রাশিয়া ও ইউক্রেন এর মধ্যে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে তার জন্য আমেরিকা দায়ি। আমেরিকা বার বার ইউক্রেনকে উসকে দিছে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে জড়ানোর জন্য। আমেরিকা চাই ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার কাছা কাছি আসতে কিন্তু রাশিয়া তো বোকা না। তারা বিশ্বকে অবাক করে ইউক্রেন সিমান্তে এসে সেনা মহড়া শুরু করে এবং ইউক্রেনকে ভয় দেখায়। কিন্তু আমেরিকার হুমকি ও বিভিন্ন নিষেধাঙ্গা দেওয়ায় রাশিয়া শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনে হামলা করে।
ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ স্থপনা দখল করছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সেনা ও বেসমরিক মানুষকে হত্যা করছে কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোন রকম ব্যবস্থা নিতে পারছে না। আজ শুনলাম রাশিয়া ইউক্রেনের রাজধানীতে প্রবেশ করেছে আর ইউক্রেনের সেনারা পিছু হটছে।
এভাবে চলতে থাকলে এর প্রভাব সকল বিশ্বে পড়বে । এমনিতে এর প্রভাবে আমাদের দেশের মিডিয়া গুলো বলছে তেল, গ্যাসের এবং স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পাবে। আল্লাহ না করুক রাশিয়া যদি পারমানবিক যুদ্ধে জড়ায় তাহলে খুব ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। যদিও ইউক্রেনের কাছে পারমানবিক অস্ত্র নেই। এখন ইউক্রেনের উচিৎ হবে রাশিয়ার সাথে আলোচনা করে বিষয়টা মিমাংশা করা।
কারণ তাদেরকে যারা আশ্বাস দিয়েছিল তারা আজ তাদের পাশে নেই। কোন দেশ রাশিয়ার বিপক্ষে যাবে না। ইউক্রেনে বৈধ্য অবৈধ্য মিলে এক থেকে দুই হাজার বাংলাদেশি আছে তাদের কি অবস্থা হবে। কারণ সব ধরনের ফ্লাইট বন্ধ ঘোষনা করেছে। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি তাদেরকে নিরাপদে দেশে নিয়ে আসা হোক।
ইউক্রেন যদি নিজ থেকে আলোচনার জন্য রাজি না হয় তাহলে রাশিয়া কখনো হামলা বন্ধ করবে না। ইউক্রেন যদি এখনো অন্যের উপর ভরসা করে তাহলে চরম ভুল করবে। বহু মানুষের প্রানহানি হবে। আর যদি অন্য দেশ ইউক্রেনকে সাহায্য করে তাহলে ভয়ংকার পরিস্থিতির সাক্ষী হবে গোটা বিশ্ব।