মালটা বাগান পরিদর্শন
ফুলে ফলে সুশোভিত আমাদের এই বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন প্রকার ফলের চাষ হয়ে থাকে। এটা একদিকে যেমন মানব স্বাথ্যের জন্য উপকারী তেমনি অর্থনৈতিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখে অপরিসীম। এমনি একটা অতিপরিচিত ফল মালটা। বর্তমানে বিভিন্ন এলাকায় ব্যবনফ ভিত্তিকভাবে মালটা চাষ হচ্ছে। ফলটি কাঁচা অবস্থায় গাঢ় সবুজ কিন্তু পাকলে কমলা রংগের হয়ে থাকে। কাঁচা অবস্থায় যেমন ঘন সবুজে পাতা ও ফলের রং একই ধরনের হয়ে মারটা বাগানটিতে শোভা বর্ধন করে তেমনি পাকলে উজ্জ্বল কমলা রং যেন পাতা ও ফল বিপরীত প্রতিযোগীতায় নেমে মালটা বাগানটিকে করে তোলে মোহনীয় দৃশ্যময় এক অপরুপ শোভা। মালটা এটি টক জাতীয় ফল কিন্তু পাকলে এটি সুন্দর স্বাদ ও গন্ধে ভরপুর হয়ে ওঠে। এটি যেমন স্বাথ্যের জন্য উপকারী তেমনি রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও অনেক। এদে প্রজুর সি ভিটামিন আছে যার জন্য ডাক্তাররা রোগ প্রতিরোধক হিসেবে রোগীর পথ্য হিসেবে মালটা নির্বাচিত করে থাকনে। মালটা দুইভাবেই গাছ তৈরি করা যায়। বীজের দ্বারা এবং কলম দ্বারা। তবে সাধারণত বীজের গাছে অনেকদিন সময় নেয় ফল আসতে। কিন্তু কলমের গাছে তাড়াতাড়ি ফল আসে। পাকা মালটা বাজারে বিক্রয় করে অনেক চাষীরা অর্থ উপার্জন করে থাকে। অপপক্ষে নার্সারিতে চারা উৎপাদন করে তা বিক্রয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে। যদি ব্যবসা ভিত্তিক ব্যাপকভাবে মালটা চাষ করা যায় তা হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে এটি বিদেশে রফতানি করে বহু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যেমে একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রেখে দেশকে স্বয়ং সম্পূর্র্ণ করতে পারে। তাই মালটা চাষের ব্যপক প্রচার ও প্রসার ঘটানো প্রয়োজন বলে আমি মনে করি যাতে করে দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!