গতকাল বুঝতে পারলাম ফেসবুকে থাকা আমার কিছু আমেরিকান

in sperm •  3 years ago 

গতকাল বুঝতে পারলাম ফেসবুকে থাকা আমার কিছু আমেরিকান বন্ধু এবং বাইরেও অনেক জায়গায় অনেক আমেরিকান কেন পোস্ট করছে যে, ভ্যাক্সিন নিলে প্রাপক মানুষটির প্রজনন ক্ষমতা কমে বা সম্পূর্ণ চলে যেতে পারে এমন 'কনস্পিরেসি থিওরি'.. আর সেই ভয়ের কারণটি হল: অ্যান্টিস্পার্ম অ্যান্টিবডি। মানুষের শরীরের রোগপ্রতিরোধক ব্যবস্থা বা শ্বেত রক্ত কণিকা কোন কারণে ভুল করে যখন স্পার্মকে ভাইরাস বা শত্রু ভেবে আক্রমণ করে বসে, তখন‌ই এই অ্যান্টিস্পার্ম অ্যান্টিবডি ছাড়তে শুরু করে। এবার বাংলা ভাষায় শৌর্য বীর্য বলেই আমরা খালাস হয়ে থাকি, স্পার্ম আর সিমেনের জন্য তো আলাদা কোন শব্দ নেই.. দুটো‌ই একটা মিলিয়ে বীর্য। 😏 তাই স্পার্মকে না হয় বীর্যকোষ বলা হল আর সিমেনকে টোটাল বীর্য। সিমেনকে শুধু স্পার্ম বয়ে নিয়ে চলার ভেসেল বলা চলে, বাট দেন এগেন জলকে কিকরে ভেসেল বলি? তা এই রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার পরিস্থিতিটা খানিকটা রাজনৈতিক বা আইনি ভাষায় প্রশাসনিক অতি সক্রিয়তা বা পুলিস স্টেট বলে, সেইরকম একনায়কতন্ত্রিকতার কাছাকাছি বলা চলে। ভ্যাক্সিন কি করে? আমাদের বিশ্বাস, তা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বুস্ট করে তাইতো? এবার এমন হতেই পারে যে এটা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অতিসক্রিয়তাকে ট্রিগার করে দিল। প্রত্যেকটি মানুষের শরীর প্রকৃতির বিভিন্ন এলিমেন্টের সাথে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে রিঅ্যাক্ট করতে পারে, সে ঘুরতে গিয়ে পরিবেশ আবহাওয়ার পরিবর্তন হোক বা শরীরে কোনো ফরেন অবজেক্টের প্রবেশ হ‌ওয়া যার মধ্যে ভ্যাক্সিন‌ও অন্যতম। এই অ্যান্টিস্পার্ম অ্যান্টিবডি পুরুষ ও মহিলা দু'জনের দেহেই তৈরী হতে পারে। যার ফলে গর্ভধারণে সমস্যা বা ইনফার্টিলিটি হতে পারে। কুইক ল্যাঙ্গুয়েজ ফানফ্যাক্ট: অনুর্বর জমিকে ইংরাজীতে ইনফার্টাইল ল্যান্ড বলে। তো এর ফলে পুরুষদের নিয়ম মতো সিমেন তো বেরোয়, কিন্তু তাতে স্পার্ম থাকেনা বা অতি অল্প পরিমাণে থাকে.. যেটা আসল গর্ভধারণ করায়। আর মহিলাদের ক্ষেত্রে শরীরে অ্যান্টিস্পার্ম অ্যান্টিবডি তৈরী হতে পারে কোনো অ্যালার্জিক রিয়্যাকশন থেকে, যার ফলে শরীরে স্পার্ম ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ঐ অ্যান্টিবডি তা আর তার অ্যান্টিজেনকে মেরে ফেলতে শুরু করে। শুনলে অবাক হতে হয়, এক্ষেত্রে ডাক্তাররা পুরুষদের সাধারণতঃ শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা "দূর্বল" করার ওষুধ দিয়ে থাকেন আর মহিলাদের বিভিন্ন মেডিক্যাল টেস্ট করিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়। একজন প্রফেশনাল ডাক্তার এই বিষয়ে বিশদে ভেরিফিকেশন ও তথ্য দিতে পারবেন। যদিও আমি কোনো ডাক্তার ন‌ই, তবে আমার তো এখন মনে হচ্ছে: দে মাইট হ্যাভ এ কেস হিয়ার।
ওরা তো বলছে, এটা কালো পর্দার আড়ালে থাকা ক্ষমতাশালীদের পৃথিবীর জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করবার আরো একটা প্ল্যান।

আমি এই ব্যাপারটা জানতে পারলাম এফবিআই -এর একটা কেস দেখতে গিয়ে, যেখানে এক হাইওয়ে পেট্রোল পুলিশ অফিসার এক মহিলাকে রেপ করে খুন করেছিল (আদালত ৯০ বছরের সাজা ঘোষনা করে ও ৩০ বছর পর প্যারোলের জন্য এলিজিবল হবে জানায়, ১২ বছর পর আসামি জেলের ভেতরেই মারা যায়)। যখন ট্রায়াল শুরু হয়, সেই ৮৫ সালে ডিএন‌এ প্রযুক্তিকে প্রমাণ হিসেবে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ মানা হত না.. সেই সময় এফবিআইয়ের ল্যাব ভিক্টিমের শরীরে পাওয়া সিমেন স্যাম্পেল ও পুলিশ অফিসারটির সিমেন স্যাম্পেলে পাওয়া অ্যান্টিস্পার্ম অ্যান্টিবডির উপস্থিতি ম্যাচিং দেখে অনুবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে ভিডিও রেকর্ডিং করে তা প্রমাণ হিসেবে আদালতে পেশ করে। যা তখন অত্যন্ত রেয়ার রোগ ছিল।
বিবরণী সূত্র:
https://www.webmd.com/infertility-and-reproduction/fertility-antisperm-antibodies

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!