'আমি জানি না।' মুখ ফেরাল রঞ্জনা।
হেসে ফেলল তিতির। তারপর বলল, 'দাদার জন্য অপেক্ষা করবে না খেয়ে নেবে? অনেক
রাত গিয়েছে।
'তুমি খেয়েছ।'
'না।'
'চলো আমি যাচ্ছি।'
বাথরুমে ঢুকে মুখে হাতে পায়ে জল ঢালতে ঢালতে রঞ্জনার মনে হল তিতির তার কথা বিশ্বাস করেনি বলেই ওইভাবে হাসল। ওরা ভাবে সুবীর তার কথায় চলে। এই ধারণা যদি ওদের হয়ে থাকে তা হলে সেটা সুবীরের আচরণেই হয়েছে। সুবীরের জন্য অপেক্ষা না করে খেয়ে নেওয়ার কথা তখনই মনে এল। তার পতিভক্তি খুব বেশি নেই এটা সবাই বুঝুক।
শ্বশুরমশাইয়ের খাওয়া আগেই হয়ে গিয়েছিল। খাওয়ার টেবিলে শাশুড়ি আর তিতির বসেছিল। বঞ্জনা আসতেই শাশুড়ি তার দিকে থালা এগিয়ে দিলেন। রঞ্জনা বসল। শাশুড়ি জিজ্ঞাসা করলেন, 'এত রাত হচ্ছে, ও কোথায় গিয়েছ তোমাকে কি কিছু বলেছে?'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'কখনও তো এমন করে না।'
'করে। কালেভদ্রে।' রঞ্জনা বলল।
'হ্যাঁ।' তিতির মাথা নাড়ল, 'সেবার যখন বউদি মায়ের কাছে গিয়েছিল তখন দাদা একরাত্রে বারোটা নাগাদ ফিরেছিল।'
'সে তো তোমাদের ওখান থেকে।' রঞ্জনার দিকে তাকাল শাশুড়ি।
'বোধহয় না। আমাদের ওই বাড়ি থেকে কখনওই বেশি রাতে বের হয়নি ও। আমি না থাকলে
বোধহয় স্বাধীনতা এনজয় করতে বন্ধুদের বাড়িতে যায়।'
'এ কীরকম কথা। অ্যা!'
তিতির হেসে ফেলল। তারপর বলল, 'মা, তুমি বুঝবে না।' খাওয়া শেষ হল, কিন্তু শাশুড়ি চাকরির কথা তুললেন না দেখে রঞ্জনা একটু স্বস্তি পেল। তিতির
নিশ্চয়ই ওঁকে কথাটা এর মধ্যে জানায়নি। ঘরে ফিরে শুয়ে পড়ল সে। উপাসনার কথা মনে পড়ল। উপাসনা এখন কী করছে? একা ওই ফ্ল্যাটে কী করে যে আছে তা ওই জানে। নাকি মদ খেলে একাকিত্ব চলে যায়। মদ খেতে খেতে ঘুম এসে গেলে পারিপার্শ্বিক ভুলে যায়? ও ছেলেদের পছন্দ করে না। স্বামীকে দেখে সমস্ত ছেলেদের সম্পর্কে ওরকম ধারণা করে নেওয়াটা যে ঠিক নয় এটা ওর অজানা নয়। তা হলে?
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
এইসময় বেল বাজল। অর্থাৎ সুবীর ফিরল। দরজাটা তারই খুলে দেওয়া উচিত। কিন্তু রঞ্জনা শাশুড়ির গলা শুনতে পেল। ছেলেকে মৃদু ধমক দিচ্ছেন। তার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ঘরে ঢুকল সুবীর। ঢুকে আলো জ্বালতেই সে খুব অবাক হয়ে গেল রঞ্জনাকে দেখে, 'তুমি!'
'আমার ঘুম পাচ্ছে। তাড়াতাড়ি আলো নিভিয়ে দাও।'
'হ্যাঁ। কিন্তু তুমি কখন এলে? তোমার তো আজ আসার কথা নয়। আমি বিকেলে তোমাদের
বাড়িতে গিয়েছিলাম। তোমার মা তো বলেননি তুমি আজই ফিরে আসবে?' একটার পর একটা প্রশ্ন করে যেতে লাগল সুবীর।
রঞ্জনা কোনও জবাব না দিয়ে পাশ ফিরে শুয়ে থাকল।
সুবীর চলে এল বিছানার পাশে, 'সরি, রঞ্জনা, তুমি চলে আসছ জানলে আমি কখনও ওখানে
যেতাম না।' মিনমিন করল সে।
'তুমি? তুমি মদ খেয়েছ?' ধড়মড়িয়ে উঠে বসল রঞ্জনা।
একটু পিছিয়ে গেল সুবীর। 'না, মানে, সবাই জোর করল, আমি তো কখনও খাই না তুমি জান, আজ আর অ্যাভয়েড করতে পারলাম না। বেশি নয়, একটু, সামান্য, সরি। তুমি আমাকে মাফ করে দাও।'
'বাঃ। তোমাকে এতদিন বাদে সাবালক মনে হচ্ছে।'
'কী বলছ তুমি!'
'তোমার মাকে বলেছ?'
'রঞ্জনা।'