বেশ কিছুদিন আগে আমরা সবাই মিলে প্লেনে করে কক্সবাজার গিয়েছিলাম , মজার বিষয় হলো যে কক্সবাজারে আমার নিজের একটা ফাইভ স্টার হোটেল আছে , যদি আরেকটু ভেঙে বলি তাহলে বলবো কক্সবাজারে আমার একটা হোটেলের শেয়ার কেনা আছে মানে আমি যখনই যাই আমি আমার নিজের হোটেলে ফ্রিতে থাকতে পারি - তাছাড়া এই হোটেলে আর কি কি আছে আমরা কিভাবে গিয়েছিলাম কোথায় ঘুরে ছিলাম সবকিছু শেয়ার করবো এই পোস্টে
ঢাকা থেকে আমি আমার পুরা ফ্যামিলি নিয়ে চলে গেলাম কক্সবাজারে তাও আবার প্লেনে করে , মোটামুটি সকাল 10 টার দিকে আমরা আমাদের বাসা থেকে বের হই এবং আমাদের প্লেন ছিল সকাল 11 টায় , হযরত শাহজালাল এয়ারপোর্ট থেকে আমরা প্লেনে উঠি এবং মোটামুটি 40 মিনিটের মধ্যে আমরা কক্সবাজার গিয়ে পৌঁছায় , তারপর কক্সবাজার থেকে আমরা ছোট্ট একটা গাড়ি নিয়ে সোজা সুজির চলে যাই - ডলফিন মোড়ে , এবং সেখানেই আছে আমার ফাইভস্টার হোটেলের নামটা হলো হেরিটেজ - হোটেলে আমার মোটামুটি তিনটা রুম কেনা আছে আমি চাইলে এই তিনটা রুমে যখন মন চায় যেভাবে মন চায় থাকতে পারি , যেহেতু আমি একজন মালিকপক্ষ তাই আমার সব দিক থেকে অতিরিক্ত সুবিধা দিয়ে দেয় হোটেল ম্যানেজমেন্ট
আমাদের হোটেলটি টোটাল হলো 14 তলা , একবারের নিচ তলায় আছে হলো আমাদের লঞ্চ , এবং একবারও উপরে আছে হলো আমাদের সুইমিংপুল , তাছাড়াও এই হোটেলের জিম করার জায়গা আছে নামাজ পড়ার জায়গা আছে মিটিং করার জায়গা আছে খাওয়া-দাওয়ার জায়গা আছে সবকিছু আছে , সবথেকে ভালো লাগে আমার কাছে এই হোটেলের সুইমিং পুল টা , সুইমিং পুল থেকে সরাসরি কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত দেখা যায় আবার সুইমিং পুলের পানিটা যেহেতু অনেক পরিষ্কার সো সুইমিং পুলে গোসল করতে খুব ভালো লাগে , আমি ব্যক্তিগতভাবে মোটামুটি ভালই সাঁতার কাটতে পারি সো আমি সুইমিংপুলে অনেক বেশি সময় কাটায় যখন আমি কক্সবাজার যাই , তবে সাঁতার কাটার সাথে সুইমিং পুলে তেমন কোন সম্পর্ক নেই কারণ হলো সুইমিংপুলের পানি এতটা বেশি থাকে না যা আপনাকে অবশ্যই সাঁতার কাটতে হবে . তাই আপনি যদি সাঁতার নাও কাটতে পারেন আপনি খুব সহজেই সুইমিংপুল ব্যবহার করতে পারবেন . তাছাড়া আমাদের হোটেলে আরো অনেক কিছু আছে অনেক ধরনের ফান এক্টিভিটি করার মত জায়গা আছে এগুলো নিয়ে অন্য একদিন কথা বলব .