Chapter 1: নীল নদীর ডাক (Neel Noder Dak)
নীল নদের বুকে, ঢেউ খেলার তালে 轻轻 (qing qing - meaning: gently) করে দুলছিল নৌকা। সূর্যের রশ্মি জলপাই গাছের ফাঁক গিয়ে ঝরে পড়ছিল রায়ের কাঠের সন্দুকের উপর। সন্দুকটা খোলা, ভিতরে পুরনো, হলুদে কাগজের এক গাদা। রায়, বাঁশের চাটাইয়ের উপর বসে, কাগজগুলো সাবধানে খুঁটে
খুঁটে পড়ছিল। সেগুলি ছিল প্রাচীন মানচিত্র, আর সেই মানচিত্রগুলি দেখিয়ে তার বাবা, এক জাহাজ ক্যাপ্টেন, গল্প বলতেন রো hilang হওয়া রাজধানী, সোনালী নগরের।
কথিত ছিল, সেই নগর কোথাও নীল নদীর তীরে গহীন জঙ্গলে লুকিয়ে আছে। রাজধানীটি রত্নপाषाণে সাজানো, রাজারা স্বর্ণে বিলাস করতেন। কিন্তু এক অমাবস্যা রাতে, রাজার ক্রোধে নগরটি মাটির নিচে চাপা পড়ে যায়। রায়ের বাবা সারা জীবন সেই নগর খুঁজে বের করার স্বপ্ন দেখেছিলেন, কিন্তু পারেননি। রায়ের হাতে এখন তার বাবার অসমাপ্ত কাজ।
মানচিত্রগুলি নিয়ে রায় বের হলো চাঁদ মियाँের কাছে। চাঁদ মियाँ, বুড়ো নাবিক, বহুকাল ধরে নীল নদীর নৌ-পথ চেনে। রায়ের গল্প শুনে চাঁদ মিয়া হাসলেন। "ছেলে, সোনালী নগর কাহিনী, শুধুই গল্প।" কিন্তু রায়ের চোখের আগুন দেখে তিনি থেমে গেলেন। রায়ের জেদ দেখে, অবশেষে রাজি হলেন চাঁদ মियाँ। তারা দু'জন, একটা পুরনো নৌকা নিয়ে নীল নদীর অজানা স্রোতে হারিয়ে গেল।
Chapter 2: গহীন জঙ্গলের সাথে সাক্ষাৎ (Gohin Jongoler Shate Shakkhat)
নদীর বুক চিড়ে, নৌকা ঢুকল গহীন জঙ্গলে। সূর্যের আলো এখানে পৌঁছাত না। গাছের জটেলায় জড়িয়ে ছিল নদী, চারপাশে শুধু গভীর সবুজ আর অ eerie (pronounced as 'iri': meaning詭異 - guǐyì: strange and unsettling) স্তব্ধতা। হঠাৎ, ঝোপের আড়াল থেকে এক জোড়া লাল চোখ জ্বলজ্বলে জলক খেল। বাঘ? রায় হাত বাড়িয়ে নিল কুঁড়ালে বাঁধা খাঁটি থেকে। চাঁদ মিয়া তাকে সাবধান করলেন, "শব্দ কোরো না।"
धीरे से (dhire se: slowly) নৌকা চলতে থাকল। কিছুক্ষণ পর, গাছের ফাঁক দিয়ে দেখা গেল, সামনেই এক বিশাল জলপ্রপাত। নৌকা চালানো অসম্ভব। রায় ম্যাপ খুললো। মানচিত্র অনুযায়ী, জলপ্রপাতের আড়ালেই লুকিয়ে আছে সোনালী নগর। কিন্তু জলপ্রপাত পার হওয়া
জলপ্রপাত পার হওয়া অসম্ভব। হতাশায় মাথা নীচু করে ফেলল রায়। কিন্তু চাঁদ মিয়া তখন নদীর ধার ঘাঁটতে শুরু করেছেন। কিছুক্ষণ পরে তিনি উত্তেজিত স্বরে ডাকলেন, "এদিকে আয়, ছেলে!" রায় দেখলেন, চাঁদ মিয়া একটা গুহার মুখের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। গুহাটি ছোট, কিন্তু মানুষ ঢোকার মতো জায়গা আছে।
"এই গুহা দিয়ে হয়তো জলপ্রপাতের পেছনে যেতে পারা যাবে," বললেন চাঁদ মিয়া। কিছুটা দ্বিধার পর রায় সম্মত হলেন। নৌকা গুহার মুখে ঢুকিয়ে দিলেন তারা। গুহার ভিতর অন্ধকার। চাঁদ মিয়া একটা মশাল জ্বালিয়ে নিলেন। গুহার ভিতর দিয়ে সরু জলের একটা স্রোত বয়ে চলেছে। স্রোতের সাথে সাথে তাদের নৌকাও এগিয়ে যেতে লাগল।
অনেকক্ষণ চলার পর, সামনে আলোর ঝিলিক দেখা গেল। নৌকা যখন গুহা থেকে বের হলো, রায়ের চোখ কপালে উঠে গেল। সামনে বিশাল জলপ্রপাতের নিচে, নীল নদের তীরে, ঠিক মানচিত্রের মতোই, সোনালী রোদের আভা ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে এক বিশাল নগর!
