জীবনে চলার পথে কিছু কথা .........

in some •  6 years ago 

১. ভয়ের কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই । এর উৎস হচ্ছে অতীত আর নির্মম শিকার হচ্ছে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ।

২. সফল মানুষ বিশ্বাসকে গুরুত্ব দেন আর ব্যর্থরা বাস্তবতার দোহাই দেয় ।

৩. প্রস্তুতি ছাড়া যাত্রা পথের কষ্টকে বাড়িয়ে দেয় । স্বপ্ন ও বিশ্বাস পথ চলার সে প্রস্তুতিরই সূচনা করে ।

৪. জীবন থেকে সত্যকে শিখুন । আর বাস্তব অভিজ্ঞতা ছাড়া কোনো সত্যই নিজস্ব হয় না ।

৫. আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে যা কিছু নিয়ে অহংকার করা হয়েছে, তা-ই তার পতনের কারণ হয়েছে ।

৬. আত্মা সবসময় ভাবে, ‘আমি কী দিতে পারি’। আর অহম ভাবে ‘আমি কী পেতে পারি’ বা ‘আমি কী পেলাম’ ।

৭. প্রতিটি কাজ করার আগে অন্তত একবার নিজেকে জিজ্ঞেস করুন- কাজটি আপনি কেন করবেন ।

৮. একটি কাজ না করার পেছনে হাজারটি অজুহাত দেখানো যায়, কিন্তু কাজটি করার জন্যে একটি কারণই যথেষ্ট ।

৯. প্রতিটি কাজ শুরু হয় শূন্য থেকে । ধাপে ধাপে তা পূর্ণতা পায় ।

১০. করতে না পারা আর না করে কাজ ফেলে রাখার মধ্যে ব্যবধান হচ্ছে- প্রথমটি পারিপার্শ্বিক প্রভাবে প্রভাবিত আর দ্বিতীয়টি ব্যক্তির খেয়ালিপনা ।

১১. নিজের কাছে নিজে সৎ থাকুন । প্রতিটি কাজে আপনার পক্ষে যা করা সম্ভব, আন্তরিকতার সঙ্গে করুন ।

১২. বুদ্ধিমানরা সবসময় কথা বা কাজের আগে চিন্তা করে । আর বোকারা চিন্তা করে (পস্তায়) কাজের পরে ।

১৩. নিখুঁত ও বাস্তবানুগ পরিকল্পনা যেকোনো কাজ সুসম্পন্নের অর্ধেক ।

১৪. দায়িত্ব নিতে ভয় পাবেন না । তাহলেই নতুন কিছু শিখতে পারবেন ।

১৫. আনন্দের অনুভূতি মনের শক্তিকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে লাগায় ।

১৬. শোকর হলো আনন্দে স্নাত হয়ে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন । আর সবর হলো প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে নীরব সংগ্রাম ।

১৭. আজ পর্যন্ত কোনো ভিক্ষুক দাতা বা স্বাবলম্বী হতে পারে নি । যে হাত নিতে অভ্যস্ত সে হাত কখনো দিতে পারে না ।

১৮. যে বলার পেছনে অনুশীলন নেই তা ক্ষণিকের জন্যে মোহিত করলেও শ্রোতাকে অনুপ্রাণিত করতে পারে না ।

১৯. একজন জ্ঞানী জানেন যে তিনি কী জানেন না । আর একজন মূর্খ নিজেকে সবসময় সবজান্তা মনে করে ।

২০. ‌প্রতিটি মানুষ বড় হতে পারে তার জীবনের মনছবি বা স্বপ্নের সমান ।

২১. যে স্বপ্ন দেখতে জানে, প্রতীক্ষা করতে পারে, সে প্রতীক্ষার কষ্টও হাসিমুখে সইতে পারে ।

২২. সুযোগ হাতছাড়া করবেন না । অতীতের দিকে তাকালে দেখবেন, কাজ করে অনুতাপ করার চেয়ে সুযোগ হাতছাড়া করে আপনি বেশি অনুতপ্ত হয়েছেন ।

২৩. যেকোনো ঘটনাকে সহজভাবে গ্রহণ করাই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ।

২৪. বই-কিতাব পড়ে তাত্ত্বিক বা তার্কিক হওয়া যায়, আত্ম আবিষ্কারক হওয়া যায় না । আত্ম আবিষ্কারের জন্যে প্রয়োজন আত্মনিমগ্নতা ।

২৫. প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় গ্রহ-নক্ষত্র সৃষ্টি হয় । আর মানুষের মেধা বিকশিত হয় সযত্ন প্রয়াসের মধ্য দিয়ে ।

২৬. কাজে উদ্যোগী না হলে প্রতিটি কাজই অসম্ভব মনে হয় ।

২৭. ভয় বা আশঙ্কা হচ্ছে শয়তানের ছায়া আর বিশ্বাস হচ্ছে স্রষ্টার নূরের ছটা ।

২৮. নেতৃত্বকে অনুসরণ করুন । তাহলে আপনিও নেতা হতে পারবেন ।

২৯. সত্যিকার যোদ্ধা সে-ই, যে জানে কখন অস্ত্র সংবরণ করতে হয় ।

৩০. আহাম্মক বিশ্রাম খোঁজে । বুদ্ধিমান খোঁজে শুধু কাজ ।

৩১. ভয়ের কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই । এর উৎস হচ্ছে অতীত আর নির্মম শিকার হচ্ছে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ।

৩২. মানুষ যখন অবৈজ্ঞানিক ও প্রকৃতি-বিরুদ্ধ জীবন যাপন করেছে তখনই তার দুঃখ ও দুর্ভোগ এসেছে ।

