'তার মানে?'
'কিছু শুনিসনি?'
'না।'
'তা হলে বোঝ। এ বাড়িতে আমি কীরকম অবহেলিত।'
'তুমি খুব কমপ্লেক্সে ভুগছ দাদা।'
'তা তো বলবিই। আমি আহত হয়ে পড়ে আছি অথচ তোর বউদি ড্যাং ড্যাং করে অফিসে চলে গেলেন। কাল রাত একটার সময় ফুর্তি করে ফিরছেন।'
'আমরা বউদির সঙ্গে ছিলাম।
'কতক্ষণ? আসার সময়। বাকিটা। ওই হোটেলে সন্ধে থেকে ও কী করেছিল তা কি তোদের জানিয়ে করেছে।'
'বুঝলাম। কিন্তু তোমার মাথায় কী হয়েছে?'
'বাবা কিছু বলেনি।'
'নাঃ।'
'ভদ্রলোক আজ একবারও আসেননি এ ঘরে। খোঁজও নেননি।'
'কেন?'
'কারণ আমি মদ খেয়ে মারপিট করেছি, ওঁর ধারণা। কিন্তু আমি মারপিট করিনি। পড়ে গিয়ে মাথা ফেটেছে এটা ওঁকে বোঝাতে পারছি না।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
এইসময় মা একটা প্লেট হাতে ঘরে ঢুকল, 'নে, ওঠ।'
সুবীর তাকাল। তারপর বাধ্য ছেলের মতো উঠে বসে প্লেটটা হাত বাড়িয়ে নিল। মা বলল,
'তুই ডাক্তারের কাছে যেতে পারবি?'
'না গেলে ওকে খবর দেবে কে?' দাদা খাওয়া শুরু করল।
মা তিতিরের দিকে তাকাল। তিতির বলল, 'ঠিক আছে, আমি যাচ্ছি।'
মা খুশি হল, 'তোর বাবাকে বললে কথা কানে তুলবে না। বলছে, যে ছেলে মদ খেয়ে মাথা
ফাটায় তার জন্যে কোনও সহানুভূতি নেই।' ও সহানুভূতি
কথাটা তিতিরেরও। কিন্তু জটিলতা বাড়িয়ে কী লাভ।
দশ মিনিট পরে প্রায় আটপৌরে পোশাকেই তিতির বাড়ি থেকে বের হল। মোড়ের মাথায়
বিজয় ডাক্তারের চেম্বার।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
খানিকটা হাঁটতেই তিতির দেখতে পেল পাড়ার রকে যারা আড্ডা মারছে তারা কথা বন্ধ করে তার দিকে তাকিয়ে আছে। এরকমটা কখনও হয় না। সেই ছেলেবেলা থেকে সে এই পথে যাতায়াত করে, কেউ তার দিকে ওভাবে তাকায়নি। এ পাড়ার ছেলেদের ভদ্র হিসেবে সুনাম আছে। তরুণকে দেখতে পেল সে। তাদের দুটো বাড়ি পরে থাকে। তরুণ রক ছেড়ে এগিয়ে আসল। ও নিশ্চয়ই কিছু বলতে চায় বুঝে তিতির দাঁড়াল।
'কীরে! আমাদের একেবারে বোকা বানিয়ে ছাড়লি?' তরুণ বলল।
'মানে?'
'তুই যে বিখ্যাত হতে যাচ্ছিস আমরা কেউ জানিই না।'
তরুণের সঙ্গে শেষ কবে কথা বলেছে মনে করতে পারল না তিতির। কিন্তু এতদিন পরেও
তরুণ একইভাবে কথা বলছে।
'আমি তোর কথা বুঝতে পারছি না।'
হাতটা পিছন দিকে ছিল, এবার সামনে আসতেই খবরের কাগজটা দেখতে পেল তিতির।
তরুণ জিজ্ঞাসা করল, 'তুই দেখিসনি?'
'কী?'
'দ্যাখ।' কাগজটা খুলে ধরল তরুণ। ঠিক মাঝখানে তিতিরের ছবি বেরিয়েছে। তলায় লেখা 'বাংলা সিরিয়ালের নায়িকার অভাব পূর্ণ করবেন নবাগতা তিতির।' তিতিরের মুখ অনেকটা লাল হয়ে উঠল।
'ক'দিন থেকেই দেখছি সকালবেলায় ট্যাক্সিতে চেপে জিনিসপত্র নিয়ে কোথাও যাচ্ছিস। আমরা এ নিয়ে গবেষণা করছিলাম কিন্তু ধরতে পারিনি। তলে তলে এই হচ্ছে তা বুঝব কী করে। ক'টা সিরিয়ালে করছিস রে?'