photogapry

in photograph •  7 years ago 

বাংলা ভুত এর গল্প ভয়ংকর ভুতের গল্প
ঘটনাটি ৩-৪ বছর আগে আমার
মামার
সাথে ঘটছিলো।ঘটনাটি মামার
ভাষাতেই
দিলাম।তখন রাত ১টা বাজে। দোকান
বন্ধ করব।হঠাত্ মোবাইলে একটা কল
এল।দেখি বন্ধু শাহীন ফোন করেছে।
ভাবলাম,এত রাতে ওর
ফোন ,কাহিনী কি?ফোন ধরলাম।
ধরেই একটা দুঃসংবাদ শুনতে হল।ওর
চাচা কিছুক্ষন আগে মারা গেছেন।
কাল
সকালে তার জানাজা হবে।এখন
মসজিদে মসজিদে গিয়ে হুজুরদের
বলতে হবে তারা যেন ফজরের ওয়াক্তে মাইকিং
করে দেন।আমি ওর
সাথে যেতে পারব
কিনা জানতে চাইল।
আমি এককথায় রাজি হলাম।আধ
ঘণ্টার
মধ্যে ওর বাসায় হাজির হলাম। তারপর
দুজনে একসাথে বের হয়ে বিভিন্ন
মসজিদে যেতে লাগলাম।তখন
৩টা কি ৩’৩০টা বাজে।দুজনে এক
মসজিদ থেকে বের
হয়ে আরেকটি মসজিদের দিকে রওনা হলাম।
যে মসজিদটিতে যাচ্ছিলাম
তাতে যেতে হলে মাঝখানে একটি ডোমপাড়ার
মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
দুজনে ডোমপাড়ার
মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।বন্ধুর মন খারাপ
তাই
সে কোন কথা বলছিল না।
পাড়াটি অত্যন্ত নোংরা।রাস্তার
পাশে কিছুদূর পরপর স্ট্রিট
লাইটপোস্ট। কিছুদূর এগোনের পর অদ্ভূত
অনুভূতি হতে লাগল,মনে হল কে যেন
আড়াল থেকে আমাদের দেখছে।
শাহীনেরও
যে একই অবস্থা হয়েছিল
তা পরে জেনেছি।অস্বস্তি কাটাবার
জন্য
দুজনে কথা বলতে বলতে এগোতে লাগলাম।
যেতে যেতে রাস্তার একটা মোড়
ঘুরবার
পর দেখি সামনে ১০-১২বছরের টাক মাথার একটা
ছেলে দাঁড়িয়ে আছে।
আমরা একটু অবাক হলাম।এত
রাতে এত
ছোট
একটা ছেলে বাহিরে কি করছে?
আমরা এগিয়ে গেলাম।পিচ্চিটাক ে বললাম
এই তোর বাড়ি কই?এত
রাতে এখানে কি করস?
পিচ্চিটা কিছু
না বলে মাথা নিচু করে হাঁটা ধরল।
এরপর সে যা করল তা এককথায়
অবিশ্বাস্য।
সে রাস্তার পাশের ড্রেনের
দিকে এগিয়ে গেল
এবং আস্তে আস্তে ড্রেনের
মধ্যে পুরোপুরি ঢুকে গেল!!! আমরা সাথে সাথে
দৌঁড়ে ড্রেনের
কাছে গিয়ে উকি দিলাম।কিন্তু
পিচ্চিটার
ছায়াও দেখলাম না।এত
তাড়াতাড়ি চম্পট
দেয়া কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব না।
তার চেয়েও বড় কথা হল ড্রেনটা এত
সরু যে কোন ১০-১২বছরের
ছেলে সেটায়
পুরোপুরি ঢুকতে পারবে না।
রাস্তার পাশের স্ট্রীট লাইটের আলোয়
ঘটনাটা চাক্ষুষ করলাম।কেমন যেন
ধোকা লাগল।যাই
হোক,ব্যাপারটা পাত্তা না দিয়ে চলতে লাগলাম।
অদ্ভূত অনুভূতিটাও বহাল রইল।
আরেকটু এগোনের পর কি কারনে যেন
একটা লাইটপোস্টের মাথার
দিকে নজর
গেল।যা দেখলাম তাতে দম বন্ধ
হয়ে গেল।পোস্টের মাথায়
ঝুলছে একটা লাশ,পিচ্চিটার লাশ!!! এইবার বুঝতে পারলাম
কিসের
পাল্লায়
পড়েছি।শাহীনও লাশটা যে লক্ষ্য
করেছে তাও বুঝলাম তার পরের
কথায়।
সে শুধু বলল দোস্ত ,ভাগ।দুজনে দৌঁড় লাগালাম।
কতদূর দৌড়াবার পর
থামলাম।
মনে হল বেঁচে গেছি।কিন্তু হঠাত্
করে শাহীনের চিত্কার।ওর
দিকে ঘুরে দেখি সে উপরের
দিকে আঙুল তাক করে আছে।উপরের
দিকে তাকাতেই
দেহে কাঁপুনি ধরে গেল।সেই
পোস্ট,সেই
লাশ!!!চারপাশের পরিবেশও
চেনা মনে হল।একটু আগেই এখান থেকে
পালিয়েছিলাম।মাট িতে ধুপ
করে কিছু পড়ার শব্দ
শুনে ঘুরে দেখি শাহীন
মাটিতে পড়ে আছে।
হঠাত্ করে বিদঘুটে হাসির শব্দ
শুনে পোস্টের দিকে তাকিয়ে যা দেখলাম
তা আমার কল্পনাতীত।পোস্ট ের
মাথায়
কোন লাশ নেই!!!ঐটার
নিচে দাঁড়িয়ে অট্টহাসি হাসছে পিচ্চিটা!!!
হঠাত্ করে সে হ্যাঁচকা টান দিয়ে নিজের
মাথা ছিঁড়ে ফেলল!!!আলোতে স্পষ্ট
দেখলাম চারপাশে রক্ত
ছিটকে পড়ল।
কাটা মাথাটি পাগলের মত
হাসতে লাগল। এরপর
কাটা মাথা হাতে কবন্ধটি আমাদের
দিকে এগোতে লাগল।আমি আর সহ্য
করতে পারলাম না।আল্লাহ আল্লাহ
করতে করতে চেতনা হারিয়ে ফেললাম।
পরদিন যখন হুঁশ হয় বুঝতে পারি আমরা একটা মসজিদে
আছি।
পরবর্তীতে জানতে পারি যে ফজরের
ওয়াক্তে মসজিদে আসার
পথে আমাদের
পড়ে থাকতে দেখে মুসল্লীরা আমাদের
মসজিদে নিয়ে এসেছে।এটা ছিল সেই
মসজিদ যেটার
উদ্দেশ্যে আমরা রওনা হয়েছিলাম।
ইমাম
সাহেবের কাছে আমরা সব
কথা বললে তিনি বলেন যে ঐটা ছিল খারাপ প্রকৃতির
প্রেত যা মানুষের
পথ
ভুলিয়ে দিয়ে এবং ভয়
দেখিয়ে ক্ষতি করে থাকে।
তিনি আমাদের
রাতে বাইরে থাকতে নিষেধ করলেন।তার কথা
আজও
মেনে চলি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

vai ami vote dilam apni ki amake dieasen ? please don't mind. My link https://steemit.com/@habib1978