সাপের জিভ সামনের দিকে চেরা কিন্তু পেছনে তা জোড়া লাগানো। জিভ লেগে থাকে মুখের মাঝখানে। জিভের গোঁড়ার দিকে পাতলা আবরণী দিয়ে ঘেরা। সাপের নিচের চোয়ালের সামনের দিকটা সামান্য চেরা। মুখ বন্ধ থাকলেও এই চেরা পথে সাপ জিভ বের করতে পারে। চলার সময়ে সাপ বারবারই জিভটাকে বের করে আনে, আবার ভেতরে ঢুকিয়ে নেয়। আর মাঝে মাঝে ডানে বায়ে ঘোরায়। খেপে গেলে সাপ জিভ খুবই দ্রুত বের করতে থাকে।
বিজ্ঞানীরা সাপকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে প্রমাণ পেয়েছেন যে, সাপ জিভ দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে থাকে। সাপ যখন শিকার ধরার জন্য ঘাপটি মেরে বসে থাকে তখন তার জিহ্বা কম নড়াচড়া করে, কারণ তখন তার শরীর স্থির থাকায় খুব বেশী জোরে শ্বাস-প্রশ্বাসের দরকার হয় না। আবার যখন সাপ ছোটাছুটি করে বা রাগান্বিত হয়ে কাউকে কামড়াতে যায় তখন তার প্রচুর শ্বাস-প্রশ্বাসের দরকার হয়, ফলে সে খুবই দ্রুত জিহ্বাকে নড়াচড়া বা ভিতর-বাহির করে। এছাড়া বিজ্ঞানীরা আরও প্রমাণ পেয়েছেন যে, মানুষের নাকে ঘ্রাণ গ্রন্থি থাকলেও সাপের নাকে কোনও ঘ্রাণ গ্রন্থি নেই।
অর্থাৎ সাপের নাকে গন্ধ শোঁকার কোনও ব্যবস্থা নেই। কিন্তু সাপ যে কোনও কিছুর গন্ধ পায় না, এমনও নয়। সাপের জিভই হলো সাপের ঘ্রাণ অঙ্গ। কারণ, তাদের ঘ্রাণ গ্রন্থি জিভে থাকে। সাপের জিভের চেরা অংশ কেটে বাদ দিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, সাপের ঘ্রাণশক্তি নষ্ট হয়ে যায়। সাপ জিভ দিয়ে বাইরে থেকে গন্ধ সৃষ্টিকারী অণুগুলো মুখের ভেতর নিয়ে যায়। মুখের ভেতরে টাকরায় ছোট ছিদ্র থাকে।