কোটা প্রথা বিভিন্ন সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কারণের ভিত্তিতে গৃহীত একটি নীতি, যার লক্ষ্য হলো সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে শিক্ষায় ও চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়া। তবে, যদি এই প্রথার সঠিক বাস্তবায়ন এবং তদারকি না করা হয়, তাহলে এর ফলে মেধা বিলুপ্তির সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। নিচে কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো:
অযোগ্য ব্যক্তির নিয়োগ: যদি কোটা ভিত্তিতে অযোগ্য ব্যক্তিরা মেধাবীদের চেয়ে বেশি সুযোগ পায়, তাহলে তা প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা ও কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে।
প্রতিযোগিতা হ্রাস: মেধাবীরা যদি বুঝতে পারেন যে কোটার কারণে তাদের সুযোগ কমে যাচ্ছে, তাহলে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মনোভাব হ্রাস পেতে পারে, যা সামগ্রিকভাবে শিক্ষার মানকে প্রভাবিত করতে পারে।
প্রতিভার অপচয়: মেধাবীরা যদি তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী সুযোগ না পায়, তাহলে তাদের প্রতিভার সঠিক ব্যবহার হবে না, যা দেশের মানবসম্পদের অপচয়ের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
কুৎসিত প্রভাব: দীর্ঘমেয়াদে কোটার কারণে মেধাবীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হতে পারে, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং দেশ থেকে মেধাপাচারের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পেতে পারে।
এক্ষেত্রে, মেধা এবং কোটা প্রথার মধ্যে একটি সুষম সমাধান প্রয়োজন, যাতে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন সম্ভব হয় এবং পাশাপাশি মেধারও যথাযথ মূল্যায়ন হয়।