দরকার নেই। শুনলে ওঁর অযথা টেনশন বাড়বে।'
রঞ্জনা বলল, 'আমি কিন্তু আমার ঘরে থাকব।'
সুবীর হাসল, 'আমি বাড়িতে বলে এসেছি যে এখানে থাকব। ওকে ডিসটার্ব করার দরকার। নেই, ও ওর বিয়ের আগের ঘরে শোবে, মন ভাল থাকবে।'
বঞ্জনার বাবা ভাল মানুষ। ডাক্তার হিসাবে সরকারি হাসপাতালের বড় চাকরি করেছেন দীর্ঘকাল। অবসর নেওয়ার পর কয়েকটা দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িয়ে মানুষের উপকার করার চেষ্টা করেন। সময় কাটানোর জন্য নেমে পরোপকারের নেশা এখন প্রবল হয়ে উঠেছে। তিনি বাড়ি ফিরে জামাইকে দেখে অবাক এবং খুশি। মেয়ের মাথা ধরেছে শুনে স্ত্রী-র হাত দিয়ে ওষুধ পাঠিয়ে দিয়ে জামাইয়ের সঙ্গে গল্প করলেন আধঘন্টা। বিষয়, সময়ে ওষুধ এবং সামান্য সতর্ক থাকলে অনেক বড় অসুখ সহজেই এড়ানো যায়। সুবীরের এসব শুনতে ভাল লাগছিল না। কিন্তু কোনও উপায় নেই যতক্ষণ শাশুড়ি তাকে উদ্ধার না করলেন।
ঘুম প্রায় এসে গিয়েছিল, মা ঘরে এলেন, 'হ্যাঁ রে, সুবীর উপরে একা শুয়ে আছে, তুই এখানে
শুবি?'
বিরক্ত হল রঞ্জনা, 'মা, আমার ঘুম এসে গিয়েছে।'
'যা না, উপরে গিয়ে ঘুমো।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'কেন। আমি ওখানে গিয়ে ঘুমোলে তোমার কী সুবিধা হবে?'
ইস। কী কথার ছিরি। ও একা আছে বলেই বলছিলাম।'
'প্রত্যেক মানুষ যখন ঘুমোয় তখন একা-একাই ঘুমোয়। আমাকে আর বিরক্ত করো না।'
স্ত্রীর মুখের দিকে তাকিয়ে ডাক্তারবাবু জিজ্ঞাসা করলেন, 'তোমার আবার কী হল?'
'আমার কেন হবে? হয়েছে তোমার মেয়ের। শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝগড়া করে এসেছে।'
ডাক্তারবাবু মাথা নাড়লেন, 'নিশ্চয়ই কোনও অন্যায় ব্যবহার করেছে ওরা।'
'তুমি মেয়েকে কাল বুঝিয়ে বলো যেন মাথা ঠাণ্ডা রেখে চলে।'
'আমি এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করেছিলাম।'
'মানে?'
'তুমি যখন বলতে মেয়ের সঙ্গে ওদের খুব ভাব, একেবারে নিজের মেয়ের মতো ব্যবহার করে
ওর শাশুড়ি, তখন শুনতে ভাল লাগলেও অবাক হতাম।'
'চাই। কিন্তু রঞ্জু সুবীরকে বিয়ে করতে চায় শোনার পর আমি কি বলেছিলাম মনে আছে? সুবীর রঞ্জুর যোগ্য পাত্র নয়। দু'জনের স্ট্যান্ডার্ডই আলাদা। সমানে সমানে বিয়ে হলে সম্পর্ক ভাল থাকবে নয় তো একপক্ষ যদি মাথা নিচু করে থাকে সবসময় তা হলে বাইরে থেকে কেউ টের পাবে না ওদের মধ্যে কী হচ্ছে না হচ্ছে।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'অবাক হতে? মেয়ের সুখ তুমি চাও না।'
ডাক্তারবাবু বললেন, 'রঞ্জু শেষ পর্যন্ত মাথা তুলতে পারল তা জেনে আমার ভাল লাগছে। যা বাস্তব তা মেনে নেওয়া উচিত।'
স্ত্রী বললেন, 'এ বাড়িতে এই প্রথম রাত ওরা আলাদা শুয়েছে।'
ডাক্তারবাবু বললেন, 'তাতে পৃথিবীটা কাল সকালে ধ্বংস হয়ে যাবে না।'
সকালে চা খেয়ে যখন সুবীর বলল সে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। ওখান থেকে অফিসে যাবে তখন
রঞ্জনা পাশেই দাঁড়িয়েছিল। মা বললেন, 'তুমি কি বিকালে আসছ?'
'না। আজ একটু কাজ আছে। হ্যাঁ, তুমি ক'দিন এখানে থাকছ?'
'দেখি?' রঞ্জনা জবাব দিল।
'টাকা পয়সা সঙ্গে এনেছ?'
'যেদিন যাবে ফোনে জানিও, আমি আসব।'
সুবীর চলে গেল। আজ সকালে ওকে খুব স্বাভাবিক দেখাচ্ছে। রঞ্জনার মনে পড়ল, সুবীরের কোনও বিবাহিত বন্ধুর স্ত্রী বাপের বাড়িতে গেলে অন্য বন্ধুরা খুব উৎসাহিত হত। সেই দিন সবাই..........