আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 118

in photography •  9 hours ago 
আসসালামুআলাইকুম

'বিদায় অভিশাপ' বের করে নিচু গলায় পড়তে লাগল। কচের সংলাপের পর দেবযানীর। এর আগেও সে পড়েছে। কিন্তু আজ পড়তে গিয়ে অন্যরকম অনুভূতি হল। সংলাপগুলো বলার সময় তার মানেটা স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিতে হবে বলার ভঙ্গি দিয়ে, উচ্চারণে। একবার পড়া হয়ে যাওয়ার পর সে দরজাটা বন্ধ করল। তারপর গলা তুলল। যেভাবে কথা বললে কাছাকাছি একটি মানুষ শুনতে পায় সেই গলায় পড়ে যেতে লাগল সে।
এরকম সাজানো একটা অফিস হবে ভাবেনি রঞ্জনা। ক্যামাক স্ট্রিটের ঠিকানাটা কার্ডে ছিল। খুঁজে বের করতে সামান্য অসুবিধে হয়েছে তার। অসুবিধের কারণ এদিকের রাস্তাঘাট তার পরিচিত ছিল না। লিফটে চেপে ঠিকঠাক জায়গায় পৌঁছে হাঁফ ছেড়েছিল। দরজা ঠেলে ঝকঝকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিসে পৌঁছে বুঝতে পারল ব্যবসাটা বেশ ভালই চলছে। রিসেপশনিস্ট মেয়েটি কায়দা করে ইংরেজিতে জিজ্ঞাসা করল, 'বলুন, আপনাকে কীভাবে সাহায্য করতে পারি?'
'রঞ্জনা বলল, 'উপাসনা আছে? আমার নাম রঞ্জনা।'
'ম্যাডাম বেরিয়েছেন। আপনি ওখানে বসুন, মিনিট পনেরো অপেক্ষা করতে হবে।' উলটো দিকের দেওয়ালের নীচে চমৎকার বসার জায়গা। এক ভদ্রলোক সেখানে বসে আছেন। খানিকটা দূরত্ব রেখে রঞ্জনা বসল। সামনে ছোট ছোট কাচের টেবিলের ওপর সুদৃশ্য ম্যাগাজিন। ভদ্রলোক ডার একটায় চোখ বোলাচ্ছিলেন। রঞ্জনা একটা তুলে নিল। ফ্যাশন ম্যাগাজিন।

1732199816317.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

রিসেপশনের ওপাশে তিনটি দরজা দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ এটাই যদি সম্পূর্ণ অফিস হয় তা হলে তার আয়তন বেশি নড় নয়। কিন্তু চমৎকার সাজানো। এখন প্রায় সাড়ে তিনটে। উপাসনা যদি চারটের মধ্যে না ফেরে তা হলে সে কী করবে? বসে থাকবে যতক্ষণ না ফেরে?'
'এক্সকিউজ মি!'
গলার স্বর সচেতন করল রঞ্জনাকে, পাশ ফিরে তাকাল।
ভদ্রলোক বললেন, 'বাই এনি চান্স, আপনি কি সিরিয়ালে অভিনয় করেন?'
'না তো!' রঞ্জনা অবাক হল।
'ও দেন, আমার ভুল গেছে। প্রায় আপনার মতো দেখতে এক অভিনেত্রী এখন খুব নাম করেছে।' ভদ্রলোক হাসলেন।
ঠিক তখনই উপাসনা ঢুকল। কোনওদিকে না তাকিয়ে সোজা একটা দরজা খুলে ভিতরে চলে গেল। কেউ যে অপেক্ষা করছে তা তাকিয়েও দেখল না। রঞ্জনার অস্বস্তি হল। সে দেখল রিসেপশনিস্ট মেয়েটি টেলিফোনে কথা বলছে। ওটা যে ইনটারকমের রিসিভার তা বুঝতে পারেনি

1732199816261.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

সে। মেয়েটি সেটা রেখে বলল, 'মিস্টার সেন, আপনি ভিতরে যেতে পারেন।'
ভদ্রলোক চটজলদি ব্রিফকেস তুলে এগিয়ে গেলেন।
ম্যাগাজিনটায় চোখ রেখে বসে থাকল রঞ্জনা। মিনিট পাঁচেক বাদে মেয়েটি বলল, 'ম্যাডাম
আপনাকে ডাকছে। প্লিজ!'
রঞ্জনা উঠল। দরজা ঠেলতেই উপাসনা হাসল, 'কতক্ষণ?'
'এই তো।'
'বোস। হ্যাঁ, মিস্টার সেন, আপনি যা বলতে চাইছেন সোজাসুজি বলুন।
রঞ্জনা ভদ্রলোকের পাশের চেয়ারে বসল। এই ঘরটিও চমৎকার সাজানো।
'আমার ফিফটিন পার্সেন্ট চাই।' মিস্টার সেন বললেন।
'আপনাকে ফিফটিন পার্সেন্ট আমি কেন দেব?' উপাসনা ঠোঁট কামড়াল। 'কারণ আমি আপনাকে কাজটা পাইয়ে দিচ্ছি।' হাসলেন সেন।
'গুড। ক্লায়েন্ট যে টাকা দেবে তাতে আমার কুড়ির বেশি থাকবে না। তা থেকে যদি পনেরো আপনাকে দিয়ে দিই তা হলে আমি পাচ্ছি পাঁচ।'
'আপনি কুড়ির বেশি থাকবে না কেন বলছেন? এসব কাজে তো প্রায় ফর্টি পার্সেন্ট গ্রস প্রফিট থাকে।'
'বেশ তো, যারা তা রাখতে পারে তাদের কাছে কাজটা নিয়ে যান। ওয়েল!' খুব মিষ্টি করে হাসল উপাসনা, 'আবার নিশ্চয়ই আমাদের দেখা হবে।'
'কিন্তু ম্যাডাম, ক্লায়েন্ট আপনাকে দিয়েই কাজটা করাতে চায়।'
'আর ইউ সিওর?'

ধন্যবাদ।আল্লাহ হাফেজ।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!