আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 67

in photography •  4 months ago 
আসসালামুআলাইকুম

দেখেছি। খুব ভাল লাগছে। কী করে সুযোগ পেলি?'
'অনীকের এক বন্ধু অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর। জিজ্ঞাসা করেছিল আমি কোনওদিন অভিনয় করেছি কি না। বলেছিলাম, কলেজে করেছি। মনে আছে তুই মালিনী আর আমি ক্ষেমংকর হয়েছিলাম' হাসল সুবর্ণা, 'তাই শুনে প্রস্তাব দিল। ওর পরিচালক পছন্দ করল। ব্যাস। একটা সিরিয়ালে ভাল করতেই অন্য সিরিয়াল থেকে ডাক এল। এখন তো মাসে পনেরো কুড়িদিন কাজ।'
'টাকা পাস।'
'বাঃ। বিনি পয়সায় কেউ খাটে নাকি? আমি প্রথম সিরিয়ালে পেয়েছিলাম পাঁচশো টাকা পার ডে। এখন পাচ্ছি সাতশো টাকা। হাজার দশেক টাকা মাসে হয়। নাম করলে আরও বাড়বে।' '
দশ হাজার টাকা।' হাঁ হয়ে গেল তিতির। 'এ আর এমন কী? তবে হ্যাঁ চাকরি করতে গেলে কেউ দিত না।'
'অনীক কেমন আছে?'
মুখে ছায়া জমল সুবর্ণার, 'আর বলিস না, একদম অ্যাডজাস্ট করতে পারছে না। এখন বলতে
শুরু করেছে অভিনয় ছেড়ে দিতে।'

1724478350758.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

'কেন?'' 'সময় দিতে পারছি না, তাই। আচ্ছা তুই বল, রোজ রোজ কি ওদের বলা যায় আমাকে
তাড়াতাড়ি ছেড়ি দিন, আমার কাজ আছে। মাসে দু'-একদিন ঠিক আছে। কিন্তু অনীক কিছুতেই শুনবে না। প্রত্যেক সপ্তাহে অন্তত চারদিন ওর সঙ্গে দেখা করতে হবে। যখন পেরে উঠি না তখন যা তা বলে।' 'বিয়ে করছিস না কেন?'
'ওর বোনের এখনও বিয়ে হয়নি। বোনের বিয়ে না দিয়ে ও বিয়ে করবে কী করে? মহা সমস্যা।' মাথা নাড়ল সুবর্ণা।
অনীকের মুখ মনে পড়ল তিতিরের। এক বছরের সিনিয়র ছিল কলেজে। গম্ভীর, ভাল ছাত্র ছিল। তখনই সুবর্ণা ওর প্রেমে পড়েছিল। পড়ে বলেছিল, 'যাকগে, ঝামেলায় পড়তে হবে না আর।
কেউ প্রেম করতে এলে বলব এনগেজড।' তাকাল, 'তুই হাসছিস কেন?'
সুবর্ণা 'এমনি।' কথাটা বলল না তিতির।
'কোথায় যাচ্ছিস?'
টিউশনি করতে।'
'ওমা, তুই টিউশনি করিস নাকি?'
'চাকরি না পেলে কিছু একটা তো করতেই হয়।' হঠাৎ সুবর্ণার চোখের দৃষ্টি বদলে গেল। কিছুক্ষণ চুপচাপ তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করল, 'এই,
অভিনয় করবি?'
'দূর! পাগল।'
'পাগলামির কী হল? তুই তো আমার সঙ্গে কলেজে অভিনয় করেছিস।'
'তখন একরকম ছিলাম এখন আর একরকম।'
'বাঃ আমি যদি পারি তা হলে তুই পারবি না কেন?'

1724478350777.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

'তোর বেশি শখ ছিল। আমার কোনও চর্চা নেই। যে সাইকেল কখনও চালায়নি তাকে হুট
করে সাইকেল চালাতে বললে পারবে?'
'দুটো ব্যাপার এক নয়। আমার 'চার দেওয়াল' সিরিয়ালটা দেখেছিস? খুব জনপ্রিয় হয়েছে। মেগা সিরিয়ালে তো রোজ গল্প ডিম পাড়ে। পরিচালক বিভাসদা খুব ভাল লোক। ক'দিন থেকে শুনছি একজন অল্পবয়সি অভিনেত্রী খুঁজছেন। চল না, গিয়ে দেখা করাই।' কীরকম একটা আশঙ্কা মনে জন্ম নিল। তিতির জিজ্ঞাসা করল, 'কিন্তু যদি না পারি।' যদি
ওঁদের আমাকে পছন্দ না হয়।'
'না হবে তাতে তোর কী ক্ষতি হচ্ছে।' এই যে কত ছেলেমেয়ে রোজ চাকরির পরীক্ষায় বসে, সবাই চাকরি পায়? শোন, কাল দুপুর দুটোর সময় ভারতী সিনেমার সামনে চলে আয়। ওখান থেকে আমরা ওদের অফিসে যাব।'
রাত্রে বাড়িতে ফিরে মাকে বলেছিল তিতির। সরাসরি বলতে সংকোচ হচ্ছিল। সুবর্ণার নাম শুনে মায়ের মুখ খুশিতে ভরে উঠেছিল, 'তাই বুঝি? তোকে দেখে ও চিনতে পারল?'

ধন্যবাদ।আল্লাহ হাফেজ।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

"আল্লাহ হাফেজ! এই পোস্টটা খুবই ভালো। আমি নিজেকে অনুধাবন করেছি, আমি তোমার স্পেশাল টিড়াটিয়া ভেইচকে খুব ভালোবাসি। যদিও আমরা একত্রে খুব ছোট, তথাপি তোমার চর্চাগুলো থেকে নিজেকে শিখেছি। আসুন, এই টিড়াটিয়া ভেইচের মাধ্যমে, তার প্রিয় হৃদয়-বন্ধুরা একে অন্যের সাথে আরও ভালো জুটিযুক্ত হই। 🌈❤️ #টিড়াটিয়া"

I also gave you a 0.21% upvote for the delegations you have made to us. Increase your delegations to get more valuable upvotes. Cheers! 🎉

Help Us Secure the Blockchain for You

Your vote matters! Support strong governance and secure operations by voting for our witnesses:

Get Involved

  ·  4 months ago Reveal Comment