৩৩. নিজের পরিবর্তন না এনে আমরা অন্যের পরিবর্তন দেখতে চাই । তাই আমাদের সত্যিকার পরিবর্তন আসে না ।

৩৪. অন্যকে সে-ই অনুপ্রাণিত করতে পারে যে অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয় না ।

৩৫. সামাজিক মুখোশ নয়, অন্তর্গত শক্তিই হচ্ছে ব্যক্তিত্ব ।

৩৬. রাগ ও অভিমান করে বোকা ও দুর্বলরা । বুদ্ধিমানরা কৌশলে পরিস্থিতি বদলে দেয় ।

৩৭. নতুন বন্ধুত্ব করুন । কিন্তু পুরনো বন্ধুত্বকেও গুরুত্ব দিন ।

৩৮. যে সম্পর্ককে ছেদ করা যায় না, সে সম্পর্কের মাঝে দেয়াল রচনা করবেন না । সেখানে মমতার বন্ধন তৈরি করুন ।

৩৯. সংশয় হলো বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের মধ্যবর্তী অবস্থান । বিশ্বাস থেকে বিচ্যুতির প্রথম ধাপই হলো সংশয় ।

৪০. কাম শৃঙ্খলিত করে । আর প্রেম জীবনকে শৃঙ্খল মুক্ত করে ।

৪১. আপনার পরিচিত বলয়ের ঈর্ষাকারী ও পরচর্চাকারীদের সাথে মানসিক সম্পর্ক ছেদ করুন । তাহলেই তারা আর আপনার প্রশান্তি নষ্টের কারণ হবে না ।

৪২. প্রতিপক্ষের সাথে সংলাপের পথকে কখনো বন্ধ করবেন না। কারণ বিশ্বাস নিয়ে মোকাবেলা করলে পৃথিবীর কোনো প্রতিপক্ষই অজেয় নয় ।

৪৩. পথে নামলে পথই পথ দেখায় ।

৪৪. প্রতিযোগীর যেকোনো বক্তব্য বা সমালোচনাকে মূল্যায়ন করুন । সে-ই বিজয়ী হয়, যে প্রতিপক্ষের কৌশল সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান রাখে ।

৪৫. আন্তরিক প্রার্থনায় প্রার্থনা, প্রার্থনাকারী ও প্রার্থনা কবুলকারী একাকার হয়ে যান ।

৪৬. দক্ষতা ছাড়া সততা শক্তিহীন ।

৪৭. প্রতি মুহূর্তের হাজারটি বিকল্প কর্মপন্থার মধ্য থেকে সর্বোত্তমটি বেছে নেয়ার স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষমতাই প্রজ্ঞা ।

৪৮. আত্মবিশ্বাস এবং অহংকারের মধ্যে পার্থক্য হলো- আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি আত্মজ্ঞান আর অহংকারের ভিত্তি জৈবিক চেতনা ।

৪৯. ক্ষোভ হচ্ছে এমন এক বিষ যা আপনি নিজে পান করছেন আর ভাবছেন মারা যাবে আপনার প্রতিপক্ষ ।

৫০. জৈবিক আমিত্ব বিপন্নবোধ করলেই আমরা দুর্ব্যবহার করি । দুর্ব্যবহার আমাদের পশু সত্তার স্বরূপ প্রকাশ করে ।

৫১. সবলের অহম প্রকাশ পায় শক্তির মদমত্ততায় । আর দুর্বলের অহম প্রকাশ পায় ঘৃণায় ।

৫২. কর্ম ছাড়া প্রার্থনা কবুল হয় না ।

৫৩. মানুষ যখনই সীমালঙ্ঘন করেছে- মন্দ কাজে, এমনকি ভালো কাজেও- তখনই তার জীবনে বিপর্যয় এসেছে ।

৫৪. আত্মিক সম্পর্ককে গুরুত্ব দিন। আত্মিক সম্পর্ক ভালো কাজে অনুপ্রাণিত করে ।

৫৫. প্রয়োজন আর অভাববোধ এক নয় । অভাববোধ হলো প্রয়োজন মেটার পরও আরো বেশি পাওয়ার জন্যে অস্থিরতা ।

৫৬. সময়কে নিয়ন্ত্রণে রাখুন, অনেক কিছুই আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে ।

৫৭. সময়ের যোগফলই জীবন । সে মানুষই সফল, যে পরিকল্পিতভাবে সময়কে কাজে লাগায় ।

৫৮. কোনো পরাজয়ই ব্যর্থতা নয়, যদি সে পরাজয় মানসিকভাবে আপনাকে পরাজিত করত
৫৮. কোনো পরাজয়ই ব্যর্থতা নয়, যদি সে পরাজয় মানসিকভাবে আপনাকে পরাজিত করতে না পারে ।

৫৯. বস্তুর সীমাবদ্ধতা হলো- তা পাওয়ার আগ পর্যন্ত অস্থিরতা কাজ করে । কিন্তু পাওয়া হয়ে গেলেই তা তৃপ্তি দেয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে ।

৬০. মুক্তির পথে অন্তরায় হলো অনিশ্চয়তাবোধ এবং ঝুঁকি নেয়ার সাহসের অভাব ।

৬১. আত্মবিকাশের অধিকার কেউ কাউকে দেয় না । তা আদায় করে নিতে হয় ।

৬২. বিনাশ্রমে অর্থলাভের প্রতিশ্রুতি দেয়া প্রতারকদের একটি সাধারণ টোপ ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Hi! I am a robot. I just upvoted you! I found similar content that readers might be interested in:
https://rajkobi.blogspot.com/2017/08/blog-post_28.html