যায় না। দু'জনের সংসারেও হাজার সাতেকের নীচে চলবে না। কেটেকুটে হাতে পাই বারো হাজার। এখানে এখন মাকে পাঁচ হাজার দিলেই দায়িত্ব শেষ। নিজেরা সংসার করলে প্রতি মাসে ধার করতে হবে।'
'সেটা করতে কেউ তোমাকে মাথার দিব্যি দেয়নি।' রঞ্জনা বলল।
'সেটা যদি তোমার মনের কথা হয় তা হলে এভাবে চলে এলে কেন?' আচমকা গলা তুলল
সুবীর। 'আমার ভাল লাগছিল না তাই এখানে এসেছি।'
'এই ভাল না লাগাটা কদ্দিন থাকবে?' চিবিয়ে চিবিয়ে জিজ্ঞাসা করল সুবীর।
'তুমি কী বলতে চাইছ?'
'আমি আর কী বলব। তোমার এভাবে চলে আসাটা মেনে নিতে পারছি না।'
'আশ্চর্য। তুমি ওই বাড়ি ছেড়ে ফ্ল্যাটে থাকার কথা ভাবতে পারছ। আর আমার ক'দিনের জন্য
এখানে আসাটা তোমার কাছে অন্যায় হয়ে গেল?' 'ঠিক আছে, তুমি যদ্দিন ইচ্ছা এখানে এসে থাকো, শুধু দয়া করে আমাকে থাকতে বোলো না।' সুবীর উঠে দাঁড়াল।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
রঞ্জনা বলল, 'আমি তোমাকে বুঝতে পারছি না সুবীর। তুমি যখন এলে তখন মনে হল বাড়ির উপর রাগ করে এসেছ, এখনই আলাদা হয়ে যেতে চাও। আবার এখন মনে হচ্ছে আমি যেন জোর করে তোমার উপর কিছু চাপিয়ে দিচ্ছি। আমি তো তোমাকে এখানে থাকতে বলিনি একবারও।'
'তোমার মা বললেন।'
'তুমি কী উত্তর দিয়েছ?'
'হ্যাঁ-না কিছুই বলিনি।'
'বাঃ। না বলতে অসুবিধা হল কেন? ঠিক আছে আমি মাকে বলে দেব তুমি এখন এই বাড়িতে
থাকছ না।' এই সময় নীচ থেকে মায়ের গলা পাওয়া গেল। তিনি ডাকছেন। অতএব আসতেই হল ওদের।
টেবিলে জলখাবার সাজিয়ে দিয়েছেন মা। রঞ্জনা বলল, 'আমি শুধু চা খাব। শরীরটা ঠিক নেই।'
'কী হল আবার?' মা জিজ্ঞাসা করলেন।
'তেমন কিছু নয়।' রঞ্জনা চেয়ারে বসল।
সুবীর চেয়ার টেনে নিল, 'আমার সঙ্গে কথা বলে ওর মেজাজ খারাপ হয়েছে। এত সামান্য
ব্যাপারে রি-অ্যাক্ট করলে আমার কিছু করার নেই।'
'আশ্চর্য! যে কাজটা তুমি নিজে করেছ তার দায় আমার উপর চাপালে সেটা মুখ বুজে মেনে নিতে হবে? কেন? যেহেতু আমি তোমার উপর ডিপেনডেন্ট তাই যা খুশি বলবে? রঞ্জনা গলা
তুলল।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
মা বললেন, 'চুপ কর। ঝগড়া করিস না।'
'না মা। তোমাদের সময় আর এখন নেই। বাবার উপর তুমি চোখ বন্ধ করে নির্ভর করে এসেছ, বাবা কখনও তোমার অমর্যাদা করেনি। আজ আমি যদি চাকরি করতাম তা হলে ও এভাবে
কথা বলতে পারত না।' রঞ্জনা বলল। 'তোমাকে তো কেউ নিষেধ করেনি চাকরি করতে, করো না।'
'সে কী! বিয়ের আগে বলেছিলে তোমাদের ফ্যামিলিতে কোনও মেয়ে চাকরি করেনি। তোমার মা চান বাড়ির বউ বাড়িতেই থাকুক। বলোনি? আজ যখন তোমার বোন নিজের পায়ে দাঁড়াতে
চাইছে তখন সব বাধানিষেধ উঠে গেল?' মা বললেন, 'কিছু মনে কোরো না সুবীর, মেয়ের ক্ষেত্রে এক নিয়ম আর ছেলের বউয়ের ক্ষেত্রে
অন্য, এটা তো ঠিক নয়।' সুবীর কিছুক্ষণ চুপ করে থাকল। তারপর শাশুড়ির এগিয়ে দেওয়া চায়ের কাপ মুখে তুলল,
'কেউ যদি স্বাবলম্বী হতে চায় আমি কেন তাকে বাধা দেব। দেখছি তিতির ওকে ইন্সপায়ার্ড করেছে।'
রঞ্জনা মাথা নাড়ল, 'না। তোমার মন রাখতে আমি এতদিন মানিয়ে নিয়েছিলাম।'
মা বললেন, 'ঠিক আছে। মাথা ঠাণ্ডা কর। সুবীর, তুমি বাড়িতে একটা ফোন করে দাও যে এখানে থাকছ। নইলে ওঁরা চিন্তা করবেন। আর হ্যাঁ, রঞ্জনা, তোর বাবা এলে এসব কথা তোলার....