রাস্তার ধারে গুরুগম্ভীর মুড নিয়ে গলায় মালা পড়ে হাতে তসবিহ নিয়ে ইয়া বড় বড় চুল এবং ইয়া বড় বড় দাড়ী সাথে ইয়া বড় বড় গোফ নিয়ে বসে আছে। কিছু নির্বোধ শ্রেণীর মানুষ তাকে প্রনাম করে যাচ্ছে। দূর থেকে বিষয়টি খেয়াল করছিলেন এক ধর্মভীরু মুসলিম ভাই। উল্লেখ্য যে এখানে আলোচিত সাধুবাবা কিন্তু হিন্দু ধর্মের।
মুসলিম ভাইটি সাধুবাবার কাছে আসলেন এবং বললেন সাধু বাবা! বাবা বললেন হুম (গম্ভীর কন্ঠে)। ভাইটি জিজ্ঞেস করলেন সৃষ্টিকর্তাকে সম্মান করার জন্য সব থেকে বড় কাজ কোনটি? বাবা বললেন অবশ্যই ৬ষ্ঠ অঙ্গে সিজদা করা। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা ছাড়া অন্য কেহ কি এই সিজদার যোগ্য হতে পারে? বাবা বললেন অবশ্যই নয়।
ভাইটি আবার জিজ্ঞাসা করলেন সৃষ্টিকর্তা কোথায় থাকেন? বাবা আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করলেন আকাশে। তাহলে তুমি তো অবশ্যই সৃষ্টি কর্তা নও কিন্তু সৃষ্টিকর্তার প্রাপ্য এত বড় সম্মান মানুষ তোমাকে কেন করছে?
বাবা বললেন আরে পাগল এই সম্মান আমি নেই নাকি রে! আমি তো ওনার কাছে পৌছে দেই মাত্র। ভাইটি আবার বললেন এত বড় জাহানের সৃষ্টিকর্তা কি এতই ক্ষমতাহীন যে ওনার প্রাপ্য সম্মান তোমার কাছ থেকে নিতে হবে? তিনি নিজে এই সম্মান সরাসরি নিতে পারেন না? বাবা তখন রেগে গেলেন এবং গম্ভীর ভাব নিয়ে বললেন দূর হও দূর হও।
গল্পটি থেকে আপনি কি বুঝলেন? প্রিয় ভাই ও বোনেরা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে কোন কিছু পৌছাতে কোন মাধ্যম লাগে না। তার কাছে সব কিছু সরাসরি চাইতে হয়। কোন পীর বুজুর্গানে দ্বীনের মাধ্যমে চাইলে সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতাকে অপমান করা হয়। কিন্তু আমরা মুসলিমরা মনে করি যে আসলেই পীর ছাড়া আমরা আল্লাহর কাছে সরাসরি পৌছাতে পাড়ি না। যেমন বড় কোন প্রধান মন্ত্রীর কাছে পৌছাতে স্থানীয় কোন এমপি বা মন্ত্রীর সুপারিশ দরকার হয় তেমনি সৃষ্টি কর্তার কাছে কোন কিছু চাইতে গেলেও মাধ্যম লাগে।
মূলত এখানে সৃষ্টির সাথে সৃষ্টিকর্তার তুলনা চলে না। এক সৃষ্টি আর এক সৃষ্টির মনের অবস্থা জানে না। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা আপনার আমার মনের অবস্থা জানেন। তাই সরাসরি তার কাছে চাইতে হবে। কোন পীর বুজুর্গানে দ্বীনের মাধ্যমে চাওয়া যাবে না। বাংলাদেশে বিভিন্ন পীর আপনাকে জান্নাতের গ্যারন্টি দেয়। বিনিময়ে আপনার টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়। তাদের মুরিদ হলে সব মাফ। এগুলো সব ভন্ডামী। এগুলো থেকে আমাদের দূরে থাকা উচিৎ।
আপনাদের মূল্যবান মতামত অবশ্যই জানাবেন। আল্লাহ সকলের দোয়া কবুল করুন। সকলকে মাফ করুন।
আরও পড়ুনঃ
আপনি শান্তি খুজছেন? পৃথিবীতে শান্তি আসলে কোথায়?
পৃথিবীতে সবকিছু এমনি এমনি হয়- একটি পাগলের প্রলাপ
অবচেতন মনের শেষ আশ্রয়স্থল আসলে কোথায় আপনি খেয়াল করেছেন কি?
আমার আসলে কি করা উচিত? খুব গুরুত্বপূর্ন একটি প্রশ্ন ছিল এটা আমার কাছে
নাস্তিকতা নাকি আস্তিকতা? কোনটি বেশি যৌক্তিক?
ভালো লাগলো আপনার আর্টিকেল টা পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thanks for inspiring me.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চমৎকার দৃষ্টান্ত। আল্লাহ আমাদেরকে ভন্ডদের হাত থেকে হেফাজত করুক।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Ameen.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
hhmmm vai vondo hoite sabdhan
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Sabdhan to asi obossoi.. bakita Allah vorosa.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Great post!
Thanks for tasting the eden!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thanks yeear.. for support.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
khub valo akta post koresen ...khub valo laglo
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thanks for support brother.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই। ধন্যবাদ সুন্দর একটি লেখা উপহার দেয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
This post has received a 9.64 % upvote from @boomerang.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit