গেলে তার মধ্যে একটু ময়দা দিয়ে ব্রাউন করে ভেবে নিলাম। তার ভেতর একটু দুধ দিয়ে দিলাম। একটু বেবি হলে তার মধ্যে পাস্তার ক্যাপসিকাম গোলমরিচ এগুলো দিয়ে দিলাম। আর সাথে দিলাম অনেক বেশি করে চিজ। এভাবে ঢাকনা দিয়ে পাঁচ মিনিটের জন্য ঢেকে দিলাম। পাঁচ মিনিট পরে পেটে ঢেলে নিয়ে চলে গেলাম হাসবেন্ডকে দেখাতে।
সে বলে এত রাতে তুমি আমার এসব কি রান্না করেছ। যাই হোক এত রাতে রান্না করেছি খুবই টেস্টি হয়েছিল। এবং দুইজন খুব মজা করে পেট ভরে খেয়েছিলাম। এভাবে আমরা হঠাৎ হঠাৎ রান্না করি আর হঠাৎ হঠাৎ খাই।