Chapter 3: সোনালী নগরের রহস্য (Shonalir Nogorer Rohoshyo)
চাঁদ মিয়া নৌকা নগরের ধারে লাঙ্গর করলেন। নগরের দেওয়ালগুলি সোনালী পাথরে তৈরি, বাড়ির ছাদগুলো ঝলমলে মণিতে ঢাকা। কিন্তু নগরটি সম্পূর্ণ নি寂্চেপ। কোনো মানুষের চিহ্ন নেই। রহস্যে উদ্বিগ্ন হয়ে নৌকা থেকে নামলেন রায় ও চাঁদ মিয়া।
নগরের রাস্তাঘাট ঘুরে দেখলেন তারা। সবকিছু ঠিক আছে, কিন্তু কোনো মানুষ নেই। হঠাৎ, রায়ের চোখে পড়লো, রাস্তার মাঝখানে একটা পাথরের ফলক। ফলকে কিছু লেখা আছে, কিন্তু সেই লিপি রায় চিনতে পারলেন না। চাঁদ মিয়া কাছে এসে ফলকটা পড়লেন। তার চোখ জল এসে গেল।
"এটা প্রাচীন নাগ জনগোষ্ঠীর লিপি," বললেন চাঁদ মিয়া। "এখানে লেখা আছে, রাজার লোভ আর ক্ষমতাহীনতার ফলে নগরটি ধ্বংস হয়ে যায়। রাজা ও তার সঙ্গীরা সোনায় পরিণত হন, আর সাধারণ মানুষেরা অদৃশ্য হয়ে যান।"
রায়ের বুকটা অস্বস্তিতে ভরে গেল। সোনার নগর খুঁজে পেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু এভাবে? চারপাশের সোনার চাঁদের আলোয় সবকিছু অদ্ভুত লাগছিল। হঠাৎ, রায়ের নজরে পড়লো একটা সরু সোনার রাস্তা, যা নগরের বাই,চাঁদ মিয়া নৌকা নগরের ধারে লাঙ্গর করলেন। নগরের দেওয়ালগুলি সোনালী পাথরে তৈরি, বাড়ির ছাদগুলো ঝলমলে মণিতে ঢাকা। কিন্তু নগরটি সম্পূর্ণ নি寂্চেপ। কোনো মানুষের চিহ্ন নেই। রহস্যে উদ্বিগ্ন হয়ে নৌকা থেকে নামলেন রায় ও চাঁদ মিয়া।
নগরের রাস্তাঘাট ঘুরে দেখলেন তারা। সবকিছু ঠিক আছে, কিন্তু কোনো মানুষ নেই। হঠাৎ, রায়ের চোখে পড়লো, রাস্তার মাঝখানে একটা পাথরের ফলক। ফলকে কিছু লিপি আছে, কিন্তু সেই লিপি রায় চিনতে পারলেন না। চাঁদ মিয়া কাছে এসে ফলকটা পড়লেন। তার চোখ জল এসে গেল।
"এটা প্রাচীন নাগ জনগোষ্ঠীর লিপি," বললেন চাঁদ মিয়া। "এখানে লেখা আছে, রাজার লোভ আর ক্ষমতাহীনতার ফলে নগরটি ধ্বংস হয়ে যায়। রাজা ও তার সঙ্গীরা সোনায় পরিণত হন, আর সাধারণ মানুষেরা অদৃশ্য হয়ে যান।"
রায়ের বুকটা অস্বস্তিতে ভরে গেল। সোনার নগর খুঁজে পেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু এভাবে? চারপাশের সোনার চাঁদের আলোয় সবকিছু অদ্ভুত লাগছিল। হঠাৎ, রায়ের নজরে পড়লো একটা সরু সোনার রাস্তা, যা নগরের বাইরে, জঙ্গলের দিকে চলে যাচ্ছে।
"চাঁদ মিয়া, ওটা কি?" জিজ্ঞাসা করল রায়।
"জানি না," বললেন চাঁদ মিয়া। "কিন্তু এখন রাত হয়ে গেছে। রাত কাটিয়ে সকালে দেখা যাবে।"
কিন্তু রাতে রায়ের ঘুম আসলো না। সোনার নগরের ভূতপ্রেতের গল্প আর অদৃশ্য মানুষেরা তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, চাঁদ মিয়া নেই। নৌকাটাও নেই। রায় চারপাশে খুঁজতে শুরু করলেন। হঠাৎ, একটা মৃদু স্বর শুনলেন।
"কে?" চেঁচিয়ে উঠলেন রায়।
"আমি," একটা বাতাসের মতো স্বর এলো। "আমি এই নগরের একজন বাসিন্দা।"
রায় চারপাশে তাকালেন, কাউকে দেখতে পেলেন না। কিন্তু আবার সেই স্বর এলো।
"আমি অদৃশ্য। রাজার অভিশাপে আমরা সবাই অদৃশ্য হয়ে গেছি।"
কিছুটা সামলে নিয়ে রায় জিজ্ঞাসা করলেন, "আপনি কি জানেন, এই সোনার রাস্তাটা কোথায় যায়?"
