হ্যাপি প্রিন্স, তুমি এখন কোথায় ?
আমি তোমার সেই ছোট্টটি সোয়ালো,
আবার এসেছি ফিরে, দেখো চেয়ে ।
কতকাল, কতযুগ আগে অস্কার ওয়াইল্ডের লেখনীতে,
প্রাণ ফিরে পেয়েছিলুম দু'জনায় ।
তোমার স্বর্ণ চিবুকে অশ্রু ফোঁটা ঝরেছে কত,
গভীর রাতের সাক্ষী শুধু এই আমি ছোট্ট সোয়ালো ।
মানুষের দুঃখে কষ্টে হৃদয় তোমার বিদীর্ণ,
চুনীর চোখে তাই অশ্রু টলোমলো ।
হ্যাপি প্রিন্স, মনে পড়ে ? তোমার সেই ছোট্ট সোয়ালো ?
তোমার সর্ব অঙ্গ একে একে,
যাকে দিয়ে করিয়েছিলে দান ! সেই ছোট্ট সোয়ালো ।
তোমার চোখের মণি ঠুকরে নিতে,
সেদিন কেঁদেছিলাম আমি আর হেসেছিলে তুমি ।
একে একে সব স্বর্ণ ভূষণ, স্বর্ণ আস্তরণ,
এই আমি সোয়ালো, ছোট্ট ঠোঁটে করে উড়াল দিয়েছি,
গরীব-দুঃখীর গৃহপানে ।
যেদিন সব বিলিয়ে তুমি নিঃস্ব হলে,
সেদিন এই ছোট্ট সোয়ালো,
তার ছোট্ট হৃদয়ের সকল রক্ত নিমেষে শূন্য করে,
তুষার-শীতল মৃত্যুকে নিলো বরণ করে ।
হ্যাপি প্রিন্স আবার তুমি ফিরে এসো,
তোমার ওই হৃদয়, ভালোবাসায় পূর্ন যে হৃদয়,
তার তো কোনো বিনাশ নেই ।
আবার আমাকে তোমার সাথী করো ।
পৃথিবী আজ স্নেহ-মমতাশূন্য, যেন রাক্ষসপুরী;
তোমায় আজি বড়ই দরকার, ওগো হ্যাপি প্রিন্স ।
ফিরে এসো, আবার দু'জনে নিজেদের হৃদয় করি উৎসর্গ,
নিষ্ঠুর ধরার এই দুঃখী মানবের তরে ।
আবার আমি, বারবার আমি,
হ্যাপি প্রিন্সের সোয়ালো হতে চাই ।