'বাকা। তোর বউদি কী বিষয় নিয়ে কথা বলবে তা তুই জানিস? এই তো দেখলাম ঘুম থেকে
উঠলি। তা কী বলবে, বলে ফ্যালো।' রঞ্জনা শাশুড়ির দিকে তাকাল। তারপর দ্বিধা সরিয়ে রেখে বলল, 'আমি যখন চাকরিটা পেয়েছিলাম তখন আপনাদের অনুমতি নিয়েই জয়েন করেছিলাম।'
'হ্যাঁ। তারপর কী হয়েছে?' বাবা জিজ্ঞাসা করল। 'আপনার ছেলে চাইছে না আমি চাকরিটা করি।'
'ও। তা সে কী করতে বলছে।' বাবা জিজ্ঞাসা করল।
'চাকরি ছেড়ে হাউসওয়াইফ হয়ে থাকি।'
মা। কিন্তু আপনারাও যদি ওর সঙ্গে একমত হন তা হলে আমি নিশ্চয়ই অবাধ্য হব না।' রঞ্জনা
'তুমি তো সেটা চাইছ না?'
বলল । 'অর্থাৎ আমরা বললে তুমি চাকরি ছেড়ে দেবে।'
'তা ও বললে ছাড়ছ না কেন?'
'ওর কথায় কোনও যুক্তি নেই। তা ছাড়া স্রেফ ঈর্ষায় জ্বলে পুড়ে যে মানুষ মদ খেয়ে এসে
কান্নাকাটি করে। তার কথা আমার কাছে মূল্যহীন।' হঠাৎ মা বললেন, 'আমরা যদি ছেড়ে দিতে বলি তা হলে তুমি কী যুক্তি দেখতে পাবে?
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
একই ব্যাপার তো!'
'ব্যাপারটা একই হলেও আপনারা বলে মেনে নেব।' রঞ্জনা বলল।
বাবা বললেন, 'এটা কোনও কথা হল না। মেনে নেওয়ার মধ্যে মন থাকে না। আচ্ছা সুবীর
তুমি কেন চাইছ না বউমা চাকরি করুক।'
সুবীর মাথা নাড়ল, 'মানুষ প্রয়োজনে চাকরি করে। বিশেষ করে মেয়েরা। আমাদের এখনই তেমন কোনও প্রয়োজন হচ্ছে না যার জন্যে ওকে চাকরি করতে হবে।'
'সেটা ওকে আগে বলনি কেন?' বাবা জিজ্ঞাসা করলেন।
'কিন্তু আজ হচ্ছে না, তাই বলে ভবিষ্যতে যে হবে না তা কে বলতে পারে?'
'বলেছিলাম, শোনেনি।'
'তখন দেখা যাবে?'
'কী করে? চাইলেই চাকরি পাওয়া যায়? ওর তো বয়সও বাড়বে।'
সুবীর জবাব দিল না।
রঞ্জনা বলল, 'আমি প্রসঙ্গটা তুলেছি খোলাখুলি আলোচনা করার জন্য। কাল রাত্রে তুমি
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
কুৎসিত ভাষায় আমার সম্বন্ধে যা বলেছ তা এখন বলছ না কেন?'
মা বলল, 'বউমা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যেসব কথা হয় তা কি সবসময় অন্য লোকের সামনে বলা যায়? তোমাদের সমস্যা তোমরাই মিটিয়ে নাও।'
'সমস্যা আমার একার নয় মা!'
'তার মানে?'
'আপনাদের মতামত আমার দরকার।' রঞ্জনা বলল।
বাবা জিজ্ঞাসা করলেন, 'তোমার বিরুদ্ধে ওর অভিযোগ কী?'
'ও আমাকে সন্দেহ করছে।'
'সন্দেহ? কী ব্যাপার?'
'চাকরি করতে গিয়ে আমি নষ্ট হয়ে যাব।'
'সে কী? সুবীর তুমি কি কোনও প্রমাণ পেয়েছ?'
'ও যে চাকরিতে গিয়েছে তাতে রোজ বাইরের লোকের সঙ্গে কথা বলতে হবে, তাদের সঙ্গে
মিশতে হবে। এই অবস্থায় নিজেকে ঠিক রাখা মুশকিল।' গম্ভীর গলায় ঘোষণা করল সুবীর। 'তার মানে বউমার
ওপর তোমার কোনও আস্থা নেই?'
'পরিস্থিতি ওকে বাধ্য করতে পারে।' সুবীর বলল, 'ও যদি কোনও মেয়েদের স্কুলে মাস্টারি করত তা হলে আমি নিশ্চয়ই বাধা দিতাম না।'