"এই রাস্তা নিয়ে যায় মুক্তির পথে," বললো অদৃশ্য মানুষটি। "এই রাস্তা ধরে গেলে একটা গুহা পাবে। সেই গুহায় রয়েছে অভিশাপ মুক্ত করার মন্ত্র। কিন্তু সে
Chapter 4: মুক্তির সন্ধানে (Muktir Shondhane)
রায়ের রক্তে জ্বালা জাগল। সোনার নগরের অভিশাপ মুক্ত করে, সেই অদৃশ্য মানুষদের মুক্তি দেওয়া – এই লক্ষ্যে সে এগিয়ে যেতে مصمم (musammim: determined) হলো। সে নিজের নৌকা হারিয়েছে, তাই একটা সোনার তক্তা খুলে নিয়ে নৌকার বৈঠা বানিয়ে নিল। সোনার রাস্তা ধরে সে জঙ্গলে ঢুকে গেল।
জঙ্গল ঘন, গাছের ছায়ায় সবসময় অন্ধকার। প্রতি মুহূর্তে বাঘের গর্জন বা সাপের ফোঁসফোঁসানি শুনে রায়ের শিরদাঁড়া শিউরে উঠত। কিন্তু সে থামলো না। অদৃশ্য মানুষদের আর্তনাদ তার কানে ভাসতে থাকল, তাকে এগিয়ে যেতে প্রेरিত করল।
দিনের পর দিন চলার পর, রায় একটা বিশাল গাছের গুঁড়ির সামনে এসে পৌঁছাল। গাছের গুঁড়িতে একটা অন্ধকার গহার মুখ দেখা যায়। রায় জানত, এটাই সেই গুহা, যেখানে অভিশাপ মুক্তির মন্ত্র রয়েছে। কিন্তু গুহার মুখে দাঁড়িয়ে থাকল এক বিশাল গোঙরা সাপ। সাপটির চোখ দু'টো জ্বলজ্বল কয়লা, আর ফণাটা মを広িয়ে রাস্তা আটকে রেখেছে।
রায়ের হাত-পা কাঁপতে লাগল। কিন্তু সে পিছনে ফিরতে পারে না। সে মনে মনে তার বাবার কথা ভাবল, যিনি সারা জীবন এই সোনালী নগর খুঁজে বের করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সে নিঃশ্বাস নিয়ে সাপটিকে উদ্দেশ্যে বলল, "আমি এসেছি এই নগরের অভিশাপ মুক্ত করতে। আমি কাউকে ক্ষতি করতে চাই না।"
সাপটি কিছুক্ষণ রায়ের দিকে তাকিয়ে রইল। তারপর আস্তে আস্তে ফণা নামিয়ে দিয়ে সরে গেল, গুহার পথ করে দিল। রায় সাবধানে গুহার ভিতরে ঢুকল।
Chapter 5: গুহার রহস্য (Guhar Rohoshyo)
গুহার ভিতর অন্ধকার। রায় একটা মশাল জ্বালিয়ে নিল। গুহার দেওয়ালে প্রাচীন壁画 (hekiga:壁画 -壁 (heki): wall, 画 (ga): picture - meaning: murals) আঁকা। সেই 壁画 গুলোয় রাজার লোভ আর অহংকারের গল্প ফুটে উঠেছে।
অবশেষে, গুহার শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেল রায়। সেখানে একটা পাথরের বেদির উপর রাখা একটা পুরনো পুঁথি দেখতে পেল। সে পুঁথি খুলল। ভিতরে অদ্ভুত চিহ্ন আর লেখা। ঠিক তখন, একটা ঈষৎ (eeshot: slight) ঠান্ডা বাতাস গুহার ভিতর দিয়ে বয়ে গেল।
রায়ের চারপাশে একটা স্বচ্ছ আলো জ্বলে উঠল। আলোর মধ্যে এক সুন্দরী মহিলা দাঁড়িয়ে আছেন। রায় চমকে গেল।
"আমি এই নগরের রানী ছিলাম," বললেন মহিলাটি। "রাজার অ,রায়ের চমকে গেল।
"আমি এই নগরের রানী ছিলাম," বললেন মহিলাটি। "রাজার অভিশাপে আমিও অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিলাম। তুমি যে ছেলে, তোমার সাহস দেখে মনে হচ্ছে, তুমিই আমাদের মুক্তি দিতে পারবে।"
