'ও, আজ বন্ধুদের কথা দিয়েছ।'
'হ্যাঁ। তুমি বাড়িতে নেই শোনার পর।' 'ভাল। রাখছি।' লাইন কেটে দিয়ে দুটো টাকার নোট কাউন্টারে রেখে বাইরে বেরিয়ে এল
রঞ্জনা। কীরকম তেতো হয়ে গেল মনটা। যে আনন্দ নিয়ে সে হঠাৎই সুবীরকে আসতে বলেছিল
সেটা মুহূর্তেই উধাও। আজ সকালে এ বাড়ি থেকে বেরিয়েই সুবীর সন্ধেবেলা স্বাধীন হওয়ার স্বপ্ন
দেখেছে। বন্ধুদের সঙ্গে ক্লাবে গিয়ে আড্ডা দেবে। তারা মদ খাবে আর ও দেখবে, খাবার খাবে। অথচ তাদের এখন বলতে পারবে না যে তার প্রোগ্রাম পালটেছে। সন্ধেবেলায় বন্ধুদের সঙ্গে না গিয়ে বউয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাবে। বললে প্রেস্টিজ যাবে। এইসময় কেউ একজন পিছন থেকে তাকে ডাকল। বুঝতে না পেবে ফিরে দাঁড়িয়ে বেশ অবাক হয়ে গেল রঞ্জনা।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
গাড়ির দরজা খুলে যে নামল তার এখনকার চেহারাটা রঞ্জনার প্রায় অচেনা। মাত্র কয়েক বছরে একটা মানুষের এমন পরিবর্তন হয়? জিনস আর সাদা শার্ট পরা শরীরটা সামনে চলে এল, 'কী রো
চিনতে পারছিস না?'
'কী করে পারব? তোর আপাদমস্তক পালটে গিয়েছে।' রঞ্জনা বলল।
'ওঃ চোখের মণি ঘোরাল উপাসনা, 'কাম অন। দিনের বেলায় শাড়ি পড়তে আমার ভাল লাগে না। আর যা যা দেখছিস সবই প্রয়োজনে, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। কেমন আছিস?' উপাসনা
হাসল।
'ভাল।' রঞ্জনা কলেজের বান্ধবীকে দেখছিল। না, সিনেমার নায়িকা বলে মনে হচ্ছে না কিন্তু শান দেওয়া সুন্দরীদের ও একজন, তাতে সন্দেহ নেই। কলেজে উপাসনা ছিল
আজকের নব্যধারার খুব সাধারণ।
'তোর শ্বশুরবাড়ি কোথায়?' উপাসনা জিজ্ঞাসা করল।
'উত্তর কলকাতায়। মায়ের কাছে এসেছি।'
'তা হলে তো স্বাধীন। চল আমার সঙ্গে।'
'কোথায়?'
'আড্ডা মারব। ভয় নেই, বেশি দেরি হবে না, তোকে আমার গাড়ি পৌঁছে দেবে। আয়। কতদিন বাদে দেখা হল, আজ তোকে ছাড়ছি না।' প্রায় হাত ধরেই গাড়িতে তুলল উপাসনা। গাড়িতে ঢুকতেই খুব আরাম লাগল। হালকা ঠাণ্ডা গাড়ির ভিতরে। বাইরে পৃথিবীর সঙ্গে
কোনও মিল নেই।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
ওর হাতে হাত রেখে উপাসনা বলল, 'বাড়ি চল।' গাড়ি চলতে আরম্ভ করলে উপাসনা বলল, 'তুই আগের থেকে অনেক সুন্দরী হয়েছিস। দূর থেকে দেখে আমি প্রথমে চিনতে পারিনি।'
রঞ্জনা বলল, 'কে কাকে বলে!'
শব্দ করে হাসল উপাসনা, 'বর কী করে?'
'চাকরি। মাঝারি। মোটামুটি চলে যায়।'
'তুই?'
'কিছু না।'
'সে কী রে। কিছু করছিস না কেন?'
'প্রথমদিকে শ্বশুরবাড়ির আপত্তি ছিল। করা হয়ে ওঠেনি।' রঞ্জনা হাতটা ছাড়িয়ে নিল, 'তোর
খবর বল।'
'ব্যবসা করছি, খাটছি, পয়সা রোজগার করছি।'
'ব্যবসা?'
'হ্যাঁ। আমি ব্যবসা করছি বছর তিনেক।'
'তোর বর?'