আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 142

in photography •  2 days ago 
আসসালামুআলাইকুম

এর থেকে বেরিয়ে নিয়েছে। হয়তো স্ত্রীর মুখ দেখতে চায় না। রঞ্জনা বাথরুমে গেল। শাড়ি পালটে ফ্রেশ হয়ে ডাইনিংগ্রামে আসতেই দেখতে পেল সুবীর আরা পাতাড়া সারাতে যেতে কথা বলছে। তাকে দেখতে চেয়েই শাশুড়ির চোখমুখ বদলে গেল। সাততাড়াতাড়ি বলে উঠলেন, 'ও, উঠে পড়েছ? দ্যাখো তো কিচেনে চা ঢেলে রেখেছি, গরম থাকলে চিনি দুধ মিশিয়ে নাও। এই এইমাত্র রেখে এলাম।
শাশুড়ি কথা বললেন কিন্তু তার ছেলে একবারও মুখ ফিরিয়ে তাকাল না। 'বউদি, আমার জন্য এক কাপ ঢেলো।' তিতির বেরিয়ে এল তার ঘর থেকে। রান্নাঘরের দরজায় পৌছে রঞ্জনা জিজ্ঞাসা করল।' বাবা?'
'ওঃ। তার খাওয়া হয়ে গেছে ঘণ্টা খানেক আগে। খেয়ে বাজারে গেছে।' শাশুড়ি এক গাল হেসে জানিয়ে দিলেন।
রঞ্জনা রান্নাঘরে ঢুকল। তিতির দেখল মা নিচু গলায় খুব দ্রুত দাদার সঙ্গে কথা বলে চলেছে। একটু আগে বউদির সঙ্গে কথা বলার সময় যে ভঙ্গি ছিল তা আচমকা বদলে ফেলেছে। কী বলছে
সেটা বোঝা যাচ্ছে না এবং দাদাও একটি শব্দও উচ্চারণ করছে না। এল দু'কাপ চা নিয়ে বেরিয়ে এল রঞ্জনা, 'নাও।' ডান হাতের কাপ ডিস এগিয়ে ধরল সে। তিতির
। চুমুক দিল, 'আঃ দারুণ!'
'কৃতিত্বটা মায়ের।'
শাশুড়ি এদিকে তাকালেন, 'ওমা চা করলে তুমি, আমার কৃতিত্ব হবে কেন?'
আমি তো শুধু ঢেলেছি মা।' রঞ্জনা বলল। তিতির এগিয়ে গেল, 'আমি এখানে বসতে পারি?'

1734325783393.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

ওমা, এ কী কথা। বসার জন্য জিজ্ঞাসা করতে হচ্ছে কেন।' মা জিজ্ঞাসা করল।
' 'হচ্ছে। দাদা যেরকম মুখ করে আছে তাতে মনে হচ্ছে জিজ্ঞাসা করা উচিত।'
সুবীর কাঁধ ঝাঁকাল। সম্ভবত কিছু বলতে গিয়েও সামলে নিল। টেবিলের উলটোদিকের একটা
চেয়ারে বসে তিতির ডাকল, 'এসো বউদি, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চা খাবে কেন? এখানে এসে বসো।' রঞ্জনা এগিয়ে এল।
শাশুড়ি বললেন, 'তা হলে তুই যা, মনে হয় এখন দোকান খুলে গেছে।'
সুবীর যেন যেতে পারলে বাঁচে এই সময় বাবা ফিরল, 'মাছের দাম আজ আকাশ ছোঁয়া।
চিকেন এনেছি। খেতে খারাপ লাগলেও উপায় নেই।' 'ভালই করেছ। রেডমিট তোমার খাওয়া বারণ।' মা উঠল।
'চিকেন খাওয়া মানে তো রবার চিবানো।' বেসিনে হাত ধুয়ে বাবা জিজ্ঞাসা করল, 'কাগজ
দেয়নি? 'ভাঁজ না খোলা খবরের কাগজ টেবিলের ওপর পড়েছিল, সেদিকে তাকিয়ে তিতির বলল,
দিয়েছে।'
বাবা এসে বসলেন টেবিলে। কাগজটা নিয়ে বললেন, 'সে কী রে! অন্য দিন কাগজ নিয়ে
টানাটানি চলে, আজ তোরা হাত দিসনি যে!'

1734325783415.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

'আমরা এই এলাম। দাদা আর মা আগে থেকে বসেছিল।' তিতির বলল।
রঞ্জনার চা খাওয়া হয়ে গিয়েছিল। সে দেখল সুবীর এবার উঠে দাঁড়িয়েছে। সে বলল, 'তুমি আর পাঁচ মিনিট বসো।'
'আমাকে একটু বাইরে যেতে হবে? সুবীর অন্যদিকে তাকাল।
কোথায় যেতে হবে?' বাবা জিজ্ঞাসা করল। '
'রান্নাঘর থেকে মা বেরিয়ে এল, 'ফ্যানের দোকানে। আমি যেতে বলেছি। এবার ফ্যানগুলোকে করা দরকার।' রং
'এসব কাজ ও আবার কবে করাল। বোসো। বউমা যখন পাঁচ মিনিট পরে যেতে বলছে তখন। বোসো।' বাবা বললেন।
অতএব সুবীরকে বসতে হল। রঞ্জনা ভাবল কী করে কথাটা তোলা ঠিক হবে। তিতির সেটা বুঝতে পেরে বলল, 'মা, তুমি এই চেয়ারটায় এসে বোসো।'
'কেন?' মা জিজ্ঞাসা করল।

ধন্যবাদ।আল্লাহ হাফেজ।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!