রানী রায়কে পুঁথিটি পড়তে সাহায্য করলেন। পুঁথিতে লেখা ছিল অভিশাপ মুক্তির মন্ত্র। কিন্তু মন্ত্রটি জপ করতে হতো নীল নদের জলে স্নান করে, সোনার রাস্তা দিয়ে এসে, পূর্ণিমার রাতে।
রায় বুঝল, এখন পূর্ণিমা নেই। তাকে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। রানী তাকে গুহার একটা গোপন কক্ষে থাকতে দিলেন। সেখানে থাকতে থাকতে রায় রানী ও অভিশাপের আরো কাহিনী জানতে পারল। সে জানল, রানী সবসময় রাজাকে সতর্ক করেছিলেন, কিন্তু রাজা তার কথা শোনেননি।
Chapter 6: পূর্ণিমার রাত (Purnimar Raat)
অবশেষে পূর্ণিমার রাত এল। রায় নীল নদীতে স্নান করলেন। তারপর সোনার রাস্তা ধরে গুহার দিকে হাঁটতে লাগলেন। পথে তিনি সেই অদৃশ্য মানুষদের কণ্ঠস্বর শুনতে পেলেন, তারা তাকে উৎসাহ দিচ্ছিলেন।
গুহায় পৌঁছে রানী তাকে মন্ত্রটি জপ করতে সাহায্য করলেন। রাতের নিস্তব্ধতায় রায়ের জোরে জোরে মন্ত্র পড়া শোনা গেল। হঠাৎ, গুহার ভিতর 굉র্ (ghoŗ: loud noise) করে একটা ঝাঁকুনি লাগল। দেওয়ালে আঁকা 壁画 (hekiga) গুলো কেঁপে উঠল।
রায়ের চোখ খুললে, সে দেখলেন, গুহার ভিতর আলো ঝলমল করছে। সামনে দাঁড়িয়ে আছে রানী আর অনেক অদৃশ্য মানুষ। কিন্তু এবার তারা আর অদৃশ্য নেই, স্বাভাবিক মানুষের মতো দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের চোখে কৃতজ্ঞতা আর আনন্দ।
Chapter 7: স্বর্ণ নগরের মুক্তি (Shwarna Nogorer Mukti)
রায় ও রানী সোনার নগরের বাইরে এলেন। নগরের সোনার দেওয়ালগুলি আর ঝলমলে ছাদগুলো ম্লান হয়ে গেছে। এখন সেগুলি সাধারণ পাথরের মতো দেখাচ্ছে। রাজা ও তার সঙ্গীরা সোনায় পরিণত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে।
অদৃশ্য মানুষেরা নগরের রাস্তায় নেমে এলেন। তারা রাজার সোনা মূর্তিগুলো গুঁড়িয়ে দিলেন। তারপর সবাই মিলে নগরের পুনর্নির্মাণের কাজে जुट (jut: engaged) পড়লেন।
কয়েক সপ্তাহ পর, রায়কে বিদায় জানাতে হলো। রানী ও অন্যরা তাকে অনেক কৃতজ্ঞতার সাথে বিদায় দিলেন
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
안녕하세요 스팀잇 세계에 오신것을 환영합니다.
저는 여러분이 스팀잇에 잘 적응 할 수 있도록 응원하고 있습니다.
이 포스팅을 한번 끝까지 읽어보시고 STEEMIT-초보자를위한 가이드
혹시나 궁금하신 내용이 있으면 언제든
@ayogom, @jungjunghoon, @powerego, @tworld, @dorian-lee, @bitai, @kinghyunn, @maikuraki, @hiyosbi, @nasoe, @angma, @raah 님께 댓글 주시면 친절하게 알려드리겠습니다.
카카오톡 방에서 궁금한 점도 한번 해결해 보세요. 많은 스팀잇 경험자 분들께서 언제나 궁금한 부분을 즉시 해결해 주실 것입니다. 카카오톡 대화방 바로가기 패스워드(1004)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit