সামান্য রুপে ঠাণ্ডা লাগার কারনে অথবা ঠাণ্ডা জলের মধ্যে চলাফেরা করার কারনে নাকবন্ধ – জ্বর এই সমস্যা হয়ে যায়। এটি এক প্রকারের সংক্রামক জনিত রোগ। সর্দি হবারর ফলে বার বার হাঁচির সমস্যা হয় এবং নাক দিয়ে জল বের হয়। কখনো কখনো কফ বের হয়। এই সমস্যা গুলিকে ভালো করার জন্য নিম্নে কিছু কার্যকারী ঘরোয়া উপায় আলোচনা করা হল-
১। কাঁচা রসুনের ১-২ কোয়া রসুন চিবিয়ে চিবিয়ে খেয়ে নিন এবং তার উপর জল পান করে নিন ।
২। আমলকীর রস কে মধুর সাথে মিশিয়ে চেটে চেটে সেবন করলে ভালো উপকার হয়।
৩। ছাগলের দুধের মধ্যে ১০০ গ্রাম খেজুর বয়েল করে সেবন করুন। জ্বর কে ঠিক করার সবথেকে ভালো ঔষধ এটি।
৪। যদি সর্দির সাথে জ্বর এবং মাথা ব্যথার সমস্যা হয় তাহলে এক গ্লাস গোরুর দুধে গোলমরিচের চূর্ণ এবং হলদি মিশিয়ে বয়েল করুন এবং চা পান করার মত পান করে নিন, শরীরে আরামবোধ হবে।
৫। দেশি গোরুর ঘি ঈষৎ গরম করে নাকের মধ্যে ঢেলে দিন এবং ঘুমিয়ে পড়ুন। নিয়মিত ভাবে ১৫-২০ দিন এটি ব্যবহার করলে আপনার নাকের সমস্ত রোগ ভালো করে দেবে। আপনার যদি অনিদ্রা সমস্যা থাকে তাহলেও এই ঘি আপনার এই সমস্যাকে ভালো করে দেয়। নাক ডাকার সমস্যা ভালো হয়ে যায়, সাইনাসের সমস্যা ভালো হয়ে যায়, নাকের মধ্যে মাংসপেশি যদি বেড়ে যায় তাহলে সেটিও ভালো হয়ে যায়, মুখ খুলে ঘুমানোর সমস্যা ভালো হয়ে যায়, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। ১৫-২০ দিন নিয়মিত তিন মাস এই দেশি ঘি যদি নাকের দুই ছিদ্রে ১-১ ফোঁটা করে ব্যবহার করা হয় তাহলে শরীরে প্রায় ৩৬ টি রোগকে ভালো করে থাকে। তাই এই দেশি নিয়মিত ভাবে আপনার নাকের মধ্যে ব্যবহার করুন। দেশি গোরুর ঘি যত পুরানো হবে তত সেটি অধিক গুণকারী হবে।
৬। হাঁচি যদি বেশি হয় এবং নাক থেকে জল বেশি বের হতে থাকে তাহলে এর সবথেকে ভালো ঔষধ হল কিছুদিন ব্যক্তিকে চুন (lime) সেবন করান এবং রাত্রে ঘুমানোর সময়ে নাকের মধ্যে দেশি ঘি এর ব্যবহার করান, এই সমস্যা ভালো হয়ে যাবে। চুন সবসময় যে কোনো জিনিসের সাথে মিশিয়ে সেবন করবেন। একটি গমের দানার সমান চুন নিয়ে জলের সাথে মিশিয়ে সেবন করতে পারেন। দুধের সাথে চুন মিশিয়ে কখনোই খাবেন না। যে কোন ফলের রসের সাথে চুন মিশিয়ে সেবন করতে পারেন। পান পাতার সাথে যে চুন খাওয়া হয় সেই চুন আপনি সেবন করবেন।
৭। শিশুদের হাঁচির এলারজি এবং সর্দি এর কারনে কফ নাশক জিনিসের সেবন করাবেন। যেমন- শুকনো আদার চূর্ণ, মধু, গুড়।