একা থাকা বস্তুর ফ্ল্যাটে। হইচই, গান, পান কিছুই বাদ যেত না। সুবীর অবশ্য পান করে না। হলে ভাল লাগে না। রঙ্গনার ধারণা, বাড়িতে নিজের ইমেজ ঠিক রাখার জন্যই ও ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বলে ভাল লাগে একবার ওরা একটা পিকনিকে গিয়েছিল। সুবীরের বন্ধুরা সন্ত্রীক। সেখানে সবাই ভদকা খেয়েছে দুপুরবেলায়। সুবীর খায়নি। অন্য মহিলাদের অনুরোধে রঞ্জনা এক গ্লাস ভদকা লিমকা ঢেলে খেয়েছিল। বড় বড় চোখে তাকিয়েছিল সুবীর। সামান্য শরীর গরম হওয়া ছাড়া অন্য কোনও প্রতিক্রিয়া হয়নি। ফেরার সময় সুবীর মশলা দেওয়া পান খেতে বাধ্য করেছিল রঞ্জনাকে। বলেছিল বাড়ি ফিরেই বাথরুমে গিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে যাতে মা-বোনেরা গন্ধ না পায়।
একটা মানুষ সবসময় রেখে-ঢেকে চলবে, হিসাব করে বেহিসাবি হবে এ তো নতুন নয়। বাঙালি পুরুষদের চরিত্র তো এইরকমই, কোথায় যেন পড়েছিল রঞ্জনা। কিন্তু একসঙ্গে বাস করতে গিয়ে হাঁফিয়ে উঠছে সে। সব ব্যাপারে এটা কোরো না, ওটা করলে কেন, কাঁহাতাক আর শোনা যায়।
দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর রঞ্জনা বলল, 'মা, আমি একটু বেরোব।'
'কোথায় যাবি।'
'টুকটাক কয়েকটা জিনিস কিনব।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'আয়।' হঠাৎ রঞ্জনার মনে হল এই একই প্রশ্ন শাশুড়ির মুখে শুনলে তার বোধহয় ভাল লাগত না।
ব্যাপারটা হয়তো ঠিক নয়। কিন্তু ভাল না লাগলে সে কী করবে।
রাসবিহারী অ্যাভিন্যুর দোকানগুলোর সামনে হাঁটতে ভাল লাগছিল রঞ্জনার। বিয়ের আগে বন্ধুদের সঙ্গে প্রায়ই ওরা এই রাস্তায় হাঁটত। কোন দোকানে নতুন কেনা হত খুবই কম, দেখতে দেখতেই সময় কেটে যেত। কী জিনিস এসেছে মুখস্থ ছিল।
'কী দিদি? অনেকদিন দেখিনি।'
ডাকটা ভেসে আসতেই রঞ্জনা দেখল একটা দোকানের কাউন্টারে দাঁড়ানো সেলসম্যান তার
দিকে তাকিয়ে হাসছে।
'হ্যাঁ, এখানে তো থাকি না।'
'ভাল আছেন তো?'
'হ্যাঁ। আপনারা?'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'ওই, চলছে।'
মাথা নেড়ে এগোল রঞ্জনা। এই মুহূর্তে তার খুব ভাল লাগছিল। এই লোকটা তাকে চিনতে
পেরেছে অথচ তার মনেই নেই।
বাড়ি ফিরছিল সে। হঠাৎ নিমগ্নর কথা মনে এল। নিমগ্ন তাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, রঞ্জনা, তুমি
সুখী ? সে নিশ্চয়ই বলতে আর কথা না বলে চলে গিয়েছিল। কেন? নিমগ্ন কি চেয়েছিল সে বলবে, না, আমি একটুও সুখী নই।
একটা এস ডি ডি বুথে ঢুকে ফোন করল রঞ্জনা। এক হাত ঘুরে লাইনটা গেল সুবীরের কাছে। সুবীর অবাক, 'কী ব্যাপার?'
'তোমাকে একটা কথা বলা হয়নি। অনেক বছর পরে আমার এক পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। সে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, আমি সুখী কিনা?'
একটু চুপ করে থাকার পর সুবীর জিজ্ঞাসা করল, 'তুমি কী বললে?'
'বললাম নিশ্চয়ই।' হাসল রঞ্জনা।
'থ্যাঙ্ক ইউ রঞ্জু।'
'আচ্ছা, রাখছি।'
'তুমি কোথেকে বলছ।'
'একটা এস টি ডি বুথ থেকে। আসবে?'
'কোথায়?' 'লেক মার্কেটের সামনে সেলিনাতে। বিয়ের আগে যেখানে তুমি আমার সঙ্গে দেখা করতে আসতে।'
একটু ইতস্তত করল সুবীর, 'মানে, কাল গেলে হয় না?'