গল্প:রোমান্টিক বর
সাঈদ আর সুমাইয়া দুজনে স্বামী-স্ত্রী।৩ বছর প্রেমের পর দুই পরিবারের সম্মতিক্রমে বিয়ে করলো দুজনে।যেহেতু সাঈদ সেনাবাহিনীর একজন মেজর তাই সুমাইয়ার পরিবারও আর এতে অমত করেনি।আর সাঈদের মাও সুমাইয়াকে অনেক পছন্দ করতেন।(এবার মূল গল্পে আশা যাক)
সাঈদ অনেকদিন পর ছুটি নিয়ে বাসায় আসলো আজ।কিন্তু আসার সময় সুমাইয়াকে বলে আসেনি যে সে আজ আসছে।সাঈদ মনে মনে সারপ্রাইজ দিবে বলে ঠিক করে রেখেছিল।তো সাঈদ যখন বাসার দরজার সামনে আসলো ঠিক তখন দেখে বাসার দরজা ভেতর থেকে লক দেওয়া।যেহেতু সাঈদ এর কাছে মূল দরজার চাবি আগে থেকেই ছিল সেহেতু সেই চাবি দিয়ে লক খুলে তাড়াতাড়ি ভেতরে ঢুকে পড়ল।বাসার ভেতরে ঢুকে ভাবলো বাসায় কেউ নেই।তাই ধীরে ধীরে নিজের রুমের দিকে গিয়ে দেখল রুমেও কেউ নেই।কিন্তু হঠাৎ রান্না ঘর থেকে কিছুর আওয়াজ কানে আসলো।তখন সাঈদ ব্যাগ রেখে রান্না ঘরে উঁকি দিয়ে দেখে তার বউ সুমাইয়া চুলায় কি যেন রান্না করছে।আর তাই দেখে সাঈদ আর নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলো না।সে সুমাইয়াকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো সুমাইয়া ভয় পেয়ে চিৎকার দিয়ে উঠলো। তখন সাঈদ সুমাইয়ার কানের কাছে নিজের মুখ নিয়ে বলল:
সাঈদ:আরে আরে ভয় পাচ্ছ কেন আমি তো তোমার স্বামী।
সুমাইয়া:তুমি!!!!!(বিস্মিত হয়ে)
সাঈদ:হ্যা,আমি।কেমন সারপ্রাইজ দিলাম????(মুখে হাসি নিয়ে)
সুমাইয়া:কিন্ত তুমি এখানে কিভাবে এলে?আর বাসায় ঢুকলে কিভাবে???(বিস্মিত হয়ে)
সাঈদ:আসলে অনেকদিন পর ছুটি পেলাম তাই ভাবলাম আজ তোমাকে সারপ্রাইজ দিবো।আর আমার কাছে তো বাসার আরেকটা চাবি আছেই তা দিয়েই ঢুকে পড়লাম।
সাঈদের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে সাঈদের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ল।আর সাঈদের বুকে কিল ঘুষি দিতে দিতে বললো
সুমাইয়া: শয়তান একটা।আমাকে জানিয়ে আসলে কি হতো???
সুমাইয়াকে আরো শক্ত করে নিজের বুকে জড়িয়ে ধরে সাঈদ বলতে লাগলো
সাঈদ: যদি বলে আসতাম তাহলে কি আর সারপ্রাইজ থাকতো???(সুমাইয়ার নাক টেনে)
সুমাইয়া:হুমম।হয়েছে আর ভালোবাসা দেখতে হবে না।গোসল সেরে ফ্রেশ হয়ে আসুন তাড়াতাড়ি।আজ দুজনে একসাথে খাবো।
সাঈদ:এই তুমিও আমার সাথে আস না???
সুমাইয়া:কোথায়???(কপাল কুঁচকে)
সাঈদ:বাথরুমে!!দুজনে একসাথে গোসল করবো (মুচকি হেসে)
সুমাইয়া:ইশ শখ কত।যাও দুষ্টু কোথাকার। তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে এসো।
সাঈদ:মা বাবা ভাইয়া ভাবি কেউ নেই???
সুমাইয়া:বাবা মা খেয়ে দেয়ে ঘুমুচ্ছে।আর ভাইয়া ভাবি ঢাকায় গেছেন।
সাঈদ:ওওও আচ্ছা ।।।
সুমাইয়া:জি সাহেব তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আসুন।।।
সাঈদ:যথা আজ্ঞা।।।
গোসল সেরে ফ্রেশ হয়ে সাঈদ ডাইনিং টেবিলে এসে দেখল আজ তার প্রিয় খাবার আইটেম রান্না হয়েছে।আর তা দেখে সে সুমাইয়াকে ডাক দিল।।সাঈদের ডাক শুনে সুমাইয়া তাড়াতাড়ি এসে বললো;
সুমাইয়া:কি হয়েছে???
সাঈদ: না মানে বলছিলাম যে আমি যে আজ আসবো তা তো তুমি জানতেই না কিন্তু আমার প্রিয় খাবার রান্না হলো যে???
সুমাইয়া:ওওও এই কথা।না আসলে আজকে তোমার প্রিয় জিনিসটা আমারও খেতে ইচ্ছে করলো তাই রান্না করলাম আর কি।তো খাওয়া শুরু করো???
সাঈদ:তো তুমি খাবে না???(জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে)
সুমাইয়া:না আজকে তোমার খাওয়া দেখবো।অনেকদিন মন ভরে তোমার খাওয়া দেখি না।।
সাঈদ:আচ্ছা বুঝেছি আমি খাওয়াই দিতে হবে এই তো???
সুমাইয়া:হুমমম(মুচকি হেসে)
দুজনে দুজনকে খাইয়ে দিচ্ছে।আর দুজনে মাঝে মাঝে দুজনের দিকে তাকিয়ে হাসছে।খাওয়া শেষে সাঈদ আর সুমাইয়া পাশাপাশি শুয়ে আছে হঠাৎ সুমাইয়া বলে উঠলো;
সুমাইয়া:তুমি আর আমাকে আগের মতো ভালোবাসো না(ভেংচি কেটে)
সাঈদ:ওমা কে বলেছে তোমাকে আগের মতো ভালোবাসি না???
সুমাইয়া:এই যে আগে ঘুমানোর সময় তুমি আমাকে বুকে নিয়ে ঘুমাতে কিন্ত এখন বুকে নাও না????
সাঈদ:ওওও তো এই ব্যাপার!!আচ্ছা আসো।(সুমাইয়াকে বুকে নিয়ে)।এবার খুশি???
সুমাইয়া:হুমম অনেক(মিষ্টি হেসে)
সাঈদ:কতদিন তোমার এই মিষ্টি হাসিটা দেখি না আজ মন ভোরে দেখবো।
সুমাইয়া:হুহ ঢং(ভেংচি কেটে)
সাঈদ:এটা ঢং না এটা ভালোবাসা।আসো তোমাকে একটু আদর করে দেই???(দুষ্টু হাসি হেসে)
সুমাইয়া:যাহ দুষ্টু (লজ্জা পেয়ে)
সাঈদ:ও বাবা আমার বউ দেখি লজ্জা ও পায়।
এটা বলে সাঈদ আরো শক্ত করে নিজের বুকের মাঝে শক্ত করে চেপে ধরল সুমাইয়াকে।আর সুমাইয়ার পরম ভালোবাসায় সাঈদের বুকের মাঝে নিজেকে আবদ্ধ করে ফেললো।
আর দুজনে ভালোবাসার ঘুমে হারিয়ে গেল।।।।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!