আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 19

এ কথা শুনে সে খুব চিন্তায় পড়ে গেলো, কী করে আকাশ ও এই সুন্দর পৃথিবীটাকে রক্ষা করা যায়। অনেক ভেবে শেষ পর্যন্ত সে দারুচিনি গাছ দু'টোকে কেটে আকাশে বয়ে নিয়ে যেয়ে আকাশে ঠেকনো দিয়ে দিয়েছিলো। আমার ছেলে যখন গাছ কেটেছিলো, তখন হাজার বছর আগের সেই দারুচিনি গাছের একটা টুকরা চাঁদের ওপর পড়েছিলো।

আর সেই টুকরা থেকেই চাঁদের ওপরে দারুচিনি গাছের জন্ম। শেয়াল যখন চাঁদে জন্মানো সেই দারুচিনি গাছের কথা বলছিলো, তখন আমার মৃত ছেলের কথা মনে পড়ে গেলো। সে কারণেই আমি কাঁদছি। উপস্থিত সব পশু, কচ্ছপের কথায় সায় দিয়ে বললো সত্যিই তুমি পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক প্রাণী। তুমি আমাদের সকলের মুরব্বি। আমন্ত্রিত অতিথিরা সবাই তাদের সিদ্ধান্তের কথ্য শেয়ালকে জানিয়ে বললো-ধূর্ত শেয়াল। সম্মানিত ওই আসনটি কচ্ছপের জন্যে ছেড়ে দিয়ে আমাদের চোখের সামনে থেকে বিদায় হও।

শেয়াল কচ্ছপের কারণে খুব লজ্জা পেয়ে পালিয়ে গেলো। কিন্তু কচ্ছপ তার জন্যে নির্ধারিত সম্মানিত আসনে বসতে অস্বীকার করলো। কচ্ছপ বললো- সত্যি বলতে কি-ধূর্ত আর চাপাবাজ শেয়ালটাকে তাড়াবার জন্য এবং ছাগলের ৬০তম জন্মদিনের পার্টিতে একটু আনন্দ আর কৌতুক যোগ করার জন্যেই আমি আমার কল্পনা শক্তিকে কাজে লাগিয়েছি। এ কথা বলেই কচ্ছপ হো হো করে হাসতে শুরু করলো। উপস্থিত সবাই কচ্ছপের বুদ্ধির তারিফ করলো এবং তারাও কচ্ছপের সাথে হাসিতে যোগ দিলো।