উৎসবের রান্নায় খিচুড়ি না থাকলে কি চলে! আর তার সঙ্গে যদি মাটন যোগ হয় তাহলে তো কথাই নেই! স্বাদ যেন দ্বিগুণ বেড়ে যায়। তবে উৎসবের রান্না বলে কথা, রান্না একটু এদিক-সেদিক হলে তা আর পরিবেশনযোগ্য থাকবে না। তাই সঠিক রেসিপি জেনে নেওয়া জরুরি। আজ চলুন জেনে নেওয়া যাক মাটন খিচুড়ি তৈরির রেসিপি-
মাংস রান্নার জন্য যা লাগবে
খাসির মাংস- ১ কেজি
আদা বাটা- ২ টেবিল চামচ
রসুন বাটা- ১ টেবিল চামচ
টক দই- ৩ টেবিল চামচ
জিরা গুঁড়া- ১ চা চামচ
গরম মসলা গুঁড়া- ১ চা চামচ
মরিচ গুঁড়া- ১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
পেঁয়াজ কুচি- ১/২ কাপ
তেল- ১/২ কাপ
লবণ- স্বাদমতো।
খিচুড়ির জন্য যা লাগবে
পোলাও এর চাল- ২ কাপ
মসুর ডাল- ১/২ কাপ
মুগ ডাল- ১/২ কাপ (হালকা ভেজে নিন)
পেঁয়াজ কুচি- ১/৪ কাপ
আস্ত কাঁচামরিচ- ৩-৪টি
হলুদ গুঁড়া- ১ চা চামচ
আদা বাটা- ১ টেবিল চামচ
রসুন বাটা- ১ টেবিল চামচ
এলাচ- ৬টি
দারুচিনি- ৪টি
তেজপাতা- ৪টি
তেল- ১/৪ কাপ
লবণ- স্বাদমতো
গরম পানি- ৫ কাপের মতো।
মাংস রান্না
পেঁয়াজকুচি আর তেল ছাড়া মাংসের বাকি সব উপকরণ মাংসের সঙ্গে মাখিয়ে ২ ঘণ্টা মেরিনেট করে রাখুন। হাঁড়িতে তেল গরম করে পেঁয়াজ বাদামি করে ভাজুন। ভাজা হলে তাতে মাখিয়ে রাখা মাংস দিয়ে কষিয়ে নিন। পাত্রে ঢাকনা দিয়ে কম আঁচে দুই ঘণ্টা বা মাংস সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। প্রয়োজন হলে অল্প গরম পানি দিন।
খিচুড়ি রান্না
চাল ও ডাল একসঙ্গে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। পাত্রে তেল গরম করে তাতে আস্ত গরম মসলার ফোঁড়ন দিয়ে পেঁয়াজকুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন। পেঁয়াজকুচি নরম হলে তাতে আদা বাটা ও রসুন বাটা দিয়ে অল্প ভাজুন। তারপর চাল ও ডাল দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভাজুন। এসময় লবণ, হলুদ গুঁড়া ও কাঁচা মরিচ দিয়ে দিন। ২-৩ মিনিট ভাজার পরে গরম পানি দিয়ে দিন। পানি ফুটে উঠলে ঢাকনা দিয়ে কম আঁচে ১৫- ১৬ মিনিট রান্না করুন।
যেভাবে মেশাবেন
একটি বড় হাঁড়ির নিচে অল্প ঘি লাগিয়ে নিন। এবার এক স্তর খিচুড়ি দিয়ে তার উপর মাংসের একটি স্তর দিন। এভাবে স্তরে স্তরে খিঁচুড়ি ও মাংস দিয়ে শেষে খিচুড়ি দিন। সবশেষে খিঁচুড়ির উপর আরও একটু ঘি দিন। তারপর ভালোভাবে ঢাকনা দিয়ে অল্প আঁচে ১ ঘণ্টার মত দমে রাখুন। নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।